পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভূমিধ্বস পরাজয়ের পর থেকেই দল পুনর্গঠনের মনোযোগ দেয় বিএনপি। অঙ্গসংগঠন থেকে শুরু করে মূল দল প্রতিটিই তৃণমূল থেকে ঢেলে সাজানো শুরু করে দলটি। ইতোমধ্যে ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল সেটি করেও ফেলেছে। এখন চলছে বিএনপির পুনর্গঠন। তবে বিগত আন্দোলন-সংগ্রামে দলটির সবচেয়ে বেশি দুঃশ্চিন্তায় ফেলেছে ঢাকা মহানগর। সারাদেশে আন্দোলন সফল হলেও ঢাকার নেতারা ব্যর্থতার পরিচয় দেন। রাজনৈতিকভাবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই জায়গাটিতে কার্যকর কোন ভূমিকা রাখতে পারেননি নেতাকর্মীরা। ফলে আগামী নির্বাচন, ওই নির্বাচনে নিরপেক্ষ সরকারের দাবি আদায় এবং নির্বাচন কমিশন গঠনসহ বেশি কিছু ইস্যুতে ফের আন্দোলনে নামার ঘোষণা দিচ্ছেন দলটির শীর্ষ নেতারা। তার আগে ঢাকা মহানগরে পরিবর্তন আনা হয়েছে নেতৃত্বে। এরপর থেকেই ঢেলে সাজানোর কাজ করছেন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা।
গত ২ আগস্ট ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। উত্তরে আমানউল্লাহ আমানকে আহ্বায়ক ও আমিনুল হককে সদস্য সচিব করা হয়। দক্ষিণে আব্দুস সালামকে আহ্বায়ক ও রফিকুল আলম মজনুকে সদস্য সচিবের দায়িত্ব দেয়া হয়।
২১ আগস্ট উত্তরে যুবদলের আহ্বায়ক করা হয় শফিকুল ইসলাম মিল্টনকে ও সদস্য সচিব মোস্তফা জগলুল পাশা পাপেলকে। আর দক্ষিণে আহ্বায়ক গোলাম মাওলা শাহিন ও সদস্য সচিব খন্দকার এনামুল হক এনাম। এর আগে ১৪ জুলাই মহানগরের ৪টি (উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব, পশ্চিম) শাখায় নতুন কমিটি দেয় ছাত্রদল।
বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলের নতুন নেতৃত্ব এবং স্বেচ্ছাসেবক দলসহ অন্যান্য সংগঠনের মহানগরের নেতৃবৃন্দকে নভেম্বরের মধ্যে মহানগরের সকল ইউনিটে কর্মীসভা ও নতুন কমিটি গঠনের নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
আগামীতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার দাবি আদায়ের লক্ষ্যে যে আন্দোলন কর্মসূচি দেওয়া হবে তাতে সফল হওয়ার জন্যই মূলত মহানগর কমিটিতে নতুন মুখ আনা হয়েছে। তৈরি করা হয়েছে রোডম্যাপ। সে অনুযায়ী কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন মহানগর নেতারা। জানা গেছে, নতুন কমিটিতে যারা দায়িত্ব পেয়েছেন তারা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন অতীতের মতো কর্মসূচি ডেকে ঘরে বসে থাকবেন না। এবারের আন্দোলনে সব পর্যায়ের নেতাদের রাজপথে দেখা যাবে। তাদের কথার ওপর বিশ্বাস রেখে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান মহানগরে নতুন কমিটি দিয়েছেন।
বিএনপি ও যুবদল সূত্রে জানা যায়, নতুন কমিটি ঘোষণার পরপরই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নতুন নেতৃবৃন্দকে দ্রুততম সময়ে মহানগর পুনর্গঠনের নির্দেশ প্রদান করেন। এরপরই থেকেই প্রতিটি সংগঠন মহানগরের থানা ও ওয়ার্ডে কর্মীসভা করছেন নেতারা।
জানতে চাইলে যুবদল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক গোলাম মাওলা শাহিন বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান একটি লক্ষ্য নির্ধারণ করে দিয়ে আমাদেরকে দায়িত্ব দিয়েছেন। কিভাবে সংগঠনকে পুনর্গঠন ও শক্তিশালী করবো দিয়েছেন সেই দিক-নির্দেশনাও। আমরা সেভাবেই কাজ করছি। আশা করি, গণতন্ত্র, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও দেশের মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য তিনি যে আন্দোলনের ডাক দিবেন সেখানে যুবদল অগ্রণী ভূমিকা রাখবে।
এদিকে ঘরোয়াভাবে প্রায় প্রতিদিনই বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন মহানগরের নতুন নেতারা। দুই মহানগরের সব ওয়ার্ড কমিটি ইতোমধ্যে বিলুপ্ত করা হয়েছে। করা হয়েছে সাংগঠনিক টিম। প্রতিটি টিমই ওয়ার্ডে, ওয়ার্ডে গিয়ে কর্মী সভা করছেন। নতুন করে দায়িত্ব দেওয়ার কাজও চলছে ওয়ার্ড ও থানা শাখায়।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ত্যাগী ও রাজপথে থাকার মতো নেতাদের হাতে নতুন করে ওয়ার্ড ও থানা কমিটির দায়িত্ব দেওয়া হবে। সে লক্ষ্যে একটি রোডম্যাপ তৈরি করেছে দুই মহানগরের নেতারা। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশনা অনুযায়ী এই রোডম্যাপ তৈরি করা হয়েছে। সে অনুযায়ী মহানগরের প্রতিটি ওয়ার্ড কমিটি নতুন করে গঠন করা হবে। সংগঠনকে গতিশীল ও আন্দোলন বেগবান করতে যোগ্য ও পরীক্ষিত নেতাদের নিয়ে ওয়ার্ড কমিটি গঠন করা হবে। আন্দোলনে মামলার শিকার নেতাকর্মীদের সহায়তা দিতে আইনি সহায়তা সেল গঠন করা হয়েছে। আহত নেতাকর্মীদের চিকিৎসার জন্য চিকিৎসা সহায়তা সেল গঠন করেছে মহানগর বিএনপি।
ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক বলেন, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির লক্ষ্যই হচ্ছে তৃণমূলকে সংগঠিত করা। তৃণমূল শক্তিশালী হলেই রাজপথের আন্দোলন সফল হবে। উত্তরের সকল পর্যায়ের নেতৃত্ব হবে তৃণমূলের মাধ্যমে নির্বাচিত। নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবী আদায়ে ঢাকা মহনগর ভূমিকা রাখবে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণেল আহ্বায়ক আব্দুস সালাম বলেন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান যে লক্ষ্য নিয়ে আমাদের দায়িত্ব দিয়েছেন আমরা সে লক্ষ্যেই কাজ করছি। প্রতিটি থানা ও ওয়ার্ডে আমরা নতুন নেতৃত্ব নির্বাচিত করবো এবং আগামী দিনে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে যে আন্দোলন হবে সেটির জন্যই আমাদের প্রস্তুতি চলছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।