পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নগরীর সার্কিট হাউস এলাকায় পাঁচ তারকা হোটেল র্যাডিসন বøুর ২০তম তলা থেকে ‘লাফিয়ে পড়ে’ এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। ওই যুবকের নাম আরিফ কবির (২৪)। তার বাসা ঢাকার মোহাম্মদপুরের তাজমহল রোডে। পুলিশ জানিয়েছে এক সপ্তাহ আগে মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করে অভিমানে তিনি বাসা থেকে বেরিয়ে যান। প্রথমে কক্সবাজার সেখান থেকে আসেন চট্টগ্রামে। সোমবার বিকেলে তিনি ওই পাঁচ তারকা হোটেলে আসেন। রাতে তার মৃত্যু হয়।
হোটেল কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে কোতোয়ালি থানার ওসি নেজাম উদ্দিন জানান, সোমবার বিকালে র্যাডিসন বøুর ২০তম তলার রেস্তোরাঁয় খেতে যান আরিফ। রাত পৌঁনে ৯টার দিকে তিনি বারান্দা থেকে নিচে লাফ দেন এবং ষষ্ঠ তলার বারান্দায় গিয়ে পড়েন। হোটেল কর্তৃপক্ষ তখন পুলিশে খবর দেয়। আরিফকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ওই যুবকের পকেটে কক্সবাজার থেকে ঢাকা যাওয়ার বাসের টিকেট পাওয়া গেছে। তবে কক্সবাজার থেকে সরাসরি ঢাকায় না গিয়ে তিনি চট্টগ্রামে নেমে যান। তার পরিবারের বরাত দিয়ে থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রেজাউল করিম ইনকিলাবকে বলেন, গত ৯ নভেম্বর ছেলের সাথে তার মায়ের ঝগড়া হয়। পরে তিনি বাসা থেকে বের হলে আরিফও বেরিয়ে যান। বাসা থেকে বের হওয়ার পর আরিফ বেশিরভাগ সময় নিজের মোবাইল বন্ধ রাখছিলেন। মাঝে মাঝে ফোন অন করে কথা বললেও পরে আবার ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল। সোমবার মা ও নানার সাথে তার কথা হয়েছিল বলে পরিবারের সদস্যরা পুলিশকে জানিয়েছেন।
পুলিশ জানায়, সোমবার দুপুর পর্যন্ত আরিফের ফোনের লোকেশন ছিল কক্সবাজারে। বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে তিনি নগরীর হোটেল র্যাডিসনে যান। খাবার অর্ডার করে রাত ৮টা ৪৫ পর্যন্ত তিনি টেবিলেই ছিলেন। পরে সেখান থেকে উঠে খোলা বারান্দা থেকে নিচে লাফ দেন। তার আগে চেয়ারে হেলান দিয়ে তিনি দীর্ঘক্ষণ চোখ বন্ধ করে ছিলেন।
রাজধানীর একটি স্কুলে ‘ও’ লেভেল পড়ছিলেন তিনি। জটিল একটি অসুখের কারণে পড়া লেখায় পিছিয়ে পড়েন আরিফ। এ নিয়ে মানসিক অশান্তিতে ছিলেন তিনি। তার বাবা এনামুল হক সেনানিবাসে অসামরিক কর্মকর্তা ছিলেন। বিগত ২০১৯ সালে তিনি মারা যান। তিন ভাই বোনের মধ্যে আরিফ সবার বড়। আরিফের এমন মৃত্যুর খবরে চট্টগ্রামে ছুটে আসেন মা ফারহানা দোজা ইভা। তিনি বাদি হয়ে কোতোয়ালী থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করেছেন। ময়না তদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিকে নগরীর পাঁচলাইশ থানার খতিবের হাট এলাকায় অভিমানে আত্মহত্যা করেছে মো. আরমান (১৫) নামের এক কিশোর। সোমবার রাত ৮টায় বুডুম সওদাগার গলির হোসেন কলোনিতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আরমান হোসেন ব্রা²ণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার মোহাম্মদ মোস্তফার ছেলে। থানার ওসি জাহিদুল কবির জানান, আরমান মানসিকভাবে কিছুটা অসুন্থ ছিলো। রাতে বাসায় সবার অগোচরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে সে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।