মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের তীব্র সমালোচনা করেছেন ইতিহাসবিদ রোমিলা থাপার। ‘হিন্দু জাতীয়তাবাদে’র ধুয়া তুলে অযথা তারা নতুন করে ইতিহাস লেখার প্রয়োজনীয়তার কথা বলছেন বলেই দাবি তার। থাপারের বক্তব্য অশান্তি তৈরি করতে পারে বলেই পালটা দাবি দিল্লির বিজেপি নেতা কপিল মিশ্র। ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার কর্তৃপক্ষের কাছে বক্তৃতা বাতিলের দাবিও জানিয়েছেন তিনি।
দিল্লির ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারে সি ডি দেশমুখ স্মারক বক্তৃতায় বর্ষীয়ান ইতিহাসবিদ রোমিলা থাপারকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। ‘আমাদের ইতিহাস, তাদের ইতিহাস, কাদের ইতিহাস’ এই বিষয়ের উপর ভিত্তি করে বক্তব্য রাখেন থাপার। বক্তৃতার একেবারে শুরুতেই হলদিঘাটে মোগল সম্রাটদের সঙ্গে রাজপুতদের যুদ্ধের প্রসঙ্গ তুলে আনেন। ইতিহাসবিদ বলেন, ওই যুদ্ধে মোগলদের সেনাপতি ছিলেন রাজা মান সিংহ। আবার তেমন আফগান যোদ্ধাদের নেতৃত্বে ছিলেন শের শাহ সুরির বংশধর হাকিম খান সুরি। তাহলে কি মোগল বনাম রাজপুতদের যুদ্ধ হিন্দু বনাম মুসলমানের হয়ে গেল?
তার দাবি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জাতীয়তাবাদের নাম করে নতুন ইতিহাস লেখার কথা বলছেন। মোদি-শাহ দাবি করছেন ইতিহাসে মোগলরা শুধুমাত্র গুরুত্ব পেয়েছে। চোল, গুপ্ত এবং মৌর্য বংশের রাজারা কোনও গুরুত্বই পাননি। তাই তারা মনে করেন ‘গৌরবময় অতীত’কে তুলে আনার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এরপরই ইউরোপের ইতিহাসবিদ এরিক হবসবমকে উদ্ধৃত করেন রোমিলা। তিনি দাবি করেন, ‘ইতিহাসের সঙ্গে জাতীয়তাবাদ এবং আফিম ও হেরোইন আসক্তির সম্পর্ক একই রকম। আফিমের নেশা মাথায় চড়লে মাদকাসক্ত গৌরবময় অতীত নিয়ে রূপকথার জাল বোনেন।’
মোগলদের সঙ্গে রাজপুত পরিবারের বৈবাহিক সম্পর্ককে যুক্তি হিসাবে হাতিয়ার করে রোমিলা ‘লাভ জিহাদ’ নিয়েও মন্তব্য করেন রোমিলা। মোগলদের সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপনে কি রাজপুতদের মুখ পুড়েছিল? তার মতে, “মনে হয় তেমন কিছু হয়নি। কারণ, সে সময় ‘লাভ জিহাদ’ ছিল না।” অবশ্য রোমিলা থাপারের বক্তৃতা শোনার আগেই অবশ্য দিল্লির বিজেপি নেতা কপিল মিশ্র বর্ষীয়ান ইতিহাসবিদের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে শুরু করেন। তিনি দাবি করেন, রোমিলা থাপারের মতো ইতিবাসবিদেরা মিথ্যা ইতিহাস লেখেন। ভুয়া তথ্য গিয়ে হিন্দুদের গণহত্যার পক্ষে যুক্তি দেন। গোটা অনুষ্ঠানটিকে দায়ী করেন ওই বিজেপি নেতা। তার মতে, এই ধরনের অনুষ্ঠান আসলে বিদ্বেষপূর্ণ মিথ্যা প্রচার ছাড়া আর কিছুই নয়। সূত্র: টাইমস নাউ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।