পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা নিয়ে নয়াদিল্লিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের দেওয়া বক্তব্যকে মিথ্যাচার উল্লেখ করে প্রতিবাদের পাশাপাশি তার পদত্যাগ দাবি করেছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। তিনি পদত্যাগ না করলে ভোট বর্জন করবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সংগঠনের নেতারা।
গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সংখ্যালঘু শিক্ষকদের ওপর হামলা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল থেকে মন্ত্রীর পদত্যাগ চান সংগঠনটির নেতারা। বাংলাদেশ শিক্ষক ঐক্য পরিষদ, যুব ঐক্য পরিষদ, ছাত্র ঐক্য পরিষদ, সনাতন সংগঠনসহ বিভিন্ন সংখ্যালঘু সংগঠনের সদস্যরা সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশে গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, সংখ্যালঘু শিক্ষকদের গলায় জুতার মালা দেওয়া হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকারি দলের নেতৃবৃন্দের সামনে। তারা কোনো প্রতিবাদ করেনি। এ থেকে বুঝা যায় সরকার দুর্বৃত্তদের লালন করছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন খতিয়ে দেখবেন। কবে যে তার খতিয়ে দেখা শেষ হবে, তা তিনিই ভালো জানেন। শিক্ষকের গলায় জুতার মালা, আর শিক্ষামন্ত্রী চুপ করে আছেন। ঘটনাস্থলে যাওয়া তো দুরের কথা একটি বিবৃতিও দেননি। প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি নিমচন্দ্র ভৌমিক, ঊষাতন তালুকদার, নির্মল রোজারিও, শিক্ষক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক অরুণ কুমার গোস্বামী, পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক চন্দ্র নাথ পোদ্দার প্রমুখ। তারা সব ধরনের নির্যাতন-নিপীড়নের অবসান এবং সাম্প্রদায়িক দুর্বৃত্তদের আইনের আওতায় এনে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান। সমাবেশ থেকে ১৬ জুলাই বিকেল তিনটায় সারা দেশে বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়। পরে একটি বিক্ষোভ মিছিলটি তোপখানা সড়কসহ বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।