মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
যুদ্ধবিধ্বস্ত ইয়েমেনে একটি মসজিদ ও মাদরাসায় হুথি বিদ্রোহীদের ব্যালিস্টিক মিসাইল হামলায় ২৯ জন হতাহত হয়েছেন। হামলায় হতাহতরা সবাই বেসামরিক নাগরিক এবং তাদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে। গতকাল রোববার (৩১ অক্টোবর) রাতে দেশটির মারিব প্রদেশে হামলার এই ঘটনা ঘটে।
সোমবার (১ নভেম্বর) সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে দেওয়া এক বিবৃতিতে ইয়েমেনের তথ্য মন্ত্রণালয় হামলার এই ঘটনা প্রকাশ করেছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
এদিকে মারিব প্রদেশের গভর্নরের অফিস থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রোববার রাতে চালানো ওই হামলায় দু’টি ব্যালিস্টিক মিসাইল ব্যবহার করা হয়। তবে ইরান-সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীরা তাৎক্ষণিকভাবে এখনও এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। অবশ্য হামলায় নিহত ও আহতের সংখ্যা ঠিক কত, সেটি পৃথকভাবে প্রকাশ করা হয়নি।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ইয়েমেনের সরকারি বাহিনী ও হুথি বিদ্রোহীদের মধ্যে লড়াইয়ের তীব্রতা বেড়েছে। জাতিসংঘ বলছে, উভয়পক্ষের লড়াইয়ের কারণে গত সেপ্টেম্বর মাসে কেবল মারিব প্রদেশের প্রায় ১০ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
মারিব প্রদেশটি মূলত ইয়েমেনের উত্তরাঞ্চলে দেশটির আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারের শেষ শক্ত ঘাঁটি। সেখানে সংঘর্ষের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় অসহায় মানুষের সাহায্যের জন্য মানবিক সহায়তা করিডোর চালুর আহ্বানও জানিয়েছে জাতিসংঘ।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার ইয়েমেনের সউদী সমর্থনপুষ্ট সরকার এক বিবৃতিতে জানায়, উত্তরাঞ্চলীয় মারিব প্রদেশের পার্শ্ববর্তী আল-জাওবা এবং আল-কাসারা নামক দু’টি জেলায় বিদ্রোহীদের অবস্থানে বিমান হামলার মাধ্যমে ২২টি পৃথক অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসব হামলায় ৯৫ জন হুথি বিদ্রোহী নিহত এবং ১১টি সামরিক যান ধ্বংস হয়। ওই জেলা দু’টি মারিব থেকে যথাক্রমে ৫০ কিলোমিটার এবং ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের শুরুর দিকে হুথি বিদ্রোহীদের হামলার মুখে সউদী-সমর্থিত ইয়েমেনের ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট আব্দ রাব্বু মনসুর আল হাদি ক্ষমতা ছেড়ে সউদী আরবে পালিয়ে যান। ক্ষমতাচ্যুত এই প্রেসিডেন্টকে ফেরাতে সউদী নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ইয়েমেনে হুথিদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে।
অভিযানের শুরুর পর ইয়েমেনের রাজনৈতিক সংকটের অবসান হওয়ার পরিবর্তে তা আরও তীব্র হয়ে ওঠে। বর্তমানে ইয়েমেনে কার্যত দুই শাসকগোষ্ঠী সক্রিয় আছে। সউদী আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সামরিক সহযোগিতার ওপর ভর করে দেশটির দক্ষিণাঞ্চল এখনও মনসুর হাদির নেতৃত্বাধীন সরকারের নিয়ন্ত্রণে আছে, অন্যদিকে উত্তরাঞ্চল সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে হুথি বিদ্রোহীরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।