পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ থেকে কল পেয়ে বরগুনাগামী বাস থেকে এক কিশোরীকে উদ্ধার করেছে ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানা পুলিশ। ওই কিশোরী নারায়ণঞ্জ থেকে অপহৃত হয়েছিল। এ ঘটনায় বাসে থাকা এক নারীকে অপহরণকারী সন্দেহে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারের নাম মাজেদা আক্তার (৪০)। তার বাড়ি বরগুনা সদর উপজেলায়।
গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এর পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার বলেন, গত বুধবার সকালে এক নারী ৯৯৯- এ কল দিয়ে জানান, তার ১৫ বছর বয়সী ভাগ্নি বাসা থেকে রাগ করে মঙ্গলবার দুপুরে বের হয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজিতেও কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। তার ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল।
তবে ৯৯৯-এ কল করার কিছুক্ষণ আগে তার ভাগ্নি তাদের কল করে জানায় যে, সে বর্তমানে একটি বাসে আছে। বাসটি সকাল ছয়টায় বরগুনায় পৌঁছাবে। ওই নারী অনুমান করছিলেন তার ভাগ্নি হয়তো কোনো অপহরণকারীর হাতে পড়েছে। এরপর তিনি ভাগ্নিকে উদ্ধারের ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানিয়ে ৯৯৯-এ কল করেন।
পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার বলেন, ৯৯৯ এর কলটেকার সাজ্জাদুর রহমান ওই কিশোরীর নম্বরে যোগাযোগ করেন। তখন সে ঠিকমতো কথা বলতে পারছিল না, এর মধ্যেই অজ্ঞাত এক নারী ফোন কেড়ে নিয়ে অস্পষ্ট কথা শুনিয়ে কল কেটে দেন।
৯৯৯ থেকে পুনরায় ওই কিশোরীর ফোন নম্বরে কল করে বাসের সুপারভাইজারকে চাওয়া হয়। সুপারভাইজারের কাছ থেকে বাসের নম্বর ও অবস্থান জানা যায়। একইসঙ্গে ৯৯৯ তাকে অনুরোধ করে, পুলিশ না আসা পর্যন্ত কিশোরীর দিকে যেন সে নজর রাখে। ফরিদপুর জেলা পুলিশের নিয়ন্ত্রণ কক্ষে বিষয়টি জানিয়ে কিশোরীকে দ্রæত উদ্ধারের ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেয় ৯৯৯।
পরে ভাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক জয়ন্ত কুমার ৯৯৯-কে ফোন জানান, ভাঙ্গা থানার পুকুরিয়া বাসস্ট্যান্ডের কাছে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী সোনার বাংলা পরিবহনের একটি বাস থামিয়ে ভুক্তভোগী কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাকে অপহরণের অভিযোগে এক নারীকে আটক করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী কিশোরীকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সে বাসা থেকে বের হওয়ার পর অভিযুক্ত নারীর সঙ্গে তার দেখা হয়। ওই নারী তার কাছে ভিক্ষে চায়। সে ভিক্ষে দেয়। ওই নারী তাকে চকলেট খেতে দেয়। চকলেট খেয়ে সে অজ্ঞান হয়ে যায়। জ্ঞান ফিরলে কিশোরী দেখতে পায় সে, মিরপুর চিড়িয়াখানার সামনে রয়েছে। এরপর তাকে গাবতলী বাস টার্মিনালে এনে বরগুনাগামী বাসে ওঠানো হয়। এ বিষয়ে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ভুক্তভোগী কিশোরীকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান ভাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক জয়ন্ত কুমার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।