Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নোয়াখালীর ২টি উপজেলায় আগুনে পূঁড়ে ১২ প্রতিষ্ঠান ছাঁই

নোয়াখালী ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১ নভেম্বর, ২০২১, ৫:৩২ পিএম

কবিরহাট ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার পৃথকস্থানে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটনায় বসতঘর ও দোকানসহ ১২টি প্রতিষ্ঠান পুঁড়ে ছাঁই হয়ে গেছে। এতে প্রতিষ্ঠানগুলোতে থাকা নগদ টাকা ও মূল্যবান মালামাল পুঁড়ে প্রায় ২ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্থদের দাবি।

সোমবার ভোরে পৃথক এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।

ক্ষতিগ্রস্থরা জানায়, সোমবার ভোরে জেলার কবিরহাট উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের লেদু কোম্পানীরহাট বাজারের একটি দোকান থেকে বৈদ্যুতিক শটসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। মহুর্ত্বের মধ্যে আগুন পাশের দোকানগুলোতে ছড়িয়ে পড়লে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে কবিরহাট ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। কিন্তু তার আগে ১০টি দোকানে থাকা মূল্যবান মালামাল ও নগদ অর্থ পুড়ে প্রায় ১ কোটি ৮০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যাবসায়ীদের কান্নায় ভারি হয়ে উঠেছে পুরো এলাকা। বিভিন্ন এনজিও সংঘস্থা ও ব্যাংক থেকে নেওয়া লোনের টাকা কিভাবে পরিষোধ করবে সেই চিন্তায় চোখের ঘুম নষ্ট হয়ে গেছে অনেকের। এমতবস্থায় সরকারের সাহায্যের জন্য আবেদন জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্থ ব্যাবসায়ীরা।

ক্ষতিগ্রস্থ প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে, জমজম হার্ডওয়ার এন্ড ইলেকট্রিক, আল-মদিনা ফার্মেসী, শাহাদাত ক্রোকারিজ, মিজান টেলিকম, কামাল ফল এন্ড কনফেকশনারি, হারুন টেলিকম, হারুন মেডিকেল হল, একটি কাঁচা পণ্যের গুদামসহ ১০টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।

কবিরহাট ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মো: নুর আলম জানান, খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। বৈদ্যুতিক শটসার্কিট থেকে এ আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

অপরদিকে ভোর ৪টার দিকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সিরাজপুর ইউনিয়নের মানিকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশের একটি বসতঘর ও একটি দোকানে আগুনের সূত্রপাত হয়। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে লাগা আগুনে নুর আলম হেলালের একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোর ও নূর নবীর একটি বসতঘর ভস্মীভূত হয়। খবর পেয়ে কোম্পানীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তার আগইে দোকান ও বসতঘরের সকল মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

ক্ষতিগ্রস্থ নূর আলম হেলাল জানান, আগুনে তার দোকানে থাকা ৪টি ফ্রিজ, ডিপ ফ্রিজ, বিকাশের হ্যান্ডসেট ও মোবাইল কার্ডসহ ১২-১৩ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে যায়।

অপর ক্ষতিগ্রস্থ নূর নবী জানান, তার ছেলেকে বিদেশ পাঠানোর জন্য ১ লাখ টাকা ঘরে রেখেছিলেন, সে টাকা ও আরও তিনটি ঘরসহ ১০ লক্ষাধিক টাকার মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

এদিকে সোমবার দুপুরে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করেছেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জিয়াউল হক মীর।

কোম্পানীগঞ্জ ফায়ার স্টেশনের ইনচার্জ মো. জামিন মিয়া জানান, প্রাথমিকভাবে বৈদ্যুতিক শটসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অগ্নিকান্ড


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ