পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গোটা দক্ষিণাঞ্চলে বিএনপির অস্তিত্ব সঙ্কট আসন্ন? এমন প্রশ্ন সাধারণ মানুষের মধ্যে জোড়ালো হতে শুরু করলেও রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বিষয়টির সাথে সম্পূর্ণ দ্বিমত পোষণ করছেন না। গত কয়েক বছর ধরেই পটুয়াখালী, ভোলা, পিরোজপুর ও ঝালকাঠিতে দেশের প্রধান বিরোধী দলের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড প্রায় শূন্যের কোঠায়। এসব জেলার নেতৃবৃন্দ ঢাকায় বসবাস করায় মাঠ কর্মী থেকে শুরু করে এলাকার সাথে অনেকটাই যোগসূত্রহীন। বরগুনায় দলটির অস্তিত্ব অনেক আগে থেকেই ধরে রাখতে পারছেন না বর্তমান নেতৃত্ব। শুধুমাত্র বরিশাল মহানগর ও দুটি সাংগঠনিক জেলা কমিটি সভা-সমাবেশসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করে এতদিন সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখলেও গত বুধবার রাতে সেসব কমিটি বাতিল করে নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠনের পরে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা দলটির ভবিষ্যত নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করতে শুরু করেছেন।
গত বুধবার রাতে জাতীয় পার্টি থেকে আসা মনিরুজ্জামান ফারুককে আহ্বায়ক ও নগরীর ১৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মীর জাহীদুল কবির জাহিদকে সদস্য সচিব করে মহানগর কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। কমিটিতে যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়েছে অ্যাডভোকেট আলী হায়দার বাবুলকে। এর আগে দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মুুজিবুর রহমান সারোয়ার সভাপতি ও জিয়াউদ্দিন সিকদার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ছিলেন মহানগর বিএনপির।
অপরদিকে বরিশাল উত্তর জেলা কমিটিও বিলুপ্ত করে দেওয়ান মোহম্মদ শহিদুল্লাহকে আহ্বায়ক ও মিজানুর রহমান মুকুলকে সদস্য সচিব ঘোষণা করা হয়েছে। এ কমিটির সভাপতি ছিলেন সাবেক এমপি মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ। দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে অ্যাডভোকেট মজিবর রহমান নান্টুকে। সদস্য সচিব আকতার হোসেন মেবুল। এতদিন দক্ষিণ জেলা কমিটির সভাপতি ছিলেন এবাদুল হক চান, সম্পাদক ছিলেন শাহিন। কমিটি ঘোষণার পরে পদ পাওয়া নেতৃবৃন্দসহ তাদের অনুসারীরা দলীয় কার্যালয়ে মিষ্টি বিতরণসহ আনন্দ-উল্লাস করেছে বরিশাল মহানগরীতে। গত কয়েকমাস ধরেই বরিশাল মহানগর কমিটি বিলুপ্ত করতে কেন্দ্রের ওপর চাপ তৈরি হচ্ছিল। দলের শীর্ষ পর্যায়ের কোন কোন নেতা মুজিবুর রহমান সারোয়ারকে অনেক আগে থেকেই পছন্দ করতেন না, তা অনেকের জানাও ছিল। সে সুযোগকে কাজে লাগাতে অনেক আগে থেকেই তৎপড়তাও ছিল। স্থানীয়ভাবেও দলের ভেতরে প্রতিপক্ষরা পদ পেয়ে এখন বেজায় খুশি।
তবে নতুন আহ্বায়ক কমিটিসহ তাদের অনুসারীরা যথেষ্ট আশাবাদী। খুশি মুুুজিবুর রহমান সারোয়ারের দলীয় প্রতিপক্ষরাও। আর দলটির রাজনৈতিক প্রতিপক্ষও এ কমিটি নিয়ে সন্তুষ্ট। কারণ বর্তমান দুর্বল গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় শক্তিশালী রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের চেয়ে মেরুদণ্ডহীন বিরোধী দলই আশা করেন অনেকে। কারণ ১৯৭৩ সালের পরে সবগুলো নিরপেক্ষ নির্বাচনেই দক্ষিণাঞ্চলের প্রাণকেন্দ্র বরিশাল সদর আসনটি ছিল বিএনপির দখলে।
তবে এসব বিষয়ে কোন মন্তব্য করেননি বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও অধুনালুপ্ত মহানগর কমিটির সভাপতি মুজিবুর রহমান সারোয়ার।
এ ব্যাপারে ঢাকায় অবস্থানরত নতুন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মুনিরুজ্জামান ফারুক বলেছেন, বিএনপি শুধু শহীদ জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়ার। সারোয়ার, কামাল ও ফারুক জিন্দাবাদ বলে কোন স্লােগান থাকবে না। দক্ষিণ জেলা বিএনপির নতুন আহ্বায়ক মুজিবুর রহমান নান্টু বলেছেন, এটা আমার ও নেতা-কর্মীদের দীর্ঘদিনের প্রাপ্তি ছিল। দল বিলম্বে হলেও তা পূরণ করেছে। দায়িত্ব পেয়েছি, অতীতের আলোকে তা পালন করব বলেও জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।