বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ঢাকার ধামরাইয়ের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এক যুবককে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হাত-পা বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে নব-নির্বাচিত সরকার দলীয় চেয়ারম্যান ও তার সমর্থকদের বিরুদ্ধে। এঘটনায় অভিযুক্ত চেয়ারম্যানসহ ১০ জনকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। থানা হাজতে চেয়ারম্যানের একটি ছবি ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরে।
সোমবার রাতে ধামরাই থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ওয়াহিদ পারভেজ এক যুবককে মারধরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তবে অভিযুক্ত চেয়ারম্যানসহ ১০জনকে আটকের বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বলেন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়েছে।
এর আগে দুপুরে ধামরাই উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের পূর্ব সূত্রাপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহত যুবক ইসরাফিল হোসেনকে (৩০) উদ্ধার করে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
আটকরা হলেন, বালিয়া ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মুজিবর রহমান (৪৬) ও তার ভাতিজা সিয়াম (২২), ধামরাইয়ের সূত্রাপুর এলাকার শান্তি কমিটির সভাপতি আব্দুল মজিদ (৬৮), মজিদের ছেলে সামছুল হক (৪০) ও নাতি সিহাব (১৮), পশ্চিম সূত্রাপুর মসজিদের সভাপতি মো: মজিবর (৬৫), রাজন (২৯), শামীম (২৪), নাছিমা আক্তার (২৯) ও রাশেদা বেগম (২৫)।
আহত যুবক ইসরাফিল হোসেনের ভাই রবিউল আউয়াল বলেন, তার ভাই ইট ব্যবসায়ী। সম্প্রতি শেষ হওয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মজিবর রহমানের প্রতিপক্ষকে সমর্থন করেছিলো। এরই জেরে দুপুরের দিকে চেয়ারম্যান মজিবর তার লোকজন পাঠিয়ে ইসরাফিলকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে তার ভাইকে স‚ত্রাপুর বাজারে হাত-পা রশি দিয়ে বেধে লাঠি ও রড দিয়ে বেধড়ক পিটায়। এসময় স্থানীয়দের খবরে পুলিশের ৪-৫টি গাড়ি উপস্থিত হলে চেয়ারম্যান এলাকার মসজিদে মাইকিং করে আতঙ্ক ছড়ায়। এমনকি যার যা আছে তাই নিয়ে বাজারে হামলা করতে বলে চেয়ারম্যান মজিবর। পরে পুলিশ চেয়ারম্যানসহ তার ৮/১০জন লোককে ধরে থানায় নিয়ে যায়।
তিনি অভিযোগ দিতে ধামরাই থানায় অবস্থান করছেন বলে জানান।
ধামরাই থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ওয়াহেদ পারভেজ বলেন, বালিয়া ইউনিয়নে এক যুবককে হাত-পা বেধে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। আহত যুবককে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তবে আটকের বিষয়ে বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়েছে। মামলার পরে বিস্তারিত জানানো হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।