Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পটুয়াখালীর বাউফলে ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আ.লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ৫

পটুয়াখালী জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩১ অক্টোবর, ২০২১, ১১:১৮ এএম

পটুয়াখালীর বাউফলে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উপজেলার নওমালা কলেজ সড়ক এলাকায় আওয়ামী লীগের মনোনীত চেয়ারম্যানপ্রার্থী মো. কামাল হোসেন বিশ্বাসের নৌকার সমর্থক এবং আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহজাদা হাওলাদারের ঘোড়া প্রতীকের সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এতে দুই পক্ষের কমপক্ষে ৫ জন আহত হয়েছেন।
ওই সময় মো. সজীব (২০) নামে এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে। সজীব ওই ইউনিয়নের নিজবটকাজল গ্রামের বাসিন্দা নাসির প্যাদার ছেলে। তিনি আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহজাদা হাওলাদারের কর্মী।
আহত সজিবকে শনিবার রাত সাড়ে দশটার দিকে পুলিশ উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। জরুরী বিভাগের চিকিৎসক তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা ডক্টর প্রশান্ত কুমার হালদার জানান, গুরুতর আহত সজীবকে বাউফল হাসপাতালে নিয়ে আসার পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে সজীবের দেহে শটগানের গুলি থাকতে পারে, অস্ত্রোপচার করতে হবে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে,নওমালা ৬ নম্বর ওয়ার্ডটিতে (আবদুর রশিদ খান ডিগ্রী কলেজ এলাকা) ঘোড়া প্রতীকের সমর্থকদের আধিপত্য বেশি। আজ রাতে ওই নৌকার সমর্থকেরা আধিপত্য বিস্তার করতে ওই এলাকায় ঢুকে পড়েন। রাত সাড়ে নয়টার দিকে সাহা গাজীর বাড়ির সামনে পৌঁছালে ঘোড়া ও নৌকা প্রতীকের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।

আহত সজিব বলেন,‘সংঘর্ষের একপর্যায়ে নৌকার সমর্থক শাহাবুদ্দিন আকন (৪৬) গুলি ছোড়েন। এতে তিনি গুলিবিদ্ধ হন।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক বলেন,‘গুলির শব্দে স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।’

শাহজাদা হাওলাদার বলেন,‘জনসমর্থন নাই বলে বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করছে নৌকার প্রার্থী ও তাঁর সমর্থকেরা। তাঁরা অবৈধ অস্ত্র ও কালো টাকার মাধ্যমে ভোট ডাকাতি করে বিজয়ী হওয়ার স্বপ্ন দেখছে।

শাহাবুদ্দিন আকন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন,‘আমি এ সম্পর্কে কিছুই জানি না। আমি আমার বাসায় অবস্থান করেছিলাম।’

বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন বলেন,‘গুলি ছোড়ার বিষয়টি সত্য না। তবে দুই পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল ছোড়াছুড়ি হয়েছে। যা পুলিশ নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। বর্তমানে পরিবেশ শান্ত রয়েছে। কেউ কোন লিখিত অভিযোগ করেননি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নির্বাচনি সহিংসতা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ