গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
ঠিকানা পরিবহনে হাফ ভাড়া দিতে গিয়ে বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের এক ছাত্রীকে ধর্ষণের হুমকি দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। এ ঘটনায় হুমকিদাতাকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। রোববার রাত ৭টা ৫০ মিনিটের সময় ইনকিলাবকে এ তথ্য জানিয়েছেন র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার সহকারী পরিচালক আ. ন. ম ইমরান খান।
তিনি জানান, ঠিকানা পরিবহনের চালক রুবেল ও হেলপার মেহেদী হাসানকে নারায়নগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এর আগে রোববার দুপুরে হুমকি দেওয়া ঠিকানা পরিবহনের বাস চালকের সহকারীকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতারের আল্টিমেটাম দেয় প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা। বাসচালকের সহকারীকে গ্রেফতার ছাড়াও বাসে নারী শিক্ষার্থীদের হয়রানি বন্ধ করা ও সারা দেশে শিক্ষার্থীদের হাফ পাস চালুর দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।
গত শনিবার সকালে রাজধানীর ঠিকানা বাসে হাফ ভাড়া দেয়ায় প্রকাশ্যে এধর্ষণের হুমকি দেয়ার অভিযোগ করেন রাজধানীর বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের উচ্চমাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
ফেসবুকে দেয়া পোস্টে বদরুন্নেসা কলেজের ওই শিক্ষার্থী লিখেন, আমার বাসা শনির আখড়া। এখান থেকে কলেজের (বকশী বাজার এলাকা) ভাড়া ১০ টাকা, প্রতিদিন ১০ টাকা দিয়েই যাচ্ছি। আজকে কলেজে যাওয়ার সময় ঠিকানা বাসে করে গিয়েছিলাম। তো আজকে হেলপারকে ২০ টাকার নোট দিলে সে ভাড়া রাখছে ১৫ টাকা। আমি তাকে ভালো করেই বলছিলাম আমার ১০ টাকা ফেরত দিতে, বাট সে দেয় তো নাই উল্টা বলে ‘দিমু না কী করবি কর’। এরপর চিল্লানোর পর সে বলে ‘গলা বড় করবি না, পাঁচ টাকা নে না হয় নাইমা যা। বাসের একটা মানুষও তাকে একটা কথাও বলে নাই। কেউ কিচ্ছু বলে নাই। ইভেন একটা পুলিশও ছিল, সেও কিছুই বলে নাই। এরপর নামার সময় পাঁচ টাকা হাতে ধরায় দিয়ে বলে “নে তোর টাকা, প্রতিদিনই তো আসবি একদিন ধইরা .... কোথাকার।
এ ঘটনার জেরে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে আন্দোলন করেন নটরডেম কলেজের শিক্ষার্থীরা। বকশীবাজার মোড় অবরোধ করেন বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। তাদের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত বাকি ৬ কলেজের শিক্ষার্থীরাও যোগ দেন। এ সময় আশপাশ এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। প্রায় ৪ ঘণ্টা অবরোধ করার পর দুপুর ১টার দিকে তারা সড়ক থেকে সরে যায়। তবে অবরোধ তুলে নেওয়ার আগে তারা ৯টি দাবি উত্থাপন করে। দাবি আদায় না হলেও সোমবারও সড়ক অবরোধ করার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
তাদের দাবিগুলো হলো-শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া নিশ্চিত করতে হবে, বাসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে হয়রানিমূলক আচরণ করা যাবে না, কলেজের সামনে সব বাস থামতে হবে, মহিলা সিট নিশ্চিত করতে হবে, সম্মানের সঙ্গে বাসে ওঠার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে, মেয়েদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে, ধর্ষণের হুমকি দেওয়া বাস কর্মচারীর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে, রায়েরবাগ, শনির আখড়া, কাজলা, সাইনবোর্ডসহ প্রত্যেক বাস স্টপে সব ধরনের বাস থামাতে হবে ও শিক্ষার্থীদের তুলতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের সঙ্গে উগ্র ব্যবহার করা যাবে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।