পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শ্রম প্রতিমন্ত্রীর মুন্নুজান সুফিয়ানের বাবাকে ‘শান্তি কমিটির সদস্য’ উল্লেখ করা হয়েছিলো মুনতাসীর মামুন সম্পাদিত একটি গ্রন্থে। এ নিয়ে প্রতিমন্ত্রী ২০১৯ সালে ৫০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে একটি মানহানি মামলা করেন। সেই মামলার বিচারিক কার্যক্রম চলবে-মর্মে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের ভার্চুয়াল ডিভিশন বেঞ্চ রুলের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
মুনতাসীর মানুনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার একে রাশেদুল হক। মুন্নুজান সুফিয়ানের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এনামুল হক মোল্লা।
প্রসঙ্গত: ২০০৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মুনতাসীর মামুন সম্পাদিত ‘বাংলাদেশ চর্চা/৩’ বইটি প্রকাশিত হয়। বইয়ের লেখক মো. আবুবকর সিদ্দিকীর ‘মুক্তিযুদ্ধে দৌলতপুর : একটি সমীক্ষা’ শিরোনামের প্রবন্ধে শান্তি কমিটির সদস্যদের নামের তালিকায় ৩৬ নম্বরে উঠে আসে মুন্নুজান সুফিয়ানের বাবা মরহুম মোসলেম বাওয়ালীর নাম।
পরে ২০১৮ সালের ১ জুলাই বইটির সম্পাদক মুনতাসীর মামুনের কাছে একটি আইনি নোটিশ পাঠান মুন্নুজান সুফিয়ান। মুনতাসীর মামুন ওই নোটিশের জবাব দেন। এরপর একই বছরের ১৯ জুলাই আবারও মুনতাসীর মামুনকে আইনি নোটিশ পাঠান মুন্নুজান সুফিয়ান।
নোটিশে বইয়ে প্রকাশিত তথ্যের দায় স্বীকার করে ক্ষমা চেয়ে তা প্রত্যাহার করতে বলা হয়। লেখক আবুবকর সিদ্দিকীর বিস্তারিত তথ্য চাওয়া হয়। কিন্তু মুনতাসীর মামুন এ বিষয়ে রাজি হননি। পরে প্রতিমন্ত্রী মুন্নজান সুফিয়ান ২০১৯ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকার তৃতীয় জেলা জজ আদালতে মুনতাসীর মামুনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে ৫০ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ চেয়ে মানহানির মামলা করেন।
পরে ২০১৯ সালের ২২ জুলাই তামাদি আইনের ২৪ অনুচ্ছেদ উল্লেখ করে মামলাটি বাতিল চেয়ে জজ আদালতে আবেদন করেন মুনতাসীর মামুন। কিন্তু ২০২০ সালের ২৩ জানুয়ারি মুনতাসীর মামুনের সে আবেদনটি খারিজ করে দেন আদালত। ওই খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে ২০২০ সালের ২৬ আগস্ট হাইকোর্টে রিভিশন পিটিশন দেন মুনতাসীর মামুন।
রিভিশন আবেদনের শুনানি নিয়ে গত বছরের ৩১ আগস্ট ‘বাংলাদেশ চর্চা/৩’ বইয়ের সম্পাদক অধ্যাপক গবেষক মুনতাসীর মামুনের বিরুদ্ধে ৫০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মুন্নুজান সুফিয়ানের করা মানহানির মামলার কার্যক্রম ৬ মাসের জন্য স্থগিত রেখেছিলেন হাইকোর্ট।
ওই মানহানি মামলার বিরুদ্ধে মুনতাসীর মামুনের করা রিভিশন আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের ডিভিশন বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
একইসঙ্গে তামাদি সাপেক্ষে বিচারিক আদালতে দায়ের হওয়া মামলাটি বাতিল চেয়ে মুনতাসীর মামুনের আবেদন খারিজ করা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না-এই মর্মে রুল জারি করেন। রুলের চুড়ান্ত শুনানি শেষে উপরোক্ত আদেশ দিলেন হাইকোর্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।