নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভ পর্বে বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্সে হতাশ প্রবাসী বাংলাদেশিরা। এই পর্বে সাকিবদের টানা দুই হারে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা দারুণ ক্ষুব্ধ। নিজেদের কাজ-কর্ম ফেলে দীর্ঘপথ পাড়ি দিয়ে বুধবার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের খেলা দেখতে এসে মাহমুদুল্লাহ-লিটনদের হতাশাজনক পারফরম্যান্সে ক্ষোভ প্রকাশ করেন অনেক প্রবাসী। মূলত লিটন দাসকে একাদশে রাখায় অনেকের মধ্যেই ছিল বেশি ক্ষোভ। দিনের পর দিন এমন অফ ফর্মের একজন ক্রিকেটারকে সুযোগ দেয়া নিয়েও প্রশ্ন তুলেন তারা।
বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড ম্যাচ শেষ হতে তখনও অনেকটা সময় বাকি ছিল। কিন্তু ম্যাচের শেষ পর্যন্ত শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে অবস্থান করতে যেন কষ্ট হচ্ছিলো প্রবাসী বাংলাদেশিদের। তাই তারা স্টেডিয়ামের ভেতর থেকে দল বেঁধে বের হয়ে আসছিলেন। দূর থেকে দেখে মনে হচ্ছিলো ইংল্যান্ড ম্যাচ জয়ের দ্বারপ্রান্তে থাকায় হয়তো তাদের সমর্থকরা আনন্দ চিত্তে ঘরে ফিরে যাচ্ছেন। কিন্তু সামনে যেতেই দেখা গেল মাথায় বুকে লাল সবুজের পতাকা বেঁধে হতাশ মনে স্টেডিয়াম এলাকা ছাড়ছেন টাইগার ভক্তরা। সবারই চোখ-মুখে ছিল হতাশা। শহর থেকে এত দূরে এসে এমন বাজে পারফরম্যান্স দেখায় ছিল ক্ষোভও। এ সম্পর্কে এক প্রবাসী বাংলাদেশি দেশের এক বেসরকারী টিভি চ্যানেলে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘ম্যাচ দেখে মনে হয়েছে বাংলাদেশের জেতার মতো কোনো ইচ্ছাই ছিল না। এভাবেই তারা খেলেছে। বাংলাদেশের যত সমর্থক আছে সবাই হতাশ বিষয়টি নিয়ে।’
দলের অধিনায়কত্ব থেকে শুরু করে একাদশ নির্বাচন- সব কিছু নিয়েই আপত্তি জানিয়েছেন সমর্থকরা। লিটনকে দিনের পর দিন দলে সুযোগ দেয়া নিয়েও রয়েছে তাদের বিস্তর প্রশ্ন। এক সমর্থক জানান, অধিনায়কত্বে ভুল আছে। নাসুম ভালো করেছে অথচ তাকে সবকটি ওভার করতে দেয়নি। এটা কেন? তার বদলে অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ অন্য একজন দিয়ে বল করিয়েছেন, যিনি অনেক রান দিয়েছেন।
সবাই যে শুধু ক্ষোভ প্রকাশেই সীমাবদ্ধ ছিলেন তা কিন্তু নয়। কেউ কেউ দিয়েছেন সমাধানও। চেয়েছেন যে কোনো মূল্যে বাংলাদেশ দলে নিয়ে আসা হোক তামিম ইকবালকে। এক প্রবাসী বাংলাদেশির ভাষায়, ‘তামিম থাকলে এমন অবস্থা হতো না বাংলাদেশের ওপেনিং নিয়ে। তাকে যদি যে কোনো মূল্যে আনা যায় তাহলে অনেক ভালো হয়।’ আরেকজন বলেন,‘দীর্ঘপথ পাড়ি দিয়ে এসেছি নিজ দেশের খেলা দেখতে। এখান থেকে ফেরার পর আমার চাকরি থাকে কিনা তাও জানিনা? কারণ আমি ছুটি নিয়ে আসতে পারিনি। ঝুঁকি নিয়ে দেশের খেলা দেখতে এসে চরম হতাশ হয়েছি। দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ ক্রিকেট খেলছে তা ক্রিকেটারদের খেলা দেখে বোঝা যায়নি। মনে হয়েছে সাকিবরা সবে মাত্র খেলা শুরু করেছেন!’ হতাশায় ক্ষুব্ধ আরেক প্রবাসী বললেন,‘আমরাও কাজের অবসরে ক্রিকেট খেলে থাকি। হাতে সময় থাকলে আপনারা আমাদের খেলা দেখে যাবেন। দেখবেন মাহমুদুল্লাহ-মুশফিকদের চেয়ে অনেক বেশি ভালো খেলে আমাদের এখানকার প্রবাসীরা।’ তিনি সরাসরি বলেই ফেললেন,‘এখনো সময় আছে দেশের ক্রিকেটকে বাঁচাতে হলে নাজমুল হাসান পাপনকে সরিয়ে ফেলা হোক। তার বদলে এমন কাউকে বিসিবির সভাপতি করা হোক যিনি ক্রিকেট বুঝেন। পাপন দেশের ক্রিকেটকে এগিয়ে নয় পিছিয়ে যেতে সহায়তা করছেন। আমরা পাপন মুক্ত বিসিবি চাই।’
সুপার টুয়েলভ পর্বে শ্রীলঙ্কা ও ইংল্যান্ডের কাছে হারলেও এখনো দেশকে নিয়ে আশাবাদী প্রবাসীরা। তারা আশা করেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জয় উপহার দিয়ে সবার মুখে হাসি ফোটাবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।