পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশে সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত বিচারের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি, বিক্ষোভ ও মশাল মিছিল করেছে সম্মিলিত সনাতন পরিষদ। গতকাল শুক্রবার শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে সম্মিলিত সনাতন পরিষদের ব্যানারে ৪০টি হিন্দু ধর্মাবলম্বী সংগঠনের অংশগ্রহণে বিক্ষোভ কর্মসূচিটি অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় শ্রী শ্রী হরিনাম সংকীর্ত্তনীয়া সোসাইটির সভাপতি স্বপন গোস্বামী বলেন, আমরা চাই সব ধর্মের মানুষ একসঙ্গে মিলেমিশে থাকতে। কিন্তু আমাদের ওপর যদি অত্যাচার-নির্যাতন করা হয় তাহলে আমরা কোথায় যাব?
জাতীয় যুব মহাজোটের সভাপতি অতিব কান্তি দাস বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন দেশের কোথাও নাকি কোনো হামলা, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেনি। আমরা এই সমাবেশ থেকে বলতে চাই, যারা চোখ থাকতেও দেখে না তারা প্রতিবন্ধী। দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী একজন প্রতিবন্ধী। যত দ্রুত সম্ভব এই প্রতিবন্ধী মন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করছি। তিনি আরও বলেন, বিচার বিভাগীয় তদন্তের জন্যে আমাদের কাছে দুই মাস সময় নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে যদি আমরা জড়িতদের সঠিক বিচার না পাই তাহলে আমরা ঘরে ফিরে যাব না। লাগাতার কর্মসূচি দেব।
বিক্ষোভে বক্তারা আরও বলেন, যেখানে প্রায় প্রতিদিন দেশের কোথাও না কোথাও কোনো না কোনো অজুহাতে অথবা উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে সাম্প্রদায়িক নির্যাতন, নিপীড়ন ও হামলার ঘটনা ঘটছে, সেখানে হিন্দুদের একটি বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজার মণ্ডপগুলোতে কী কারণে আইনশৃংখলা ও নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনী রাখা হলো না তা বোধগম্য নয়।
বিক্ষোভ সমাবেশে সম্মিলিত সনাতন পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক হীরেন্দ্র নাথ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন সদস্য সচিব শ্রী প্রদীপ কুমার আচার্য, শ্রী উত্তম কুমার দাস, অ্যাডভোকেট সুমন কুমার রায়, শ্রীমৎ চারুচন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী, ড. জে. কে. পাল, অ্যাডভোকেট প্রবীর হালদার, অ্যাডভোকেট নারায়ণ চন্দ্র দাস, ড. নলিনী রঞ্জন বসাকসহ পরিষদের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এবং সামাজিক ও অন্যান্য সংগঠন।
প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে একটি মশাল মিছিল নিয়ে শাহবাগ থেকে প্রেস ক্লাবের দিকে যান অংশগ্রহণকারীরা। কর্মসূচিতে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু সমাজ সংস্কার সমিতি, বাংলাদেশ হিন্দু ল›ইয়ারস অর্গানাইজেশন, বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট, আন্তর্জাতিক কৃষ্ণ ভাবনামৃত সংঘ (ইসকন), মহানাম সম্প্রদায় (বাংলাদেশ), শ্রী শ্রী স্বামী ভোলানন্দগিরি আশ্রম, বাংলাদেশ ব্রাহ্মণ সংসদ, সৎসংঘ ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ মতুয়া মহাসংঘ, শ্রী শ্রী প্রণব মঠ, ভক্ত সংঘ, ওয়ার্ল্ড হিন্দু ফেডারেশন (বাংলাদেশ চ্যাপ্টার), বাংলাদেশ হিন্দু পরিষদ, বাংলাদেশ মাইনোরিটি সংগ্রাম পরিষদ, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, আচার্য বিবেকানন্দ গোস্বামী আন্তর্জাতিক সেবাশ্রম (বাংলাদেশ অধ্যায়), বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট, জাগো হিন্দু পরিষদ, শারদাঞ্জলি ফোরাম, জাতীয় শ্রী শ্রী শিব মন্দির, সনাতন বিদ্যার্থী সংসদ, ইন্টারন্যাশনাল শ্রী শ্রী হরিগুরুচাঁদ মতুয়া মিশন, বাংলাদেশ সনাতন কল্যাণ জেটি, বাংলাদেশ দেবোত্তর সম্পত্তি পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণ পরিষদ, বাংলাদেশ গীতা পরিষদ, শ্রীগুরু সংঘ, হিন্দু হেরিটেজ ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ হিন্দু সেবক সংঘ, বাংলাদেশ সচেতন হিন্দু পরিষদ, সনাতন ঐক্য পরিষদ, বাংলাদেশ হিন্দু কল্যাণ ফাউন্ডেশন, পতঙ্কনী যোগসংঘ, অনুরাগ শিল্পীগোষ্ঠী অংশগ্রহণ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।