পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এমপি বলেছেন, সুশাসন ছাড়া কোন উন্নয়ন অর্থবহ ও জনকল্যাণমুখী হয় না। জনগণের আকাঙ্খা, চাওয়া-পাওয়ার সঠিক প্রতিফলনই হলো প্রকৃত, সুদূর প্রসারী ইতিবাচক উন্নয়ন। এই সত্যটা জনপ্রতিনিধিদের উপলব্ধি করে জনগণের সাথে মিশে যেতে হবে। তিনি গতকাল শনিবার নগরীতে পানিবদ্ধতা নিরসনে বারইপাড়া থেকে কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত খাল খনন প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং আমবাগান সড়ক উন্নয়ন শেষে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম সারা দেশের অর্থনৈতিক হৃদপিন্ড এবং সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের স্বর্ণ দুয়ার। এই সত্যটিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপলব্ধি করেন বিধায় চট্টগ্রামে একাধিক মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন এবং করতে যাচ্ছেন। এসব প্রকল্প চট্টগ্রামের অর্থনৈতিক গুরুত্বকে বাড়াবে এবং তার ব্যাপ্তি জাতীয় স্তর পেরিয়ে বৈশি^ক পর্যায় পর্যন্ত প্রসারিত হবে।
চট্টগ্রামে নতুন নতুন অর্থনৈতিক অঞ্চল ও বে-টার্মিনাল হচ্ছে। কর্ণফুলীর তলদেশ দিয়ে ট্যানেল হয়ে যাওয়ায় চট্টগ্রাম পরিণত হবে ওয়ান সিটি টু-টাউন হিসেবে। এ কারণে চট্টগ্রাম নগরীর সড়কগুলোর যোগাযোগের পরিধি ও গুরুত্ব বাড়বে। মন্ত্রী নগরীর খালগুলোর আবর্জনা অপসারণে একটি অত্যাধুনিক ও কার্যকর যান্ত্রিক সরঞ্জাম হুইল হারবার স্টার চসিককে দেবেন বলে আশ্বাস দেন।
সভাপতির বক্তব্যে চসিক মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, আমাদের আয়ের উৎস রাজস্ব। আয়ের পরিধি খুবই সীমিত। এই সীমিত আয়ে সাধ্য ও সামর্থ্য দিয়ে উন্নয়ন কর্মকান্ড ও ব্যয় নির্বাহ করতে হিমশিম খেতে হয়। তাই সরকারি থোক বরাদ্দ না থাকলে উন্নয়ন থেমে থাকবে। সরকারকে এই বিষয়টি ভাবতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, জাতীয়, আঞ্চলিক ও বৈশি^ক পরিমন্ডলে চট্টগ্রামের গুরুত্ব যে ভাবে বাড়ছে সে তুলনায় চসিকের ক্ষমতা ও আর্থিক সক্ষমতার পরিধি বাড়েনি। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহিদুল আলম, প্যানেল মেয়র মো. গিয়াস উদ্দিন, কাউন্সিলর এম. আশরাফুল আলম, ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরী, মো. ইসমাইল প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।