Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কুষ্টিয়ায় প্রেমিকের হাত ধরে ১০ লাখ টাকা নিয়ে উধাও প্রবাসীর স্ত্রী : আদালতে মামলা

কুষ্টিয়া থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৭ অক্টোবর, ২০২১, ৭:৪৭ পিএম

কুষ্টিয়া শহরের কালিশংকরপুর এলাকার প্রবাসী আজিম হোসেন (২৮) এর স্ত্রী লিখনী খাতুনের (২০) বিরুদ্ধে স্বামীর অনুপস্থিতে নগদ ১০ লক্ষ টাকা এবং গহনা নিয়ে প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় প্রবাসী আজিমের স্ত্রী লিখনী খাতুনকে প্রধান আসামি করে আরও ৩ জনের নামে প্রবাসী আজিমের বড় ভাই নাসিম প্রামানিক বাদী হয়ে কুষ্টিয়ার বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। এদিকে প্রবাসী স্বামীর মোটা অংকের টাকা ও গহনা নিয়ে বখাটের সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। মামলায় অভিযুক্তরা হলেন, ১. লিখনী খাতুন,পিতা: মো: সাদেক আলী, ২. সাদেক আলী,পিতা: নূূরে সর্দ্দার, ৩:-রকিব,পিতা: সাদেক আলী, ৪:- বিথি খাতুন, পিতা.মো: সলিম সর্ব সাং- চোরহাস ক্যানালপাড়া ,থানা ও জেলা কুষ্টিয়া। পরিবার এবং মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে কুষ্টিয়া শহরের কালিশংকরপুর এলাকার মো: সামসুদ্দিন প্রামানিক ্ও দ্বিতীয় ছেলে প্রবাসী আজিম হোসেন এর সাথে মোল্লাতেঘরিয়া এলাকার সাদেক আলী মেয়ে লিখনী খাতুনের সাথে ১ লাখ টাকা দেনমোহর ধায্য এর ৪০ হাজার টাকা ওয়াসিলে বিয়ে হয়। মালোয়শিয়া থাকার সুবাদে বিয়ের পরে আজিম তার স্ত্রীকে প্রায় ৪ ভরী স্বর্ণালঙ্কার উপহার দেন । বিয়ের পর আজিম তার স্ত্রীর নামে ব্যাংক এ্যকাউন্ট খোলে এবং বিদেশ গেলে ঐ একাউন্টে টাকা পাঠাতো। আজিম তার স্ত্রীর একাউন্টে এ ৭-১১-২০২০ ই্ং তারিখে ৫৩,৪৬৬ টাকা, ১০-১-২০২১ ইং তারিখে ৫০,০০০ হাজার টাকা,১২-৩-২০২১ ইং তারিখে ৪৩,০০২ হাজার টাকা,৯-৫-২০২১ ইং তারিখে ৩৬,৪৫০ টাকা সহ বিভিন্ন সময় বিদেশ থেকে ১০ লাখ টাকার বেশি পাঠিয়েছে। আজিম বিয়ের একমাস পর চলে গেলে লিখনী খাতুন মায়ের বাড়িতে থাকার সুবাদে হরিশংকরপুর গেট মসজিদ এলাকার মো: সলিম এর ছেলে শাকিব (২০) এর সাে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পওে এবং মাঝে মাঝে আজিমের বাড়িতে আসতো। এর মধ্যে হটাৎ করে গত ১৫-৭-২০২১ ইং তারিখে আজিমের বাড়িতে আসে লিখনী এবং ১৮-৭-২০২১ ইং তারিখে পূনরায় তার মায়ের বাড়িতে চলে যায় এবং যাওয়ার সময় তার সাথে একটি ব্যাগ নিয়ে যায়। অতপর গত ২০-৭-২০২১ ইং তারিখ সন্ধার দিকে প্রবাসী আজিম জানতে পারে তার স্ত্রী লিখনী খাতুন অনান্য আসামীদের সাহায্যে সাকিবের সাথে পালিয়ে যায়। এরপর ২৭-৭-২০২১ ইং তারিখে প্রবাসী আজিমের ভাই কুষ্টিয়া মডেল ানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেন। যাহার নং:১২৬৭ ।পরবর্তীতে ৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কাছে আবেদন করেন প্রবাসী আজিমের পরিবার। ১-৯-২০২১ ইং তারেখে সেই সালিশে লিখনী খাতুন,তার পিতা সাদেক আলী ও ভাই রকিব ১০ লাখ টাকা ও ৪ ভরি স্বর্র্ণালংকার নেওয়ার কথা স্বিকার করেন। এরপরে হটাৎ করে ১৪-১০-২০২০ ইং তারিখের একটি তালক নামার ফটোকপি প্রবাসী আজিমের পরিবারের কাছে পাঠায় স্ত্রী লিখনী খাতুন এবং সেই সাে ১০ লাখ টাকা ও ৪ ভরি স্বর্ণ ফেরত দিতে অস্বিকার কর্ ে। শেষ পর্যায়ে কোন কিনারা না পেয়ে ৩-৯-২০২১ ইং তারিখে প্রবাসী আজিমের বাদী হয়ে কুষ্টিয়য়া মডেল থানায় অভিযোগ ায়ের করলে থানা মামল গ্রহন না করায় কুষ্টিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আালতে মামলা দায়ের করেন। এবিষয়ে প্রবাসী আজিমের সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি বলেন, আমি মোঃ আজীম হোসেন একজন মালয়শিয়া প্রবাসী । আমি ীর্ঘ দিন মালোয়শিয়াতে বসবাস করি। আমি ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে পারিবারিকভাবে লিখনী খাতুনকে বিয়ে করি। বিয়ের পর আমাদের সম্পর্ক ভাল ছিল। আমার স্ত্রী আমার বাড়ি গত থেকে ২২.০৭.২০২১ তারিকে তার বাবার বাসায় যাই। সেখান থেকে সে ২২.০৭.২০২১ তারিখে হরিশংকরপুর এলাকার সলিম এর ছেলে সাকিব এর সাথে আমার স্ত্রী লিখনী খাতুন (২০) আমার ১০লক্ষ টাকা এবং ৪ভরী সোনা নিয়ে পালিয়ে যান। পালিয়ে যাবার শে কিছুদিন পর আমরা শুনতে পাই আমার স্ত্রী লিখনী খাতুন ১৪.১০.২০২০ তারিখ এ আমাকে তালাক দিয়েছেন। আমি এবং আমর পরিবার তালাকের বিষয়ে কিছুই যানতাম না আগে থেকে। কিন্তু সে তো দিব্বি আমার সংসার করেছে এবং আমি তাকে প্রতিমাসেই ভরন পোষনের টাকা দিয়েছি। পরে বুঝতে পারলাম আমার স্ত্রী আমাদের সাথে পরিকল্পিতভাবে প্রতারনা করে আসছিল। আমরা প্রবাসীরা দেশ ও শের মায়া ত্যাগ করে বিদেশের মাটিতে দিন-রাত পনিশ্রম করে যাচ্ছি আমার এবং আমার পরিবারের সুন্দর একটি ভবিষ্যৎ এর জন্য। কিন্তু আমার স্ত্রী প্রতারনার মাধ্যমে আমাকে নিশ্য করে চলে গেল । আমি কিভাবে মেনে নেব এই প্রতারনা ? আমি একজন প্রবাসী হয়ে আইন এর কাছে এই জঘন্যতম প্রতারনার কঠিন শাস্তির দাবি করছি।যেন আর কোনো প্রবাসীর স্ত্রী এই ধরনের জঘন্য প্রতারনামূলক কাজ করতে না পারে। এবিষয়ে আসামী লিখনী খাতুনের বাবা মো:সাদেক আলীর সাথে একাধিকবার মুঠোফোনে (০১৯৫৩-৬৮…৫) নাম্বারে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অভিযোগ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ