মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
যৌথ অনুসন্ধানে ইথিওপিয়ার টাইগ্রে অঞ্চলে সরকার ও বিদ্রোহীদের মধ্যে সংঘাতে মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত হওয়ার প্রমাণ পেয়েছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর ও ইথিওপিয়া সরকারের প্রতিষ্ঠিত মানবাধিকার কমিশন (ইএইচআরসি) যৌথভাবে এ অনুসন্ধান চালায়। টাইগ্রের বিদ্রোহীদের রাজধানী আদ্দিস আবাবা অভিমুখে অগ্রসর হওয়ার ঘোষণার প্রেক্ষিতে জারি হওয়া জরুরি অবস্থার মধ্যেই বুধবার এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এতে ১ হাজার ৩০০ ধর্ষণের ঘটনা উঠে আসে। এছাড়াও অনেক ঘটনা এই প্রতিবেদনের বাইরে রয়ে গেছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনার মিশেল বাশেলেট বলেছেন, টাইগ্রের সংঘাত চরম নৃশংসতার নজির তৈরি করেছে। সংবাদ সম্মেলনে বাশেলেট বলেন, টাইগ্রেতে বেসামরিক মানুষ ভোগান্তি ও চরম নৃশংসতার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছেন। যৌথ অনুসন্ধান দল এ ধরনের অসংখ্য ঘটনা পেয়েছে যেখানে অবিচারমূলক হত্যা, বিচার বহির্ভূত হত্যা, নির্যাতন, যৌনতা ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা, শরণার্থী ও বেসামরিক মানুষজনের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির মত ঘটনা ঘটেছে। ইথিওপিয়া ও ইরিত্রিয়ার নিরাপত্তা বাহিনীর দ্বারা সংঘটিত আন্তর্জাতিক আইনে অপরাধমূলক এসব ঘটনা নথিভূক্ত করা হয়েছে নভেম্বর ২০২০ থেকে জুন পর্যন্ত। তখন থেকে জাতিসংঘের নজরে আসে, ইথিওপিয়া ও ইরিত্রিয়ার নিরাপত্তা বাহিনীর মত একই ঘটনা ঘটিয়েছে তাইগ্রের বিদ্রোহী বাহিনীও। জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনার মিশেল বাশেলেট বলেন, এটা গুরুত্বপূর্ণ যে, সবধরণের বৈরিতার সমাপ্তি টানতে সকল পক্ষকে বারবার মনোযোগ দিতে হবে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ইথিওপিয়ার সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে তাইগ্রের বিদ্রোহী যোদ্ধা ও তাদের বেসামরিক সমর্থকদের নির্যাতনের বেশ কিছু প্রমাণ পাওয়া গেছে। অন্যদের গোপন জায়গায় বন্দী করে রাখা হয়। বিপরীতে টাইগ্রের বিদ্রোহীরা বেসামরিক আমহারা জাতির লোকজনকে বন্দী করে রাখা, সেনাবাহিনীকে সমর্থন ও সহযোগিতা করার অভিযোগে নির্যাতন করার বিষয়টি প্রতিবেদনে উঠে আসে। এ প্রতিবেদনকে তার সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ বলে মন্তব্য করেছেন ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ। সেই সাথে টাইগ্রের বেসামরিক মানুষজনকে মানবিক সহায়তা দেয়ার অনুরোধকেও প্রত্যাখান করেন তিনি। রয়টার্স, বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।