Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শরণার্থীদের ওপর পোলিশ বাহিনীর টিয়ারগ্যাস

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৮ নভেম্বর, ২০২১, ১২:০৫ এএম

বেলারুশ থেকে সীমান্ত পেরিয়ে পোল্যান্ডে ঢুকতে চাওয়া শরণার্থীদের টিয়ার গ্যাস এবং পানি কামান ছুড়ে বাধা দিচ্ছে পোলিশ নিরাপত্তা বাহিনী। ভিডিও ফুটেজে সীমান্ত পাহারায় থাকা পোলিশ বাহিনীর দিকেও পাল্টা পাথর ছুড়তে দেখা গেছে শরণার্থীদেরকে। বিবিসি জানায়, কয়েকসপ্তাহ ধরে হাজার হাজার শরণার্থী ইউরোপীয় ইউনিয়নে ঢোকার চেষ্টায় বেলারুশ সীমান্তে জড়ো হচ্ছে। এই শরণার্থীদের বেশিরভাগই মধ্যপ্রাচ্যের। শীতের এই সময়ে বেলারুশ সীমান্তের অস্থায়ী ক্যাম্পে বাস করছে শিশুসহ বহু শরণার্থী। সম্প্রতি কয়েকদিনে হাজার হাজার শরণার্থী উত্তর-পশ্চিম বেলারুশের দক্ষিণ গ্রোদনোর কুজনিকা ক্রসিং এ জড়ো হয়েছে। সোমবার শরণার্থীরা সীমান্ত বেষ্টনী ভেঙে বেলারুশের অংশের একটি ক্রসিং জড়ো হয়। পোলিশ সীমান্তরক্ষী সেনারা তাদেরকে পোল্যান্ডে ঢুকতে বাধা দিলে সংঘর্ষ বেধে যায়। মঙ্গলবার সকালে শরণার্থীরা কুজনিকে একটি সীমান্ত বেড়ায় হামলে পড়লে পোলিশ বাহিনী তাদের ছত্রভঙ্গ করেছে বলে জানিয়েছে পোল্যান্ডের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের টুইটে বলা হয়েছে, “শরণার্থীরা আমাদের সেনা ও কর্মকর্তাদের দিকে পাথর ছুড়ে হামলা করেছে। তারা বেষ্টনী ভেঙে পোল্যান্ডে ঢোকার চেষ্টা করেছে। আমাদের বাহিনী শরণার্থীদের আগ্রাসন দমন করতে টিয়ারগ্যাস ছুড়েছে।” বেলারুশের বাহিনীর বিরুদ্ধে শরণার্থীদেরকে স্টান গ্রেনেড সরবরাহ করা এবং তারা সেগুলো ছোড়ার সময় বেলারুশ বাহিনীর নিষ্ক্রিয়ভাবে দাঁড়িয়ে থাকার অভিযোগ উঠেছে। ইইউ’কে অস্থিতিশীল করতে শরণার্থীদেরকে সীমান্তে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে বলেও বেলারুশের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে। তবে বেলারুশ এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে। ওদিকে, বেলারুশের ঘনিষ্ঠ মিত্র দেশ রাশিয়া শরণার্থীদের ওপর পোলিশ পুলিশের টিয়ারগ্যাস ও জলকামান ব্যবহারের নিন্দা জানিয়ে বলেছে, “এটি কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।” খবরে বলা হয়, শরণার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষে নিরাপত্তা বাহিনীর সাত সদস্য আহত হয়েছে বলে জানায় পোল্যান্ডের পুলিশ। এর আগে গত সপ্তাহে প্রথম বেলারুশ থেকে পোল্যান্ডে প্রবেশের জন্য সীমান্তে জড়ো হয় হাজার হাজার শরণার্থী। বেলারুশের বিরুদ্ধে পোল্যান্ডসহ অন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে শরণার্থী ঢুকিয়ে বিশৃংখলা তৈরির মাধ্যমে চাপ সৃষ্টির চেষ্টার অভিযোগ ইউরোপীয় ইউনিয়নের। শরণার্থী অনুপ্রবেশ করানোর অভিযোগে এরই মধ্যে বেলারুশের বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইইউ। রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেন, শরণার্থী সংকটের জন্য শুধু বেলারুশকে দায়ী করলে চলবে না। ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোকেও দায়িত্ব নিতে হবে। ফ্রান্সের সঙ্গে এ বিষয়ে আমাদের আলোচনা হয়েছে। তারা মিনস্ককে রাজি করাতে আমাদের সহযোগিতা চেয়েছে। কিন্তু শুধু বেলারুশের ওপর বিষয়টি নির্ভর করছে না। অথচ ইইউ দায়িত্ব না নিয়ে বেলারুশের বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপ করে আগ্রাসন চালাচ্ছে। রয়টার্স, বিবিসি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ