পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিজেপি সরাসরি আওয়ামী লীগের দিকে আঙুল তুলেছে : ড. নুরুল আমিন ব্যাপারী
ভারত সরকার হিন্দুদের ওপর হামলায় উসকানি দেয়নি : ড. এ কে আবদুল মোমেন
বাংলা সনের কার্তিকের মাঝামাঝি, ইংরেজিতে অক্টোবরের শেষ সপ্তাহ চলছে। সূর্যের খরতাপের বদলে সকালে এখন শীত শীত ভাব। গ্রামাঞ্চলের মাঠ-প্রান্তরে ভোরে ঘাসের ডগায় শিশির বিন্দু দেখা যায়। ঋতু বদলের দেশে গরমের বদলে কার্যত এখন শীতল হাওয়া বইতে শুরু করেছে। তবে রাজনীতিতে নতুন উত্তাপ শুরু হয়েছে। পবিত্র কোরআন অবমাননা, পূজামন্ডপে হামলা, রংপুরে হিন্দুপাড়ায় অগ্নিসংযোগ, প্রতিবাদে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কয়েকটি সংগঠনের ধারাবাহিক আন্দোলন, পূজামন্ডপে হামলা নিয়ে জাতিসংঘে পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির চিঠি, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ‘সম্প্রতি সমাবেশ ও শান্তি শোভাযাত্রা’, বিএনপির সম্প্রতির মিছিলে সংঘাত-সংঘর্ষ, ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল ইসলাম নূরের ‘বাংলাদেশ গণঅধিকার পরিষদ’ নামের নতুন দলের আত্মপ্রকাশ, নূরের দলকে ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যা দিয়ে প্রতিপক্ষের প্রচারণা, পূজামন্ডপে হামলা ইস্যুতে মামলা ও গণগ্রেফতারে দেশের রাজনীতিতে নতুন করে উত্তাপের সৃষ্টি করেছে। এর সঙ্গে রয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও মাঠের বিরোধী দলের নেতাদের কাদা ছোঁড়াছুড়ি।
জানতে চাইলে রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. নুরুল আমিন বাপারী বলেন, বর্তমানে রাজনীতিতে যে উত্তাপ তা মূলত পাশের দেশ থেকে ছড়নো হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সংগঠনের নেতারা পূজামন্ডপে হামলার জন্য আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাদের দায়ি করছেন। এমনকি কুমিল্লার এমপিকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন। অতীতে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নির্য়াতনের ঘটনায় ভারতের কোনো সরকার আওয়ামী লীগকে সরাসরি দায়ী করেনি। এবার বিজেপি সরকার আওয়ামী লীগকে দায়ী করেছে; তাদের ওপর আঙুল তুলেছে। প্রধানমন্ত্রী ২০০৮ সালের আগে অসংখ্যবার বলেছেন, ‘আমেরিকার কথায় ভারতকে গ্যাস দিতে রাজী না হওয়ায় ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসতে পারিনি’। বহুদিন পর সম্পতি তিনি আবার সেই কথাই উচ্চারণ করেছেন। তাছাড়া পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের চিঠি, জাতিসংঘের অধিবেশনের সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডো বাইডেনের বক্তব্য ‘আর কোনো দেশের অনির্বাচিত সরকারকে সমর্থন করা হবে না’ বক্তব্য, চীনের সঙ্গে সুসম্পর্ক নিয়ে ভারতের সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াতের উক্তি সবকিছু বার্তা দেয়। রাষ্ট্র বিজ্ঞানের ছাত্র হিসেবে আমার মনে হচ্ছে- পূজামন্ডপে হামলা ‘উদোর পিন্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপানো’র নামান্তর। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন বলেন, হিন্দুদের ওপর হামলা ষড়যন্ত্র থাকতে পারে। বাংলাদেশ সরকার দ্রæত অ্যাকশন নিয়েছে এবং যারা একাজ করেছিল, সবাইকে ধরে ফেলেছে। অথচ বিভিন্ন দেশে মিথ্যা প্রচারণা চলছে। অনেক জায়গায় বলা হচ্ছে, বহু লোক মারা গেছে। কিন্তু মারা গেছে মোট ছয়জন। এরমধ্যে দুইজন হিন্দু এবং চারজন মুসলমান। ২৪টি বাড়ি আক্রান্ত হয়েছে এবং কয়েকটি মন্দির ভাঙচুর হয়েছে। কিন্তু মিথ্যা প্রচারণা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী (শেখ হাসিনা) তার বক্তব্যে বলেছিলেন, ভারতের উচিত নিজেদের লোকদের নিয়ে সতর্কতা অবলম্বন করা এবং তারা সেটি করেছে। এটি দিয়েছে ব্যক্তিবিশেষ এবং এটি তারা তাদের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক কারণে দিচ্ছেন। ভারতের সরকার কোনও উসকানি দেয়নি। বরং যেখানে উসকানি দেওয়া হচ্ছে, সেখানে সতকর্তা অবলম্বন করেছে এবং এজন্য তাদের ধন্যবাদ। ভারতের সঙ্গে প্রতিদিন অনানুষ্ঠানিক সংলাপ হচ্ছে। তারাও বলছেন এবং আমরাও জানি। আমরা একসঙ্গে কাজ করছি।
কয়েক বছর ধরে দেশে মাঠের রাজনীতি নেই বললেই চলে। দীর্ঘদিন থেকে রাজনীতির মাঠে একক আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। টিভি টক শো থেকে শুরু করে মাঠঘাটে সর্বত্রই আওয়ামী লীগ ও দলটির সহযোগী সংগঠনের একচ্ছত্র বিচরণ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও নানাভাবে এসব কর্মসূচিতে সহায়তা করে থাকে। জাতীয় সংসদের বিরোধীদল জাতীয় পার্টির সরকারের ‘নাচের পুতুল’ হওয়ায় তাদের সভা-সমাবেশ ও মিটিং করতে দেয়া হয়। কিন্তু মাঠের বিরোধীদল হিসেবে পরিচিত বিএনপিকে মাঠে মিছিল-মিটিং করতে দেয়া হয় না, আইনশৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে সে অজুহাতে। ফলে বিএনপি ঘরের মধ্যে সংবাদ সম্মেলন, বৈঠক, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, ওয়েবিনারের মাধ্যমে নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরছেন। কিন্তু পূজামন্ডপে হামলা ও রংপুরের পীরগঞ্জে হিন্দু পল্লীতে অগ্নিকান্ডের পর মামলা ও ধরপাকড়ে রাজনীতির গরমের আবহ সৃষ্টি হয়েছে।
রংপুরের হিন্দু পল্লীতে অগ্নিকান্ড ও পূজামন্ডপে হামলার ঘটনায় চাঁদপুর, নোয়াখালী, কুমিল্লা, ফেনী, রংপুর, সিলেট, চট্টগ্রাম, কুড়িগ্রাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, গাজীপুর, কক্সবাজার (পেকুয়া-চকরিয়া), দিনাজপুর, মৌলভীবাজার, নাটোর, বান্দরবান, বরিশাল (গৌরনদী) ১৬ জেলায় ৮৫টি মামলা হয়েছে। আসামি করা হয়েছে ২৩,৯১১ জন। অজ্ঞাত আসামি কয়েক হাজার। গ্রেফতার হয়েছে প্রায় ৭শ’ থেকে ৮শ’ জন। কুমিল্লায় পূজামন্ডপে কোরআন রাখার দায়ে গ্রেফতার ইকবালসহ কয়েকজন রিমান্ডে রয়েছে। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিভিন্ন সংগঠন বেশিরভাগ ঘটনার সঙ্গে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা জড়িত অভিযোগ তুললেও গ্রেফতারকৃতদের বেশিরভাগই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত বলে জানা গেছে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রতিদিনই সভা, সেমিনার, সংবাদ সম্মেলন ও বিবৃতিতে পূজামন্ডপে হামলার জন্য ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে দায়ী করছেন। আর বিএনপির নেতাকর্মীদের রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় মামলায় জড়িয়ে গ্রেফতারের অভিযোগ তুলছেন। এই অভিযোগের কিছুটা ইংগিত মেলে গত ২৬ অক্টোরের বিএনপির ‘সম্প্রতি সমাবেশ’ এর পর মিছিলে সংঘাত সংঘর্ষে। পূজামন্ডপে হামলার প্রতিবাদে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে সম্প্রীতি সমাবেশ করেছে। সমাবেশ শেষে সম্প্রীতির মিছিল বের করা হলেও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। বিএনপির অর্ধশত নেতাকর্মীকে আটক করা হয়। বিএনপি বলছে, শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশ হামলা করেছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, মিছিলের অনুমতি ছিল না। মিছিল থেকে ইট-পাটকেল ছোঁড়া হয়েছে। পক্ষান্তরে দেখা যায়, আওয়ামী লীগ রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে সম্প্রীতি সমাবেশ ও শান্তি মিছিল করেছে। কোথাও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়নি। অথচ বিএনপির সম্প্রীতির মিছিলে সংঘর্ষের রহস্য কি?
এদিকে সারা দেশে ধাপে ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন চলছে। আগে অরাজনৈকভাবে এসব স্থানীয় নির্বাচন হলেও এখন হচ্ছে রাজনৈতিকভাবে। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থীরা রাজনৈতিক দলের প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বিদ্বতা করছেন। অথচ বর্তমান নির্বাচন কমিশনের ওপর আস্থা না থাকায় বিএনপি নির্বাচন বর্জন করেছে। বিএনপির নির্বাচনে বর্জনের সংঘাত-সংঘর্ষ থেমে থাকেনি। এখন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই নিজেরাই সংঘাত-সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছেন। ইউনিয়ন পরিষদের সেই ভোটের উত্তপ্ত বাতাস রাজধানী পর্যন্ত পৌঁছেছে।
গত ২৩ অক্টোবর হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ সারা দেশে গণঅবস্থান, বিক্ষোভ-সমাবেশ কর্মসূচি পালন করে পূজান্ডিপে হামলাকারীদের বিচারের দাবিতে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠনসহ ৮ দফা দাবিনামা দিয়েছে। সেই সঙ্গে রাজধানীর শাহবাগে ‘গণঅনশন ও গণঅবস্থান’ কর্মসূচি শেষে ঘোষণা করা হয়েছে তিন দফা কর্মসূচি। এই কর্মসূচিতে আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন), বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ, বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাসংঘ, বাংলাদেশ সনাতন কল্যাণ জোট, বাংলাদেশ বুড্ডিস্ট ফেডারেশন, অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এএলআরডি), বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু সমাজ সংস্কার সমিতি, জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ, বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতি, বাংলাদেশ মাইনরিটি সংগ্রাম পরিষদ, মাইনরিটি রাইটস ফোরামের বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু ফোরাম ও হিন্দু ছাত্র ফোরাম, বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু সমাজ সংরক্ষণ সমিতি, ইন্টারন্যাশনাল শ্রী শ্রী হরি গুরুচাঁদ মতুয়া মিশন, বাংলাদেশ হরিজন ঐক্য পরিষদ, জাতীয় আদিবাসী পরিষদ সংহতি জানিয়ে কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে। এসব কর্মসূচির উত্তাপ এখনো চলছে।
পূজামন্ডপে হামলা ইস্যুতে প্রতিদিনই আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতারা একে অপরের বিরুদ্ধে বিষাক্ত কথাবার্তা ছুঁড়ে মারছেন। গণমাধ্যমে সেগুলো ফলাও করে প্রচার হচ্ছে। শুধু তাই নয়, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি কয়েক দফায় বৈঠক করেছে। ১৪ সেপ্টেম্বর দলের উপদেষ্টা ও ভাইস চেয়ারম্যান, ১৫ সেপ্টেম্বর যুগ্ম সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক ও সম্পাদক পরিষদের সদস্য, ১৬ সেপ্টেম্বর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক করা হয়। অতপর, দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা সভাপতিদের নিয়ে দুটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিটি বৈঠকে আন্দোলনের কৌশল চ‚ড়ান্তকরণ ও মাঠের আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণার দাবি ওঠে। বৈঠকে যারা অংশগ্রহণ করেন তারা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন, আগামী নির্বাচনের আগে মাঠের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। অতপর বিএনপির নেতারা বিভিন্ন পেশাজীবী, আইনজীবী, শ্রমজীবী, বুদ্ধিজীবী ও সুশীল সমাজের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। সেখানেও আন্দোলন কর্মসূচির প্রস্তুতি নেয়ার পরামর্শ আসে।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগ দীর্ঘ এক বছর পর গত ৯ সেপ্টেম্বর দলের কার্যনির্বাহী কমিটির সভা করে। দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়। দলের অভ্যন্তরে বিরোধ নিরসন করার পরামর্শ দেয়া হয়। বলা হয় যারা বিতর্কের জন্ম দেবেন তাদের আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন দেয়া হবে না। আবার আগামী ১৯ নভেম্বর কার্যনির্বাহী কমিটির সভার আহবান করা হয়েছে। সেই সভায় বিএনপিকে মোকাবিলাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। ফলে পরিষ্কার রাজনীতিতে উত্তপ্ততা শুরু হতে যাচ্ছে। গতকালও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচনে ফাঁকা মাঠে গোল দিতে চায় না।
বড় দুই দলের এই যখন অবস্থা, তখন হঠাৎ করে দেশের রাজনীতিতে ‘বাংলাদেশ গণঅধিকার পরিষদ’ নামে নতুন আরেকটি রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ ঘটে। অর্থনীতিবিদ ও গণফোরামের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ড. রেজা কিবরিয়াকে আহবায়ক এবং ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক ন‚রকে নতুন দলটির সদস্যসচিব করা হয়েছে। ‘জনতার অধিকার আমাদের অঙ্গীকার’ সেøাগান নিয়ে গঠিত দলটির ৮৩ সদস্যের আহবায়ক কমিটিতে নানা পেশার মানুষ রয়েছে। অনুষ্ঠানে দলটির ২১ দফা খসড়া কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
দলটির ঘোষণাপত্রে সদস্য সচিব নুরুল হক ন‚র বলেন, আমরা আমূল বদলে দেওয়ার বার্তা নিয়ে, নতুন করে বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে এগিয়ে যাব। আগামী নির্বাচনে তিনশ’ আসনে প্রার্থী দেব। দলের আহবায়ক ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, আমাদের আসল দাবি একটি নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার। আগামী নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্যভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নিরপেক্ষ তত্ত্বধায়ক সরকারের বিষয়ে অন্য সব দলের সঙ্গে আমরা আলোচনা করব।
‘বাংলাদেশ গণঅধিকার পরিষদ’ নামের দলের আত্মপ্রকাশের পরই নতুন দলটিকে ‘পরিচিত করে তুলতে’ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ নামের একটি সংগঠন দলটিকে নিষিদ্ধের দাবি জানায়। নতুন দলের নেতা ড. রেজা কিবরিয়া ও নুরুল হককে গ্রেফতারের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে অবরোধ করেন ওই সংগঠনের নেতাকর্মীরা। নুরের নতুন দলকে দেশবাসীর সামনে পরিচিত করে তুলতেই এমন নিষিদ্ধের দাবি কি-না তা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা চলছে। তবে দেশে শীতের আবহ শুরুতে রাজনীতির মাঠে যেন নতুন উত্তাপ ছড়াচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।