গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
রাইদা পরিবহনের একটি বাস থেকে ১০ বছরের এক মেয়ে শিশুকে ফেলে হত্যার ঘটনায় দুইজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড আ্যকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। নিহত শিশুটির নাম মরিয়ম আক্তার। গত ৯ নভেম্বর সকালে রাজধানীর ভাটারার যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে এই ঘটনা ঘটে। শুক্রবার (১২ নভেম্বর) রাতে রাজধানীর আব্দুল্লাহপুর ও টঙ্গী এলাকায় অভিযান চালিয়ে ঘটনায় জড়িত অভিযুক্ত দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। তারা হলেন- রাইদা পরিবহনের চালক রাজু মিয়া (২৫) ও তার সহযোগী ইমরান হোসেন (৩৩)।
র্যাব বলছে, নিহত মেয়েটি ভিক্ষাবৃত্তির সঙ্গে জড়িত ছিল। ঘটনার দিন সে সাহায্য চাইতে বাসটিতে উঠেছিল। হেলপার এসময় তাকে বলে, এটা গেটলক বাস। এই বলে বাসের গেট খুলে চলন্ত বাস থেকে মরিয়মকে ফেলে দেওয়া হয়। এতে গুরুতর আহত অবস্থায় ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরবর্তীতে স্থানীয়রা তাকে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
শনিবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সংস্থাটির লিগ্যাল আ্যন্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। তিনি বলেন, ঘটনার দিন সকালে রাজধানীর ভাটারার যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে রাইদা পরিবহনের বাস থেকে মরিয়মকে ফেলে দেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়। এসময় শিশুটির বাবা রনি মিয়া জানতে পারেন ভাটারা এলাকায় একটি মেয়ে শিশুর মরদেহ পাওয়া গেছে। ওইদিন বিকেলে তিনি মেয়ের মরদেহ শনাক্ত করেন। পরে এই ঘটনায় রাতেই অজ্ঞাত গাড়িচালককে আসামি করে মামলা দায়ের করেন তিনি।
পরবর্তীতে র্যাব এই ঘটনার ছায়া তদন্ত শুরু করে। এসময় র্যাব ঘটনাস্থল ও আশপাশের প্রায় ৫০টির বেশি সিসিটিভি ছাড়াও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে। এরপরই শিশুটির মৃত্যু রহস্য উদঘাটন হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।