২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
সারা বিশ্বে প্রতি বছর নভেম্বর মাসে সপ্তাহব্যাপী বিশ্ব এন্টিবায়োটিক সচেতনতা সপ্তাহ পালিত হয়। দাঁত ও মুখের চিকিৎসায় প্রতিনিয়ত এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়। অনেক সময় দেখা যায় মুখের সাধারণ একটি আলসারে এন্টিবায়োটিক প্রদান করা হয়। শুধু তাই নয় দেখা যায় এন্টিবায়োটিক ক্রয় করতে যেয়ে স্বল্প আয়ের মানুষের আর্থিক সমস্যা হয়ে থাকে। প্রকৃত অর্থে এন্টিবায়োটিক কখনোই রোগীর মুখে আলসার ভালো করে না। বরং এন্টিবায়োটিক ব্যবহারের কারণে মুখে অন্যান্য সমস্যা দেখা দেয়। ২০২১ সালের এন্টিমাইক্রোবায়ালস্ সচেতনতা সপ্তাহের থিম বা প্রতিপাদ্য বিষয় হলো “স্প্রেড অ্যাওয়্যারনেস, স্টপ রেজিস্ট্যান্স”। এন্টিবায়োটিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে এবং এর মাধ্যমে ড্রাগ রেজিস্ট্যান্স কমিয়ে আনতে হবে। যাতে করে আইসিইউতে রোগীকে অসহায় অবস্থায় থাকতে না হয়। জ¦র ঠোসা, ভাইরাস সংক্রমন, হারপিস ভাইরাস-৮ সংক্রমনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন এন্টিভাইরাল ঔষধ প্রয়োগ করতে হয়। অথচ আমাদের দেশে মুখের ভাইরাস সংক্রমনে অযথা এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়। এন্টিবায়োটিকের অপব্যবহারের কারণে মুখের অভ্যন্তরে লাইকেন প্ল্যানাসের মত লাইকেনয়েড রিঅ্যাকশন দেখা যায়। যার কারণে রোগীর খাদ্য দ্রব্য গ্রহণে সমস্যার সৃষ্টি হয়। পৃথিবীর অন্যান্য দেশে এমনকি আমাদের সার্কভুক্ত দেশ ভুটানেও ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া এন্টিবায়োটিক ঔষধ কোনো অবস্থাতেই বিক্রি হয় না। অথচ আমাদের দেশে চাওয়া মাত্রই এন্টিবায়োটিক বিক্রয় করা হচ্ছে, যা অত্যন্ত উদ্ভেগজনক। এন্টিবায়োটিকের নিয়ম বহির্ভুত ব্যবহারের কারণে এখন জীবানুর উপর এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্ট হয়ে পড়েছে। এন্টিবায়োটিক আগের মত আর কাজ করছে না। আবার ভুল এন্টিবায়োটিক ব্যবহারের কারণে রোগীর বিভিন্ন ধরনের জটিলতার সৃষ্টি হয়।
ক্ল্যারিথ্রোমাইসিন জাতীয় এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করলে হার্টের রোগীদের ক্ষেত্রে সমস্যার সৃষ্টি করে। এফডিএ অনেক আগেই ক্ল্যারিথ্রোমাইসিন সম্পর্কে সতর্কতা জারি করেছে। সিপ্রোফ্লক্সাসিন জাতীয় এন্টিবায়োটিক লো-ব্লাড প্রেসার রোগীদের ক্ষেত্রে রক্তচাপ কমিয়ে দিতে পারে। কিছু কিছু এন্টিবায়োটিক সেবনের কারণে মুখের অভ্যন্তরে সংক্রমন দেখা দিয়ে থাকে। মুখস্ত এন্টিবায়োটিক সেবনের কারণে আপনি এক সময় সুপারবাগ সংক্রমনে আক্রান্ত হবেন। এর অর্থ হলো আপনার অসুখ হলে কোনো এন্টিবায়োটিক আপনার উপর কাজ করবে না। পরীক্ষা করলে দেখা যায়, সব এন্টিবায়োটিক আপনার উপর রেজিস্ট্যান্ট হয়ে পড়েছে। আমাদের দেশে প্রতি বছর সুপারবাগ সংক্রমনের কারণে অনেক মানুষ মারা যায়। যখন আপনাকে হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়, তখন যদি কোনো এন্টিবায়োটিক কাজ না করে তাহলে মৃত্যু ছাড়া আর কোন বিকল্প পথ খোলা থাকে না। আপনি লাইফ সাপোর্টে না থাকলেও রেজিস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়া নিউমোনিয়া, মুত্রনালী সংক্রমন এবং চর্মে সংক্রমন সৃষ্টি করতে পারে। এন্টিবায়োটিক মুখে ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্য পরিবর্তন করতে পারে। ডাক্তারের ব্যবস্থা পত্র ছাড়া অতি চড়া দামে কিছু এন্টিবায়োটিক অনুমানের উপর ভিত্তি করে সেবন করলে আপনি হয়ত সাময়িকভাবে সুস্থ হয়ে যাবেন। কিন্তু ভবিষ্যতে আপনার জন্য ভয়াবহ বিপদ অপেক্ষা করছে। তাই আর দেরী নয় এন্টিবায়োটিক সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করে তুলতে হবে। অন্যথায় সবার স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং চিকিৎসা অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।
ডাঃ মোঃ ফারুক হোসেন
ইমপ্রেস ডেন্টাল কেয়ার,
ব্যাটালিয়ান বউ বাজার, মিরপুর-১৪, ঢাকা।
মোবাইল ঃ ০১৮১৭৫২১৮৯৭
ই-মেইল ঃ [email protected]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।