গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
রাজধানীর মুগদার মাতব্বর গলির পাঁচ তলা একটি ভবনে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে একই পরিবারের চারজন দগ্ধ হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন শিশুও আছে। দগ্ধদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে চিকিৎসার জন্য নেয়া হয়েছে। সেখানে তাদের চিকিৎসা চলছে। গতকাল সোমবার সকাল পৌনে আটটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। দগ্ধরা হলেন-সুধাংশু, তার স্ত্রী প্রিয়াংকা, ছেলে উরফ এবং শাশুড়ি শেফালী।
জানা যায়, গতকাল সকালে রান্না করতে গেলে চুলায় দিয়াশলাই দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিকট শব্দে সিলিন্ডারটি বিস্ফোরিত হয়। এতে চারজন দগ্ধ হন। পরে তাদের শেখ হাসিনা বার্ন ইন্সটিটিউটে নেয়া হয়।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন আইউব হোসেন জানান, শিশুটির শরীরের ৬৭ শতাংশ, সুধাংশুর ২৫ শতাংশ, প্রিয়াংকার ৭২ শতাংশ এবং শেফালীর শরীরের ৩৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। দগ্ধদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
দগ্ধ প্রিয়াংকা বাড়ৈর বড় ভাই পলাশ বাড়ৈ বলেন, তার বোন প্রিয়াঙ্কা বাড়ৈ পরিবারসহ গ্রামের বাড়ি শরিয়তপুর ভেদেরগঞ্জ উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামে থাকেন। শনিবার তার বোন প্রিয়াঙ্কা বাড়ৈ স্বামী সন্তান নিয়ে ডাক্তার দেখাতে ঢাকায় আসেন। তারা তার মুগদার বাসায় উঠেন। প্রিয়াঙ্কার স্বামী সুধাংশু বাড়ৈ মিডফোর্ট হাসপাতালে ডাক্তার দেখান। সোমবার ডাক্তার দেখিয়ে গ্রামের বাড়িতে ফেরার কথা ছিল তাদের। তিনি বলেন, আমি সকালে বাসা থেকে বের হয়ে বাইরে যাই। এদিকে ঘুম থেকে উঠে প্রিয়াংকা বাড়ৈ পানি গরম করতে রান্না ঘরে যান। গ্যাসের চুলা চালু করে দেয়াশলাই জ্বালাতেই রান্না ঘরে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। এতে বাসায় থাকা চারজনই দগ্ধ হন।
মুগদা থানার ওসি মীর জামাল উদ্দিন জানান, গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে জমে থাকা গ্যাসের বিস্ফোরণ থেকেই এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অসাবধানতার কারণে সিলিন্ডারের গ্যাস লিকেজ হয়ে রান্নাঘরে ছড়িয়ে পড়েছিল। সকালে রান্নার জন্য চুলার আগুন ধরাতে গেলে বিস্ফোরণ হয়। এ বিস্ফোরণের পেছনে অন্য কোনো কারণ আছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।