বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
খুলনার রেললাইনগুলোর পাশে রয়েছে বেশ কিছু বস্তি। বসবাসকারী দরিদ্র পরিবারগুলোর বেশীরভাগ বাবা মা কোথাও না কোথাও জীবিকার তাগিদে কাজ করেন। পরিবারের শিশুগুলো অভিভাবকহীন ভাবেই সারা দিন পার করে। বস্তি এলাকাগুলো অতিক্রমের সময় ট্রেনগুলো তাদের গতি সীমিত করে ফেলে। এ সুযোগটি নেয় ওই সব শিশুরা। দিনভর তারা অপেক্ষায় থাকে কখন ট্রেন যাবে। ট্রেন এলেই দৌড়ে ইঞ্জিন, বগীর হাতল ধরে ঝুলে পড়ে। অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এ খেলাটি তাদের কাছে খুব আনন্দের। খেলাটির নাম তারা দিয়েছে ‘টেরেন টেরেন’। অসংখ্য মানুষের সামনে এ খেলা তারা খেললেও কেউ তাদের বাঁধা দেয় না।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নগরীর আলমনগর, গাবতলা এলাকা থেকে একটি লাইন সোজা চলে গেছে রাষ্ট্রীয় তেল ডিপোতে। লাইনের দু’ পাশে বস্তি। সেখানে দিনে ৪ থেকে ৫ বার আসা যাওয়া করে তেলবাহী ট্রেনগুলো। বৈকালী জংশন এলাকা, শিববাড়ী দশতলা ভবনের পিছনে, দৌলতপুর রেলগেট এলাকা, ফুলবাড়ীগেট এলাকার বস্তিগুলোর পাশ দিয়ে ধীরগতির ট্রেন, মালবাহী ট্রেন চললেই শিশুরা ঝুলে পড়ে। বেশীরভাগ শিশুর বয়স ৮ থেকে ১২। এমনও দেখা গেছে, নগরীর বৈকালী এলাকা থেকে ধীরগতির মালবাহী ট্রেনে ঝুলে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরে খুলনা রেলষ্টেশনে শিশুরা নামছে।
নগরীর আলমনগর এলাকায় বস্তির কয়েকজনের সাথে কথা বললে তারা জানান, শিশুদের নিষেধ করলেও তারা তা শোনে না। ট্রেনের শব্দ শুনলেই তাদের ঘরে আটকে রাখা যায় না। তাছাড়া অনেক পরিবারের শিশুরা সারাদিন রেললাইনেই খেলা করে।
এ বিষয়ে খুলনা রেলওয়ে ষ্টেশনের দায়িত্বে থাকা ষ্টেশন মাষ্টার মানিক চন্দ্র সাহা জানান, এ ধরণের অভিযোগ আমাদের কাছে রয়েছে। বস্তিতে থাকা পরিবার ও আশেপাশের মানুষের সচেতন হওয়া দরকার। খুব দ্রুত রেলের উচ্ছেদ অভিযান শুরু হওয়ার কথা রয়েছে বলেও তিনি জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।