আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া। দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে হওয়া ম্যাচটিতে প্রথমে ব্যাট করে ১৫ ওভার খেলে মাত্র ৭৩ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। এই রান অজিরা মাত্র ৬.২ ওভারে খেলে টপকে যায়। ফলে আরো ৮২টি বল হাতে থাকে জাস্টিন ল্যাঙ্গারের শির্ষ্যদের।
এই ৮২টি বল হাতে রেখে জয় তুলে নিয়ে বিশ্বকাপে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বল বাকি থাকতে জয়ের রেকর্ড গড়েছে অস্ট্রেলিয়া। মাত্র আট বলের ব্যবধানের জন্য রেকর্ড গড়া হয়নি অজিদের। বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি বল হাতে রেখে জয়ের রেকর্ডটির মালিক হলো শ্রীলঙ্কা। ২০১৪ সালে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ৪০ রানের টার্গেট নিয়ে খেলতে নেমে ৯০ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌছে যায় লঙ্কানরা।
এদিকে বাংলাদেশের দেয়া এই মামুলি টার্গেট নিয়ে খেলতে নেমে শুরুতেই ঝড় তোলেন দুই ওপেনার অ্যারন ফিঞ্চ ও ডেভিড ওয়ার্নার। তবে তাদের জুটি ভাঙে দলীয় ৫৮ রানের সময়। এ সময় ২০ বল খেলে ৪০ রান করে তাসকিনের বলে বোল্ড হন তিনি। এরপর ওয়ার্নার ৬৭ রানের সময় ১৮ রান করে শরিফুলের বলে বোল্ড আউট হন। বাকি কাজটা মিচেল মার্শ ১৬ রান করে সম্পন্ন করেন।
এর আগে প্রথমে ব্যাট করে ৭৩ রান করায় আজও বিশ্বকাপে নিজেদের সর্বনিম্ন রানের লজ্জার রেকর্ড ভাঙার হাত থেকে বেঁচে গেছে টাইগাররা। নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে লজ্জার রেকর্ড গড়ায় শঙ্কায় পরেও সেবার তা পার করতে সমর্থ হয়েছিল বাংলাদেশ। আজ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও লজ্জার হাত থেকে বেঁচেছে টাইগাররা।
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সর্বনিম্ন রান হলো ৭০। ভারতের মাটিতে হওয়া ২০১৬ বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এ রান করেছিল বাংলাদেশ।
এর আগে দুবাই স্টেডিয়ামে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে পাওয়ার প্লেতেই চার উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। সব মিলিয়ে প্রথম ১০ ওভারে পাঁচটি উইকেট হারিয়ে ৫৮ রান তুলতে সমর্থ হয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। প্রথম ১০ ওভারে মূলত
অজি পেসারদের গতির কাছে পরাজিত হয়েছে টাইগার ব্যাটসম্যানরা। ম্যাচের প্রথম ওভারে কোন রান করার আগে মিচেল স্টার্কের বলে বোল্ড হন লিটন দাস। একই ভাগ্য বরণ করেন সৌম্য সরকারও। তিনি ৫ রান করে জস হ্যাজেলউডের বলে বোল্ড হন। কয়েকদিন ধরে রান খরায় ভোগা মুশফিক ১ রান করে ম্যাক্সওয়েলের বলে এলবিডব্লিউ আউট হন। তখন দলের রান মাত্র ১০। এই সময়ে কিছুটা ধরে খেলার চেস্টা করেন নাঈম শেখ ও অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। দুজন মিলে বেশ কয়েকটি বাউন্ডারিও হাঁকান। তবে দলীয় ৩২ রানের সময় নাঈম হ্যাজেলউডের গতির বল মারতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন। তিনি ১৭ রান করে ফেরেন। এরপর চাপ আরো বাড়ে অ্যাডাম জাম্পার বলে আফিফ কোন রান করেই সাজঘরে ফিরলে।
এরপর ১১তম ওভারেই জাম্পার বলে ফেরেন শামীম। তিনি ১৯ রান করেন। জাম্পার পরের বলেই এলবিডব্লিউ আউট হন মেহেদী হাসান। অ্যাডাম জাম্পা এরপর নিজের চতুর্থ ওভারে মোস্তাফিজকে ৪ ও শরিফুলকে শূণ্য রানে ফেরান।