বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
দলের মধ্যে পাওয়ার এক্সট্রা প্র্যাকটিস শুরু হয়েছে সিলেট আ্ওয়ামীলীগে। রাজনীতির বদলে, স্থানীয় কিছু নেতা নিজ নিজ ক্ষমতা দেখানোর অশুভ চর্চায় দলে ছড়িয়ে পড়ছে বিশৃংখলা। এতে করে স্থানীয় প্রভাবশালী নেতারা হচ্ছেন কোনটাসা, অপরদিকে, কেন্দ্রের সাথে গভীর সর্ম্পক বজায় রেখে হাইব্রিড দুই/এক নেতা নিজ মর্জিতে দলের প্রভাব খাটানোর চেষ্টা অব্যাহত চালিয়ে যাচ্ছেন। বাস্তবেও তারা পারছেন তৃণমুলের মতামতকে এড়িয়ে নিজদের মর্জিকে প্রতিষ্টা করতে। এরকম এক ঘটনায় ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে সিলেটে দক্ষিণ সুরমা আ’লীগে।
তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী বাছাই সম্পন্ন হয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের । গত সোমবার (২৫ অক্টোবর) বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের সভায় এই মনোনয়ন দেয়া হয়। মনোনীত প্রাথীদের মধ্যে সিলেট দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় তৃণমুলে পাশ হলেও কেন্দ্রে বাঁশ খেয়েছেন ৩ প্রার্থী। এই উপজেলায় মোট ৫টি ইউনিয়নে অনুষ্ঠিত হচ্ছে নির্বাচন। ৫টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগের প্রার্থী বাছাইয়ের লক্ষে দক্ষিণ সুরমা উপজেলা আওয়ামী লীগের এক বিশেষ বর্ধিত সভা গত ১৮ অক্টোবর সোমবার স্থানীয় একটি কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়। সভার পর তৃণমূলের ভোটের মাধ্যমে এই প্রার্থী নির্ধারণ করা হয়। এতে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে তৃণমূল আওয়ামীলীগ নেতারা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তাদের প্রার্থী নির্বাচন করেন। ওই দিন তৃণমূলের ভোটে মাধ্যমে নৌকা প্রতিকে নির্বাচনের জন্য চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী নির্বাচিত হন, সিলাম ইউনিয়নে শাহ ওলিদুর রহমান, মোগলাবাজার ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান ফখরুল ইসলাম সাইস্তা, লালাবাজার ইউনিয়নে আছাব আহমদ, জালালপুর ইউনিয়নে নেছারুল হক চৌধুরী বুস্তান ও দাউদপুর ইউনিয়নে আতিকুল হক। বিষয়টি সিলেট করেন দক্ষিণ সুরমা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শামীম আহমদ। এদিকে, তৃণমূলের ভোটের মাধ্যমে বিজয়ী ৫ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থীদের তালিকা জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কেন্দ্রে পাঠানো হয়। তবে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ড যাচাই-বাছাই শেষে শুধুমাত্র সিলাম ইউনিয়নের শাহ ওলিদুর রহমান ও দাউদপুর ইউনিয়নের আতিকুল হককে রেখে বাকী ৩ ইউনিয়নের প্রার্থীদের পরিবর্তন করে চূড়ান্ত নাম প্রকাশ করে গত ২৫ অক্টোবর। কেন্দ্র থেকে মনোনিত অন্য ৩ ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন, লালাবাজারে মো. তোয়াজ্জিদুল হক তুহিন, জালালপুরে ওয়েস আহমদ ও মোগলাবাজারে মো. সদরুল ইসলাম। তৃণমূলের ভোটে বিজয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মনোয়নয়ন না দিয়ে অন্যদের মনোয়ন দেয়ায় ক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতাকর্মীরা। নেতাকর্মীরা মনে করেন তৃণমূলের মতামতকে উপেক্ষা করে প্রার্থী মনোনয়ন দেয়ায় দলকেই দিতে হবে খেসারত। শেষ অবধি ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে এ ৫ ইউনিয়নেই আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিবেন বলে নিশ্চিত করেছে নির্ভরযোগ্য সূত্র।
দক্ষিণ সুরমার মোগলাবাজার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সানুর মিয়া বলেন, তৃণমূলের ভোটে বিজয়ী প্রার্থীদের কেন্দ্র যেহেতু মনোনয়ন না দিবে তাহলে এই ভোটের কী প্রয়োজন ছিলো ? আমরা বর্তমান চেয়ারম্যান ও আ্ওয়ামীলেিগর পরীক্ষিত নেতা ফখরুল ইসলাম সাইস্তাকে নির্বাচন করেছিলাম। কিন্তু কেন্দ্র তাকে মনোনয়ন না দিয়ে অবমূল্যায়ন করেছে আমাদের।
সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান বলেন, আমরা কেন্দ্রে নামের তালিকা পাঠিয়েছি, তারপর কেন্দ্র কীভাবে মূল্যায়ন করেছে তা বলতে পারবো না আমরা।
প্রসঙ্গত, ২৮ নভেম্বর সারাদেশের এক হাজার সাতটি ইউপিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ দিন সিলেট সিলেটের দক্ষিণ সুরমার ৫টি ইউনিয়ন পরিষদে অনুষ্টিত হবে ভোটগ্রহণ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।