Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দেশীয় সম্পদের সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে

সরদার সিরাজ | প্রকাশের সময় : ২৫ নভেম্বর, ২০২১, ১২:০৬ এএম

ভোলার শাহবাজপুরে গ্যাসের মজুদ আবিষ্কার হয় ১৯৯৫ সালে। বাপেক্স এটি আবিষ্কার করে। সেখানে মজুদকৃত গ্যাসের পরিমাণ দেড়-দুই টিসিএফ বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভোলায় এখন দৈনিক প্রায় ৬০ এমএমসিএফডি গ্যাস উত্তোলন করা হচ্ছে, যা সেখানকার বিদ্যুৎ কেন্দ্র, শিল্প ও অন্তত দুই হাজার আবাসিকে সরবরাহ করা হচ্ছে। বাকী গ্যাস সিদ্ধান্তের অভাবে জেলার বাইরে নেওয়া যাচ্ছে না। ভোলার গ্যাস পাইপ লাইনের মাধ্যমে নেওয়া হবে, না এলএনজিতে (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) রূপান্তর করে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করা হবে সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত পেতে দিনের পর দিন অতিবাহিত হচ্ছে। এই গ্যাস কাজে লাগাতে গত নব্বইয়ের দশকে ইউনিকল পাইপলাইন নির্মাণের প্রস্তাব দিয়েছিল। ৭০০ মিলিয়ন ডলারের ঐ প্রস্তাবে ১২০ কিলোমিটার পাইপলাইন নির্মাণের কথা বলা হয়েছিল। একই সঙ্গে ভোলা থেকে উত্তোলিত গ্যাস দিয়ে বরিশালে ১০০ মেগাওয়াট, খুলনায় ৩৫০ মেগাওয়াট ও ভোলায় ৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের প্রস্তাব দিয়েছিল কোম্পানিটি। সেই প্রস্তাব বাস্তবায়ন হলে বর্তমানে ভোলার গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করার পাশাপাশি দেশের দক্ষিণাঞ্চলকেও গ্যাস নেটওয়ার্কের আওতায় আনা যেত। দেশে গ্যাসের চরম সংকট চলছে। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ গত ১ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদে এক প্রশ্নোত্তরে বলেন, ‘দেশে প্রাকৃতিক গ্যাসের বর্তমান দৈনিক চাহিদা প্রায় ৩ হাজার ৭০০ মিলিয়ন ঘনফুট। আর সরবরাহ করা সম্ভব হয় দৈনিক প্রায় ৩ হাজার ৯৫ মিলিয়ন ঘনফুট। সে হিসাবে দেশে গ্যাসের দৈনিক ঘাটতি প্রায় ৬০৫ মিলিয়ন ঘনফুট’। গ্যাসের এই বিপুল ঘাটতির কারণে শিল্প উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। অনেক বাসাবাড়িতেও ঠিকভাবে গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে না। নতুন করে বাসা বাড়িতে গ্যাস সংযোগ দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রে সরবরাহ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। অনেক সার কারখানা বন্ধ রাখা হয়েছে। এদিকে, তিতাস গ্যাস কোম্পানীতে সিষ্টেম লসের নামে চলছে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতি।

দেশে গ্যাসের সংকট মোকাবেলার জন্য বিপুল অর্থে এলএনজি আমদানি করা হচ্ছে ২০১৮ সাল থেকে । জানা মতে, গত অর্থবছরে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকার এলএনজি আমদানি করা হয়েছে। পেট্রোবাংলা ও সামিটের দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনালের দৈনিক ৫০ কোটি ঘনফুট করে মোট ১০০ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহের সক্ষমতা রয়েছে। কিন্তু অর্থের সংস্থান না থাকায় এই দুই টার্মিনালের পুরো সক্ষমতা ব্যবহার করা যাচ্ছে না। গ্যাস সংকট জনিত কারণে এলএনজির চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই সরকারের হিসাব অনুযায়ী, ২০৪১ নাগাদ শুধু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্যই দৈনিক ৩০০ কোটি ঘনফুট গ্যাসের প্রয়োজন হবে।অন্য খাতে তারও অধিক। এদিকে বৈশ্বিকভাবে এলএনজির দাম অনেক বেড়ে গেছে। ফলে চলতি অর্থবছরে এলএনজি আমদানির ব্যয় গত অর্থবছরের চেয়ে অনেক বেড়ে যাবে। সেই সাথে এলএনজি সংশ্লিষ্ট সব ব্যয়ও বৃদ্ধি পাবে। এই অবস্থায় মহেশখালীতে আরেকটি এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সরকার। প্রশ্ন উঠতে পারে, অর্থের অভাবে পূর্বের দু’টি এলএনজি টার্মিনাল যেখানে পূর্ণভাবে ব্যবহার করা যাচ্ছে না সেখানে নতুন করে ব্যয় বহুল এলএনজি টার্মিনাল প্রতিষ্ঠার হেতু কী? অন্যদিকে, ভারত থেকে এলএনজি আমদানি করার জন্য সেদেশের বেসরকারি সংস্থা এইচ-এনার্জি এবং বাংলাদেশের পেট্রোবাংলার মধ্যে এক সমঝোতা-পত্র সই হয়েছে গত ১৬ জুন। এইচ-এনার্জি পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত গ্যাস পাইপলাইন বসানো এবং তা ব্যবহার করার ছাড়পত্র পেয়েছে ভারতের পেট্রোলিয়াম এন্ড ন্যাচারাল গ্যাস রেগুলেটরি বোর্ড থেকে। সংস্থাটি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কানাই চট্টায়স্থ তার এলএনজি টার্মিনাল থেকে নদীয়ার শ্রীরামপুর অবধি নিজস্ব পাইপলাইন দিয়েই পেট্রোবাংলাকে গ্যাস দেবে। এই গ্যাস মূলত বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চলে ব্যবহারের জন্য সরবরাহ করবে পেট্রোবাংলা। সবারই জানা, ভারত ব্যবসার ক্ষেত্রে অনেক সময় নৈতিকতা পালন করে না। পণ্য দিতে দিতে দেওয়া বন্ধ করে দিয়ে আমাদের সংকট সৃষ্টি করে। পিয়াজ, করোনার টিকা তার জ্বলন্ত প্রমাণ। দ্বিতীয়ত: আমাদের পণ্য যেতে ভারত নানা রকমের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। এ নিয়ে অনেক দেন-দরবার করেও কোন লাভ হয়নি। তাই ভারত থেকে চুক্তি মোতাবেক সার্বক্ষণিক এলএনজি পাওয়া যাবে কি-না সন্দেহ রয়েছে।অন্যদিকে, জ্বালানি তেলের মূল্য সম্প্রতি আন্তর্জাতিক বাজারে বৃদ্ধি পেয়েছে ব্যাপক। তাই দেশে জ্বালানি তেলের মূল্য ২৩.৮০% বৃদ্ধি করা হয়েছে। তাতে কৃষি ও পরিবহন খাতে ব্যয় বেড়েছে অনেক। যার প্রভাব পড়ছে সব ক্ষেত্রেই। তাই মানুষের মধ্যে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। জ্বালানির এই সংকটকালে ভোলায় আবিষ্কৃত গ্যাস সিদ্ধান্তহীনতার কারণে অন্য জেলায় ব্যবহার করতে না পারা অনাকাক্সিক্ষত। দেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকরও।
গত ৯ আগস্ট বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানান, ‘সিলেটের জকিগঞ্জে নতুন গ্যাসক্ষেত্রের সন্ধান পেয়েছে বাপেক্স। এখানে উত্তোলনযোগ্য মজুদ ৫০ বিলিয়ন ঘনফুট, দৈনিক ১০ মিলিয়ন করে যুক্ত হবে গ্রিডে। ফলে সেখান থেকে ১০-১২ বছর গ্যাস উত্তোলন করা সম্ভব। এর আগে গত জুনে জকিগঞ্জে আরেকটি গ্যাসক্ষেত্রের সন্ধান পায় বাপেক্স। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ২৮টি গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়েছে। এসব ক্ষেত্রে প্রমাণিত মজুতের পরিমাণ ২১.৪ টিসিএফ। তন্মধ্যে প্রায় ১৮.৫ টিসিএফ উত্তোলন করা হয়েছে। বাকী রয়েছে মাত্র ৩ টিসিএফ। এছাড়া, সম্ভাব্য মজুত রয়েছে আরও ৭ টিএসএফ এর মতো’। জানা মতে, আবিষ্কৃত গ্যাস দিয়ে ২০৩০ সাল পর্যন্ত চলবে। অপরদিকে, ২০১২ সালে মিয়ানমারের সাথে এবং ২০১৪ সালে ভারতের সাথে বঙ্গোপসাগরের সীমানা নির্ধারিত হয়েছে আন্তর্জাতিক আদালত কর্তৃক। তারপর মিয়ানমার ও ভারত তাদের সীমানায় গ্যাস আবিষ্কার করে উত্তোলন শুরু করেছে। কিন্তু আমরা এখন পর্যন্ত কিছুই করতে পারিনি। আমাদের শুধুমাত্র সমুদ্র অঞ্চলকে নতুনভাবে বিন্যস্ত করে ২৬টি ব্লকে ভাগ করা হয়েছে। তন্মধ্যে অগভীর ১১টি ও গভীর ১৫টি। কোন ব্লকে কী পরিমাণ খনিজসম্পদ আছে সে সম্পর্কে ধারণা পেতে বিশ্ব স্বীকৃত পদ্ধতি ‘মাল্টি ক্লায়েন্ট সার্ভে’ এখনও হয়নি। ফলে বিদেশি কোম্পানিগুলো আমাদের সামুদ্রিক সীমানায় খনিজসম্পদ অনুসন্ধানে আগ্রহ দেখাচ্ছে না। তাই সমুদ্রের গ্যাসসহ মহামূল্যবান খনিজ সম্পদের ভাগ্যে কি কয়লার ন্যায় পরিণতি হবে কি-না তা ভাববার বিষয়।

দেশে বিপুল পরিমাণে আবিষ্কৃত কয়লার মজুদ রয়েছে, যা খুবই উন্নত মানের। আর অনাবিষ্কৃত কয়লা মজুদের পরিমাণও ব্যাপক। উপরন্তু আবিষ্কৃত কোন কোন কয়লার খনিতে হীরাও আছে। তবুও আবিষ্কৃত কয়লা উত্তোলন করতে পারিনি আমরা। সে দক্ষতার লোক ও আর্থিক সক্ষমতা নেই আমাদের। কিছু বিদেশি কোম্পানি কয়লা উত্তোলন করে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও রফতানি করার প্রস্তাব দিয়েছিল। সে প্রস্তাবও গ্রহণ করিনি আমরা। ফলে ব্যাপক মূল্যবান কয়লাগুলো মাটির নিচেই পড়ে রয়েছে! পক্ষান্তরে বিপুল অর্থ ব্যয় করে কয়লা আমদানি করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে হচ্ছে। সেটাও স্বল্প দিনের মধ্যে বন্ধ হয়ে যেতে পারে। কারণ, কপ-২৬ সম্মেলনে কয়লার ব্যবহার বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ১৯০টি দেশ ও সংস্থা। অনেক দেশ ও সংস্থা কয়লা খাতে অর্থায়ন বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে। তাই কয়লার ব্যবহার এককালীন বন্ধ করার ব্যাপারে বেশিরভাগ দেশ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু ভারত ও চীনের চাপাচাপিতে কয়লার ব্যবহার একবারে বন্ধ না করে ধাপে ধাপে বন্ধ করার ব্যাপারে সমঝোতা করে চুক্তি হয়েছে। কার্বন নির্গমন হ্রাস করতে আগামী জলবায়ু সম্মেলনে কয়লার ব্যবহার এককালীন বন্ধ করার সিদ্ধান্ত ঠেকানো সম্ভব হবে বলে মনে হয় না। সেটা হলে দেশের কয়লাসহ সারা বিশ্বের কয়লা অব্যবহৃত থেকে যাবে। কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ প্লান্টও। ইতোমধ্যেই দেশে কয়লাভিত্তিক ১০টি প্লান্ট বন্ধ করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, যার বিদ্যুৎ উৎপাদনের মোট সক্ষমতা ছিল ৮ হাজার মেগাওয়াটের অধিক। বাকী চলমান ও নির্মাণাধীন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্লান্ট অদূর ভবিষ্যতেই বন্ধ করে দিতে হতে পারে আন্তর্জাতিক চাপে। সেটা হলে আমা-ছালা সবই যাবে। উপরন্তু বিদ্যুৎ উৎপাদন হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে চরম সংকট সৃষ্টি হবে। তাই কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্লান্ট নিয়ে গভীরভাবে ভাবতে হবে এখনই। আর তার বিকল্প হিসাবে নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানোর দিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে। পরমাণু বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রও বৃদ্ধি করতে হবে। ইতোমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী সে উদ্যোগের কথা বলেছেন।গত ১১ অক্টোবর রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি করপোরেশন রোসাটম-এর মহাপরিচালক আলেক্সি লিখাচেভের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা দেশের দক্ষিণাঞ্চলে আরও একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করতে চাই। এ ব্যাপারে রাশিয়ার অব্যাহত সহযোগিতার প্রয়োজন।’ রাশিয়ার সহায়তায় পাবনার রূপপুরে দেশের প্রথম পরমাণু বিদ্যুৎ প্লান্ট নির্মিত হচ্ছে। লক্ষ্যণীয়, সাগরে চীন ও রাশিয়া ভাসমান পরমাণু বিদ্যুৎ প্লান্ট নির্মাণ করেছে। আমাদেরও বঙ্গোপসাগরের বিশাল এলাকা রয়েছে। সেখানে ভাসমান পরমাণু বিদ্যুৎ প্লান্ট নির্মাণ করার সুযোগ রয়েছে। এটা করতে পারলে বিদ্যুৎ উৎপাদন অনেক বৃদ্ধি পাবে।

স্মরণীয় যে, পরিবেশ বান্ধব জ্বালানি-হাইড্রোজেনের ব্যবহার শুরু হয়েছে। জার্মানির ডয়চে বান ও সিমেন্স মবিলিটি মিলে তৈরি করছে হাইড্রোজেন চালিত ফুয়েল সেল ট্রেন ও ফিলিং স্টেশন। ২০২৪ সালে এই ধরনের ট্রেনের ট্রায়াল রান হবে। এ জন্য নতুন ইঞ্জিন তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সাধারণ ব্যাটারিকে রিচার্জ করেই ট্রেন চলানো হবে। হাইড্রোজেন ও অক্সিজেনের প্রতিক্রিয়ায় তৈরি হবে বিদ্যুৎ, যা দিয়ে চলবে ট্রেন। শুধু জার্মানিতেই নয়-বহু দেশেই হাইড্রোজেন জ্বালানির ব্যবহার বাড়ছে। তাই ২০৫০ সাল নাগাদ হাইড্রোজেন জ্বালানির বাজার হবে ৭০ হাজার কোটি ডলারের। এ বাজার ধরার জন্য বৈশ্বিক প্রতিযোগিতাও শুরু হয়েছে। এদিকে আমাদেরও গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন।

যা’হোক, দেশের গ্যাসের পরিণতি কয়লার মতো হতে দেওয়া যাবে না। দেশীয় এই মহামূল্যবান সম্পদকে পূর্ণভাবে কাজে লাগাতে হবে এবং তা খুব দ্রুত। এটা নিজেরা করতে পারলে শতভাগ মঙ্গল। না পারলে বিদেশের সহায়তা নিতে হবে। অর্থাৎ যেই দেশ বা কোম্পানি দেশের গ্যাস সন্ধান, উত্তোলন ও ব্যবহারের প্রস্তাব দেবে, সে প্রস্তাব জাতীয় স্বার্থের প্রতিকূল না হলে গ্রহণ করতে হবে। জ্বালানি সংকট মোকাবেলা করার জন্য এর কোন বিকল্প নেই। ২০২৬ সাল থেকে দেশের এলডিসি উত্তরণ শুরু হবে। তখন থেকে স্বল্পোন্নত দেশের ঋণ ও ব্যবসায়িক সুবিধা এবং সাহায্য বন্ধ হয়ে যাবে। সেই সাথে ভর্তুকিও। তখন থেকে নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে। এক কঠিন পরিস্থিতির মুখামুখি হতে হবে। সেই পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য দেশের অর্থনৈতিক ভিতকে মজবুত করতে হবে এখন থেকই। এই প্রেক্ষাপটে দেশীয় সম্পদের পূর্ণ সদ্ব্যবহার জরুরি। তথা কৃষি, প্রাকৃতিক, খনিজ ও সামুদ্রিক সম্পদকে শতভাগ কাজে লাগাতে হবে।

লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: দেশীয় সম্পদ
আরও পড়ুন