বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
আসন্ন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সিদ্ধিরগঞ্জের বিভিন্ন ওয়ার্ডে কদর বেড়েছে চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ীদের। কতিপয় সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থীর গনসংযোগ, উঠান বৈঠক ও প্রচারণায় প্রকাশ্যেই তাদের দেখা যায়। এ নিয়ে চরম ক্ষোভ ও মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। মজার বিষয় হলো কাউন্সিলর প্রার্থীরা মাদক, সন্ত্রাস, ইভটিজিংসহ নানা অপরাধের কথা বলে ভোটারদের মন কাড়ার চেষ্টা করছেন। আবার নিজেরাই মাদক ব্যবসায়ি, সন্ত্রাসী, পরিবহন চাঁদাবাজ, ভুমিদস্যু, তেল চোর ও বখাটেদের সাথে নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় মাঠে রয়েছেন। কোনো কোনো প্রার্থীর সাথে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে নাসিকের ১, ২, ৩, ৪, ৬ ও ৭নং ওয়ার্ডে অপরাধীদের তৎপরতায় আতঙ্কিত সাধারণ মানুষ। স্থানীয় প্রশাসনের নিস্ক্রীয়তায় দিন দিন বেপরোয়া হযে উঠছে চিহ্নিত অপরাধীরা। নির্বাচন ঘিরে এই সকল অপরাধীরা প্রকাশ্যে বিচরণ করলেও রহস্যজনকভাবে নিশ্চুপ প্রশাসন।
এলাকাবাসীর সূত্রমতে, বিভিন্ন অপরাধমূলক মামলার আসামী, চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ি ও সন্ত্রাসীদের রীতিমত এখন পোয়া বারো। একদিকে তাদের মাদক ব্যবসা জমজমাট, অন্যদিকে প্রার্থীর কাছ থেকে টাকা কামানোর প্রতিযোগিতা চলছে। দিনে এক প্রার্থীর পক্ষে দেখা গেলেও রাতে আরেক প্রার্থীর আখড়ায় দেখা যায় তাদের। এই প্রক্রিয়ায় তারা নিজেরে দাম বাড়ায়। মানে যে বেশি টাকা দিবে শেষ পর্যন্ত তার পক্ষে মাঠে থাকবে। কিন্তু এই প্রার্থীরা জানেন না, সকল অপরাধ অপকর্মের জবাব নিরবে ব্যালটের মাধ্যমে দিবে সাধারণ ভোটাররা।
তবে নির্বাচনে ভরাডুবির আশংকা থাকলেও প্রার্থীরা অপরাধীদের নিজের সাথে রাখতে বেশি স্বাচ্ছ্যন্দবোধ করছেন। মনে হচ্ছে কতিপয় কাউন্সিলর প্রার্থীদের কাছে ভোটারদের চেয়ে অপরাধীদের দাম বেশি । কিন্তু তারা জানেন না যে, কেন্দ্র দখল করে পেশি শক্তি দিয়ে ভোটে জেতার দিন শেষ। ভোট ইভিএম মেশিনে। সেখানে ব্যালটে সিল মারার সুযোগ নেই। তাই ভোটারদের মন জয় করতে হবে। আর অপরাধীদের সাথে নিয়ে ভোটারদের মন জয় করা যায় না। যেখানে এমনিতেই সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ি ও বখাটেদের জ্বালায় অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ। সেখানে কোন কাউন্সিলর প্রার্থীর সাথে তাদের দেখলে সামনে কিছু না বললেও পিছনে ভোটাররা ঠিকই খেয়াল রাখছে। যার জবাব ভোটের দিন দিয়ে দিবে।
এদিকে শনিবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে কমিউনিটি পুলিশিং ডে উপলক্ষে আলোচনা সভায় পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম বলেছেন, সামনে নির্বাচন, আমরা নির্বাচনে কোন ধরনের সহিংসতা বরদাস্ত করব না। যারা নির্বাচন করতে চান, তাদের কাছে আহŸান জানাচ্ছি যদি দরপত্র পেতে চান ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন করতে চান তাহলে গণতন্ত্র ও নির্বাচন কমিশনের সকল নীতিমালা মেনে কাজ করেন। আচরণবিধি মেনে প্রচারণা চালাতে হবে। সুষ্ঠভাবে যেন নির্বাচন হয় এজন্য আপনাদের কাছে সহযোগিতা চাচ্ছি। তবে কঠোরভাবে বলতে চাই নির্বাচনে যদি কেউ কারো গায়ে একটি আচড় দেয় তাহলে আমি তার গায়ে ১০টি আচড় দিবো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।