পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন জলবায়ু পরিবর্তনে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর অধিকার আদায়ে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তখন এবিষয়ে বিএনপিসহ দেশের অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর চিন্তার ঘাটতি লক্ষণীয়।
গতকাল সোমবার বিকেলে রাজধানীর কাকরাইলে তথ্য ভবন সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরাম (বিসিসিজেএফ) আয়োজিত গ্লাসগো কপ ২৬ সম্মেলন: বাংলাদেশের প্রস্তুতি ও প্রত্যাশা› শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
ড. হাছান বলেন, ২০০৯ সালে বিশ্বের দেশগুলো জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বৈশ্বিক চুক্তিতে উপনীত হতে পারলেও বিভিন্ন দেশ যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তা এখনো পর্যন্ত পূরণ হয়নি। ফলে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং ইতোমধ্যে ১ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেয়েছে। অথচ চুক্তির লক্ষ্য ছিল প্রাক-শিল্প যুগের তুলনায় ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধির মধ্যে উষ্ণতা রাখা। বৈশ্বিক উষ্ণায়নসহ জলবায়ু পরিবর্তনের বিভিন্ন ঝুঁকিতে পড়া দেশগুলোসহ বাংলাদেশের ওপর এর সরাসরি প্রভাবের কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা, মরুময়তা ও লবণাক্ততা বৃদ্ধির সাথে ঋতুবৈচিত্র্যে অসামঞ্জস্যসহ নানা পরিবর্তন সুস্পষ্ট।
হাছান মাহমুদ বলেন, ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম-সিভিএফ দেশগুলোর চেয়ারপার্সন হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই উষ্ণায়নের জন্য দায়ী দেশগুলো যাতে তাদের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করে, সেজন্য নানা আন্তর্জাতিক কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন। অপরদিকে বিরোধী দল বিএনপি শুধু সরকারের সমালোচনা আর নির্বাচন বর্জনের অপরাজনীতিতেই সীমাবদ্ধ, বলেন এই সাবেক বন ও পরিবেশমন্ত্রী।
বিসিসিজেএফ সভাপতি কাওসার রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন স্বাগত বক্তব্য ও মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান ‹কপ ২৬ জলবায়ু সম্মেলন : বাস্তবতা ও আমাদের প্রত্যাশা› প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। প্রধান তথ্য অফিসার মো. শাহেনুর মিয়া, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদফতরের মহাপরিচালক স. ম. গোলাম কিবরিয়া এসময় উপস্থিত ছিলেন।
বিসিটিআই›র ৮ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে তথ্যমন্ত্রী
অপদিকে গতকাল বিকালে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউটের (বিসিটিআই) ৮ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অগ্রযাত্রায় নবতরঙ্গ শ্লোগানে কাকরাইলে তথ্য ভবন মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা ও চলচ্চিত্র প্রদর্শনীতে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউটে প্রশিক্ষিতদের নির্মিত চলচ্চিত্র ও টিভি অনুষ্ঠান আনন্দের পাশাপাশি সমাজের জন্য বার্তা দেবে, সমাজকে এগিয়ে নিতে ভূমিকা রাখবে, এ আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। একইসাথে তাদের নির্মিত চলচ্চিত্র ও অনুষ্ঠান সমাজে খ্যাতি ও অর্থের পেছনে মানুষের নিরন্তর ছুটে চলা থেকে নতুন প্রজন্মকে বেরিয়ে আসতে পথ দেখাতে পারে বলেন তিনি।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব ও বিসিটিআই পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মো. মকবুল হোসেনের সভাপতিত্বে বিসিটিআই এর প্রধান নির্বাহী মো. আবুল কালাম আজাদ, একাডেমিক কাউন্সিল সভাপতি অধ্যাপক ড. এ জে এম শফিউল আলম ভুইয়া, কোর্স পরিচালক ম. হামিদ এবং বিসিটিআই প্রাক্তনী সংসদ সভাপতি মাহবুব হোসেন সভায় বক্তব্য রাখেন। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য খান মমতা হেনা লাভলী এমপি, চলচ্চিত্রকার গাজী রাকায়েত, মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, চিত্রতারকা ফেরদৌস, তারিন জাহান প্রমুখ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।