পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপির এমপিরা দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবি জানিয়েছেন। দাবি মানা না হলে তারা সংসদ থেকে পদত্যাগের হুমকিও দিয়েছেন। জবাবে আইনমন্ত্রী আবারো বলেছেন, আইনের বাইরে যাওয়ার সুযোগ সরকারের নেই। আইনের বিধান দেখাতে পারলে তা বিবেচনা করা হবে।
গতকাল জাতীয় সংসদ অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে এ বিষয়ে আলোচনার সূত্রপাত করেন বিএনপির সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) সিরাজ। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে এবিষয়ে বক্তৃতা করেন দলটির সংসদ সদস্য মোশারফ হোসেন ও মো. হারুনুর রশীদ। এই আলোচনা চলাকালে অধিবেশন কক্ষে হট্টগোলের সৃষ্টি হয়।
আলোচনার সূত্রপাত করে জি এম সিরাজ বলেন, আমরা ছয়জন (বিএনপি দলীয়) এ সংসদে আছি। আওয়ামী লীগের বন্ধুরা বলেন, এটা এ সংসদের জন্য অলংকার। আজকে তাই বলতে চাই, প্রধানমন্ত্রী, যদি আমরা সত্যিকার অর্থে অলংকার হয়ে থাকি, তাহলে এ সংসদ অলংকারবিহীন করবেন না। আমাদের দলীয় সিদ্ধান্ত এমনো হতে পারে, ম্যাডাম যদি চরম অবস্থায় চলে যান, তাহলে আমাদের এই সংসদে থাকা সম্ভব নাও হতে পারে।
বিএনপি’র ওই সংসদ সদস্য বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করতে চাই, মানবিক কারণে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দুয়েকদিনের মধ্যে জামিন দিয়ে বিদেশে পাঠানো হোক। নচেৎ কিছু একটা হয়ে গেলে এর দায়ভার আওয়ামী লীগকে আজীবন বহন করতে হবে। তিনি আরো বলেন, জামিনের বিষয়ে আইনমন্ত্রীর ৪০১ ধারার দীর্ঘ বক্তব্য শুনেছি। গত বুধবার প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শুনলাম। যা সব দৈনিক পত্রিকায় শিরোনাম হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শপথ নিয়েছিলেন, রাগ বিরাগের বশবর্তী হবেন না। কিন্তু ওনার (প্রধানমন্ত্রী) বক্তব্যের সঙ্গে শপথের ভাষা সাংঘর্ষিক। এটা কি সঠিক না, বেঠিক?
এ সময় দণ্ডপ্রাপ্ত কয়েকজন নেতার বিদেশে চিকিৎসা নিতে যাওয়ার কথা তুলে ধরে জিএম সিরাজ বলেন, সাজা থাকা অবস্থায় সাবেক সংসদ সদস্য আ স ম রবও বিদেশে গিয়েছিলেন। চিকিৎসার জন্য সংসদ নেতা বা আমরাও বিদেশে যাই। সেক্ষেত্রে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে কেন বিদেশে যেতে দেওয়া হবে না? এটা তার মৌলিক অধিকার। দেশের মানুষ মনে করে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী যা চাইবেন, তাই হবে। তাই করেন। সব ক্ষমতার মালিক তিনি। তিনি আরো বলেন, খালেদা জিয়ার জন্য বগুড়াসহ সারা দেশের মানুষ দোয়া করছেন। পোস্ট কোভিডের পরে তার শারীরিক অবস্থা ক্রমান্বয়ে অবনতির দিকে যাচ্ছে। যা তাকে দিনে দিনে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। নেত্রীর পরিবার থেকে পাঁচবার আবেদন করা হয়েছে। আমাদের দল থেকে বার বার আবেদন করা হচ্ছে। আমাদের আবেদন, অতি দ্রুত জামিন দিয়ে দুই-একদিনের মধ্যে বিদেশে চিকিৎসা জন্য ম্যাডামকে (খালেদা জিয়া) পাঠানো হোক।
অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে তাকে সমর্থন জানান বিএনপি’র এমপি মো. হারুনুর রশীদ। এর আগে বিলের উপর আলোচনায় অংশ নিয়ে দলটির আরেক সংসদ সদস্য মোশারফ হোসেন বলেন, আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়া কিডনি, লিভার, ফুসফুস, উচ্চ রক্তচাপসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন। প্রধানমন্ত্রী অনেক মানবতা দেখিয়েছেন। আরেকটু মানবতা আমরা প্রত্যাশা করি।
জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, আমি এটা নিয়ে পুনরায় কথা বলতে চাই না। আইন যা বলেছে সেই মতে, প্রধানমন্ত্রী মানবিক কারণে নির্দেশ দিয়েছেন। যদিও সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত রেখে জামিন দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের আইনের বইয়ে এটা নাই। ওনারা যদি দেখাতে পারেন। তাহলে আমরা বিবেচনা করতে পারি। কিন্তু ওনারা দেখাতে পারবেন না। আর বিবেচনার প্রশ্নও আসে না। তিনি আরো বলেন, ওনারা বলেছেন, আ স ম আবদুর রবকে চিকিৎসার জন্য জার্মান পাঠিয়েছিলেন। সেটা কোন ধারায় হয়েছে জানি না। তখন সামরিক আইন ছিল। সেই ধারা তো ফৌজদারি কার্যবিধির সঙ্গে চলে না। ওনারা যথেচ্ছা করেছেন। আজ আইনের শাসন যেখানে আছে, সেখানে আমরা যথেচ্ছা করতে পারি না।
আইন মন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসা সঠিকভাবে করা হচ্ছে। সেই চিকিৎসায় সন্তুষ্ট কি অসন্তুষ্ট সেটা ওনাদের ব্যাপার। কিন্তু ৪০১ ধারায় নিষ্পত্তি হওয়া বিষয়ে আবেদন করার সুযোগ নেই। ওনারা আমাকে যতখুশি গালি দিতে পারেন কিন্তু তাতে আমার কিচ্ছু যায় আসে না। আমি আইন মোতাবেক চলবো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।