মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
পাকিস্তানের ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স (আইএসআই) মহাপরিচালক নিয়োগ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এবং সামরিক নেতৃত্বের মধ্যে তিন সপ্তাহ ধরে চলা অচলাবস্থা অবশেষে শেষ হয়েছে। মঙ্গলবার নতুন মহাপরিচালক হিসাবে সাবেক সেনাপ্রধানের বাছাই করা লেফটেন্যান্ট জেনারেল নাদিম আহমেদ আঞ্জুমের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
ইমরান খানের সচিব মোহাম্মদ আজম খান স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘প্রধানমন্ত্রী আন্তঃবাহিনী গোয়েন্দা মহাপরিচালক হিসাবে লেফটেন্যান্ট জেনারেল নাদিম আহমেদ আঞ্জুম, এইচআই (এম) এর নিয়োগ দেখেছেন এবং অনুমোদন করেছেন। এই নিয়োগটি ২০ নভেম্বর থেকে কার্যকর হবে এবং বিদায়ী আইএসআই প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফয়েজ হামিদ ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত দায়িত্বে থাকবেন।
সেনাবাহিনী এর আগে গত ৬ অক্টোবর লেফটেন্যান্ট জেনারেল আঞ্জুমকে লেফটেন্যান্ট জেনারেল হামিদের জায়গায় ডিজি আইএসআই হিসাবে নিয়োগ দেয়ার করার ঘোষণা করেছিল, যিনি পেশোয়ার-ভিত্তিক কোর ইলেভেনের কমান্ডার হিসাবে দায়িত্বে ছিলেন। যাইহোক, ইমরানের নেতৃত্বাধীন সরকার এবং সেনাবাহিনীর মধ্যে একটি অচলাবস্থার মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে তার নিয়োগ অবিলম্বে চূড়ান্ত করা হয়নি। আফগানিস্তানের একটি অনিশ্চিত পরিস্থিতির কারণে কিছু সময়ের জন্য বর্তমান মহাপরিচালককে দায়িত্বে রাখার ইচ্ছা এবং নিয়োগের জন্য কর্তৃত্ব প্রয়োগের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর অটল থাকা সহ এই নিয়োগের অনুমোদন না দেয়ার জন্য গত কয়েক সপ্তাহে একাধিক কারণ উল্লেখ করা হয়েছিল।
আইএসআই প্রধানের নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিতে প্রধানমন্ত্রীর অফিসের একটি টুইটে বলা হয়েছে যে, পিএম খান এবং সিওএএস জেনারেল বাজওয়া মঙ্গলবার ‘আইএসআই-তে কমান্ড পরিবর্তনের সময় এবং নতুন ডিজি আইএসআই নির্বাচনের’ বিষয়ে তাদের আলোচনা শেষ করেছেন। পরবর্তী টুইটগুলোতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দ্বারা ‘অফিসারদের একটি তালিকা জমা দেয়া’ এবং ‘সমস্ত মনোনীতদের সাক্ষাৎকার’ সহ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়েছিল।
৬ অক্টোবরের ঘোষণার পর জেনারেল আনজুম ছাড়া অন্য কোন জেনারেলকে সেনাবাহিনী এই স্লটের জন্য মনোনীত করেছিল তা প্রকাশ করা হয়নি। এদিকে মিডিয়া রিপোর্টে বলা হয়েছে, জেনারেল আঞ্জুম গত ২০ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করেছিলেন। যদিও আইএসআই প্রধানের নিয়োগের প্রক্রিয়াটি সংবিধান বা সেনা আইনে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়নি, তবে ১৯৭৩ সালের রুল অব বিজনেসে বলা হয়েছে, ‘সেনাবাহিনীকে লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদে এবং তার সমতুল্য পদে নিয়োগের বিধান দেয়া হয়েছে। অন্যান্য প্রতিরক্ষা পরিষেবাগুলো প্রেসিডেন্টের সাথে পরামর্শ করে প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নেবেন।’
প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে জোর দিয়ে বলা হয়েছে, ‘এই বিশদ পরামর্শমূলক প্রক্রিয়ার পরে, নতুন ডিজি আইএসআই হিসাবে লেফটেন্যান্ট জেনারেল নাদিম আঞ্জুমের নাম অনুমোদিত হয়েছিল।’ সূত্র: ডন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।