Inqilab Logo

শনিবার ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ২৯ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

জলবায়ু ঝুঁকি তহবিলের অর্থ ব্যয়ে সচ্ছতা নিশ্চিতকরণ জরুরি

ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির ছায়া সংসদে বক্তারা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১২ নভেম্বর, ২০২১, ১১:৪৮ পিএম

উন্নত বিশ্ব কার্বন নি:সরণের মাধ্যমে জলবায়ু ঝুঁকি তৈরি করলেও ঝুঁকি নিরসনে বিশ্ব নেতৃবৃন্দ প্রত্যাশিত ভূমিকা পালন করছেন না। বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমিত রাখার উদ্যোগের প্রতি বিশ্ব নেতৃবৃন্দ সম্মত হতে ব্যর্থ হলে জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলনের সফলতা প্রশ্নবিদ্ধ হবে। এছাড়া প্যারিস চুক্তি অনুযায়ি প্রতিশ্রুত অর্থ ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোতে দিতে হবে। তবে জলবায়ুর ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোকে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতার আলোকে জলবায়ু ঝুঁকি নিরসন কৌশল নির্ধারণ করতে হবে। আন্তর্জাতিক পরিসরে বাংলাদেশ নেগোসিয়েশন প্রক্রিয়ায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবেলায় প্রাপ্ত অর্থ ব্যয়ের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা জরুরি এবং এজন্য প্রকল্প ব্যবস্থাপনায় স্থানীয় সরকারসহ জনগোষ্ঠিকে সম্পৃক্ত করতে হবে। আজ শুক্রবার বিকেলে তেজগাঁওস্থ’ এফডিসিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির ছায়া সংসদে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মাহবুবা নাসরীন এসব কথা বলেন।

অন্যদিকে সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, জলবায়ু চুক্তির খসড়া দেখে মনে হচ্ছে এতে অনেক ফাঁক রয়েছে। জলবায়ু সম্মেলনে বিশ্ব নেতারা নানা প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তবে সেসব পালন করছে না। কপ-২৬ এর এই সম্মেলনকে রাজনীতিবিদ ও এনজিও কর্মীদের ২সপ্তাহের একটি উৎসব হিসেবে মনে হচ্ছে। এই সম্মেলনে জলবায়ু পরিবর্তনে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার অনেক কিছু পাশ কাটানো হয়েছে। মনে হয়েছে জলবায়ু ঝুকি হ্রাসের নামে এই সম্মেলনে বিভিন্ন দেশের নেতা-কর্মকর্তারা উৎসব করতে গ্লাসগোতে যোগ দিয়েছে। গরীব দেশগুলো কিভাবে জলবায়ু সঙ্কট মোকাবেলা করবে, অর্থের যোগান দেবে, পরিবেশ ক্ষতির জন্য বেশি দায়ি দেশগুলোর করনীয় কি, এর কোন স্পষ্ট দিক নির্দেশনা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে এবারের জলবায়ু সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার কূটনৈতিক বিচক্ষনতায় বিশেষ সফলতা দেখিয়েছেন। বিবিসির জরিপে কপ২৬ এর প্রভাবশালী ৫জন নেতার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কথা তারা উল্লেখ করেছে। যা আমাদের জন্য উৎসাহব্যাঞ্জক। তিনি আরো বলেন, পরিবেশ রক্ষার জন্য বাংলাদেশ ১২ বিলিয়ন ডলারের ১০টি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ বাতিল করার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই ছায়া সংসদ সে সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানায়। একইসাথে জলবায়ু সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী যে ৪দফা দাবি তুলেছেন তার প্রতিও আমরা পূর্ণ সমর্থন জানাচ্ছি। একইসাথে বাংলাদেশকে জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবেলায় ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির পক্ষ থেকে নিন্মের ১০ দফা সুপারিশ করছি। আগামী দশ বছরের জন্য খড়ংং ধহফ উধসধমব ঋঁহফ চালু করা , বাংলাদেশে জলবায়ু উদ্বাস্ত¡দের জন্য আন্তর্জাতিক সাহায্য নিশ্চিত করা, জলবায়ু তহবিলের টাকা ব্যয়ে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা, গ্রীন ক্লাইমেট ফান্ডের প্রকল্প দাখিল প্রক্রিয়া সহজীকরণ করা, ন্যাশনাল এডাপটেশন পরিকল্পনা চূড়ান্ত করে তা অংশীজনদের অবহিত করা, জলবায়ু ঝুঁকি নিরসন সংক্রান্ত গবেষণায় বিশ্ববিদ্যালয়সমূহকে সহায়তা প্রদান করা, প্যারিস এগ্রিমেন্ট বাস্তবায়নের জন্য সমন্বিত কর্সূচী গ্রহণ, জলবায়ু ঝুঁকি নিরসন কাযক্রমে বেসরকারি খাতকে সম্পৃক্ত করা, সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের জন্য টেকসই, সবুজ ও প্রকৃতিভিত্তিক সমাধান অর্জনে জ্ঞান, গবেষণা, সক্ষমতা তৈরি এবং প্রযুক্তি হস্তান্তর বাড়ানোর জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং জলবায়ু ঝুঁকি হ্রাসে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপকে আরো বেশি উৎসাহিত করা। প্রতিযোগিতায় সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটিকে পরাজিত করে ও স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির বিতার্কিকরা বিজয়ী হয়। প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারী দলের মাঝে ট্রফি ও সনদপত্র প্রদান করা হয়। প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন, অধ্যাপক আবু মোহাম্মদ রইস, ড. এস এস মোর্শেদ, ড. দিলারা জাহিদ, সাংবাদিক শাহরিয়ার অনির্বান ও সাংবাদিক অন্তরা বিশ্বাস।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ডিবেট


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ