Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিএসএফ’র এলাকা বৃদ্ধি নিয়ে ক্ষুব্ধ মমতা

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১২ নভেম্বর, ২০২১, ৪:২২ পিএম

ভারতের সীমান্ত রক্ষী বিএসএফ’র এলাকা বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা করতে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয়কুমার ভাল্লা। রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব বিপি গোপালিকা ছাড়াও বৈঠকে থাকবেন ডিজি মনোজ মালব্য। সীমান্তবর্তী জেলাগুলোর প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গেও বৈঠক করার কথা রয়েছে তার।

এদিকে, বিএসএফ’র এলাকা বৃদ্ধির সিদ্ধান্তে চরম অসন্তুষ্ট রাজ্য। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আগে বিএসএফ-এর হাতে ছিল ১৫ কিমি। এখন বলছে ৫০ কিমি পর্যন্ত ওনারা ঘুরতে পারবেন। এর মানেটা কী?’ যদিও মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট করে বলেন, তিনি বিএসএফ’র বিরোধী নন। তার ক্ষোভ, যে সব ব্যক্তিরা রাজনৈতিক কারণে সীমান্তকে অশান্ত করতে এই সব সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে। তার অভিযোগ, রাজ্যের সঙ্গে পরামর্শ না করেই যে ভাবে সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে আন্তর্জাতিক সীমান্তের ভিতরে ৫০ কিমি ঢোকার অনুমতি প্রদান করা হয়েছে, তা যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোর সঙ্গে একেবারেই সাজুয্যপূর্ণ নয়৷

গত ১১ অক্টোবর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়, যেখানে আন্তর্জাতিক সীমান্ত রক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী বিএসএফ-এর হাতে বাড়তি ক্ষমতা তুলে দেয়া হয়৷ নতুন কেন্দ্রীয় নির্দেশিকার বলে দেশের রাজ্য গুলির সীমান্তবর্তী এলাকার ৫০ কিমি ভিতরে ঢুকে কোনও অভিযুক্তকে গ্রেফতার বা আটক করতে পারবে বিএসএফ, বাজেয়াপ্ত করতে পারবে যে কোনও প্রকারের সামগ্রী৷ আগে এই পরিধি ছিল ১৫ কিমি৷ পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও পঞ্জাব ও অসম সীমান্তেও এই একই নির্দেশ জারি হয়।

সূত্রের খবর, এই ভাবে বাড়তি ৩৫ কিমি এলাকা বিএসএফ কার্যকলাপের অধীনে চলে আসায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনস্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে তীব্র আপত্তি জানায় তৃণমূল কংগ্রেস৷ তাদের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই নির্দেশিকার জেরে রাজ্যের ২৩টি জেলার মধ্যে ১০টি প্রভাবিত হচ্ছে, মোট ৪২টি লোকসভা আসনের মধ্যে প্রভাবিত হচ্ছে ২১টি৷ বাংলাদেশের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের আন্তর্জাতিক সীমান্তের দৈর্ঘ্য ২২১৬ কিমি৷ রাজ্যের শাসকদলের অভিযোগ বিএসএফ-এর হাতে অতিরিক্ত ক্ষমতা তুলে দেয়ার ফলে বাংলাদেশ সীমান্তে অবস্থিত রাজ্যের অধিকাংশ এলাকা প্রভাবিত হয়ে পড়বে, যা একেবারেই কাঙ্ক্ষিত নয়৷ সূত্র: টিওআই।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মমতা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ