২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
আমাদের প্রাত্যহিক প্রাকটিস জীবনে কিছু রোগী পেয়ে থাকি যারা হাত অথবা পায়ের ঝিন ঝিন বা অবশ-অবশ অনুভ‚ত হয় এই ধরনের উপসর্গ নিয়ে আমাদের শরণাপন্ন হয়, কিছুদিন ধরে এই ধরনের সমস্যাজনিত রোগী বেশি দেখা যাচ্ছে, কেউ কেউ বলেন রাতে একদিকে কাত হয়ে শুলে খানিকক্ষণ পর ওই পাশের হাত ও পা ঝিন ঝিন বা অবশ-অবশ অনুভূত হয় তারপর শোয়া থেকে উঠে কিছুক্ষণ হাঁটহাঁটি করলে স্বাভাবিক হয়ে যায়, যে কারণে রাতে ঘুমাতে অসুবিধা হয়, কারো কারো ক্ষেত্রে হাতে কোন জিনিস কিছু সময় ধরে রাখলে হাত ঝিন ঝিন বা অবশ-অবশ মনে হয় কিছুক্ষণ পর আর ধরে রাখতে পারে না, এমনকি মোবাইলে কথা বলার সময় বেশীক্ষণ মোবাইলটি কানে ধরে রাখতে পারে না। আসুন আমরা জেনে নিই কি কি কারণে এই ধরনের উপসর্গ দেখা দিতে পারে। বিভিন্ন কারণে আমাদের হাত অথবা পায়ের ঝিন ঝিন বা অবশ-অবশ অনুভ‚ত হতে পারে, যেমন-
আমাদের হাত ও পায়ের রক্ত চলাচল স্বাভাবিকের চেয়ে কম হলে
যাদের সারভাইক্যাল স্পাইন বা ঘাড় এবং লাম্বার স্পাইন বা কোমরে নার্ভ বা স্নায়ুর উপর চাপ লেগে থাকলে।
শোবার বিছানা বেশি নরম হলে।
তাছাড়া ও কিছু কিছু রোগের ক্ষেত্রে এমন হতে পারে সারভাইক্যাল স্পনডাইলোসিস, কারপাল টানেল সিনড্রোম, লাম্বার স্পনডাইলোসিস, ভেরিকোজ ভেইন বা ডিপ ভেইন থ্রোম্বোসিস, পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথি, ডায়বেটিক নিউরোপ্যাথি, মটর-নিউরন ডিজিজ ইত্যাদি।
ভিটামিন বা মিনারেলের অভাব জনিত কারণে।
আমরা অনেক সময় প্রাথমিক পর্যায়ে এই ধরনের সমস্যাগুলোকে গুরুত্ব দিই না, যার ফলে রোগটি পরবর্তীতে মারাত্মক আকার ধারণ করে যখন রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। তাই এই ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে বিলম্ব না করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন এবং কারণ নির্ণয় করে চিকিৎসা নিন।
এম ইয়াছিন আলী
বাত, ব্যথা, পারালাইসিস ও ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞ
চেয়ারম্যান ও চীফ কনসালটেন্ট
ঢাকা সিটি ফিজিওথেরাপি হাসপাতাল, ধানমন্ডি, ঢাকা।
মোবাঃ ০১৭১৭০৮৪২০২
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।