পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দুর্গাপূজার সময় কুমিল্লার পুজামন্ডপে পবিত্র কোরআন অবমাননা পরবর্তীতে পুজামন্ডপ ভাংচুর ও সা¤প্রদায়িক সংঘর্ষের বিষয়ে ক‚টনৈতিক প্রেক্ষাপট থেকে রাষ্ট্রের মুখপাত্র হিসেবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ‘কৌশলগত’ বক্তব্য দিয়েছেন বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট। তার বক্তব্যকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদসহ বেশ কিছু সংগঠন দেশের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন জাতীয় হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক। অথচ ৫ নভেম্বর ডিআরইউতেই এক সংবাদ সম্মেলনে হিন্দু মহাজোট জানিয়েছিল, এবার সা¤প্রতিক হামলায় ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ৬১১ জন। ৫ জন নারী ধর্ষণের শিকার এবং ৫ জনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। হিন্দু স¤প্রদায়ের চার শতাধিক নারী লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন। ৩১টি মন্দির ভস্মীভ‚ত করা, ২২৭টি পূজামন্ডপ ভাঙচুর, ২৪১টি বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিকের স্বাক্ষরিত লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, দুর্গোৎসব চালাকালীন সা¤প্রদায়িক সংঘর্ষের বিষয়ে ক‚টনৈতিক প্রেক্ষাপট থেকে রাষ্ট্রের মুখপাত্র হিসেবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও তার মন্ত্রণালয় কৌশলগত বক্তব্য রেখেছেন। বিভিন্ন সংগঠন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের যৌক্তিক বিরোধিতার বদলে অশোভন বক্তব্য দেন। হিন্দু মহাজোট আরও বলেছে, যারা বিশ্বদরবারে বাংলাদেশকে সহিংস দেশ হিসেবে উপস্থাপন করছে, তারা হিন্দুধর্মের চেতনাবিরোধী। হিন্দু স¤প্রদায়ের আবেগকে পুঁজি করে দুষ্টচক্র নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থে স্বার্থান্বেষী মহলের প্ররোচনায় রাষ্ট্রবিরোধী নীলনকশা বাস্তবায়ন করছে বলেও দাবি করেন গোবিন্দ চন্দ্র। এ সময় প্রশ্ন করা হলে রাষ্ট্রবিরোধী নীলনকশায় হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নাম বলেন তিনি। আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যখন ঘটনা ঘটেছে, তখন আমরা বলেছি এটা প্রশাসনের ব্যর্থতা নয়।’ হিন্দু মহাজোটের অবস্থান স্ববিরোধী কি না, কিংবা পাঁচ নারী ধর্ষণের শিকারসহ অন্যান্য তথ্য প্রত্যাহার করা হবে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক বলেন, আমরা যে কথা বলেছিলাম, তা সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতেই বলেছিলাম। এটাকে নিয়ে রাজনীতি করার জন্য নয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।