বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সিলেটে জ্বালানি তেল সঙ্কট
সিলেট ব্যুরো : জ্বালানি তেলের সঙ্কটে পড়ছে সিলেট অঞ্চল। বিদ্যমান এ সঙ্কটের পেছনে রেলের ওয়াগন অপ্রতুলতাকে দায়ী করা হচ্ছে। সেই সাথে স্থানীয় পর্যায়ে তেল উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। এতে করে তেল সঙ্কট ক্রমশ বাড়ছে সিলেট জুড়ে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ পেট্রেলিয়াম ডিলারস ডিষ্ট্রিবিউটরস এজেন্ট অ্যান্ড পেট্রেলিয়াম ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় মহাসচিব ও সিলেট বিভাগীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের আহমদ চৌধুরী বলেন, ওয়াগনের কারণে তেল সরবরাহে সঙ্কট হচ্ছে। অথচ ভৈরব থেকে তেল সরবরাহ করার সুযোগ সিলেটে দিলে সঙ্কট নিরসন সম্ভব হয়ে যেত। কিন্তু তা করছে না সংশ্লিষ্টরা। তিনি বলেন, জরুরি ভিত্তিতে ভৈরব থেকে তেল সরবরাহের পথ সুগম করতে হবে। অন্যথায় সমস্যা প্রকট হবে, নেতিবাচক প্রভাব পড়বে জনজীবনে। সংশ্লিষ্ট সূত্র প্রদত্ত তথ্যানুযায়ী জানা যায়, প্রতিদিন প্রায় ১০ লক্ষ লিটার জ্বালানি তেলের চাহিদা রয়েছে সিলেটে। এর মধ্যে বর্তমানে সরবরাহ হচ্ছে ১ থেকে সোয়া ১ লক্ষ লিটার। প্রয়োজনের চেয়ে সীমিত পরিসরে সরবরাহকৃত এ তেল সিলেটের চারটি ডিপোর মধ্যে ভাগ করে দেয়া হচ্ছে। এর জন্য কোন কোম্পানিই গ্রাহকের চাহিদা পূরণ করতে পারছে না। সিলেটের পেট্রেল পাম্পগুলোতে চট্টগ্রাম থেকে জ্বালানি তেল আসে। এ তেল পরিবহন করা হয় হয় রেলের ওয়াগনে।
তবে একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, রেল সংশ্লিষ্টদের উদাসীনতার কারণে দেখা দিয়েছে তেলের সঙ্কট। সিলেটের গ্যাস ক্ষেত্রগুলো থেকে গ্যাসের সাথে প্রাপ্ত উপজাত কনডেনসেট থেকে জ্বালানি তেল উৎপাদন প্রায় দুই বছর থেকে বন্ধ। ফলে এই এলাকায় জ্বালানি তেল সঙ্কট আরো তীব্র হয়েছে।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন তেল বিপননকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সিলেটের স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, আগে চট্টগ্রাম থেকে সিলেটে প্রতি সপ্তাহে ৩ থেকে ৪টি তেলবাহী ওয়াগন আসতো। প্রতিটি ওয়াগনে গড়ে ৩ লক্ষ লিটার করে জ্বালানি তেল আসতো। তবে গত কয়েক মাস ধরে কমে গেছে ওয়াগন আসা-যাওয়া। বর্তমানে সপ্তাহে মাত্র একটি ওয়াগন আসছে। তাও আবার নিয়মিত নয়।
এছাড়া বর্তমানে সিলেটে ডিজেল ও পেট্টোলের পাশাপাশি অকটেনেরও সঙ্কট দেখা দিয়েছে। এ সঙ্কট সমাধানে গত ২১ অক্টোবর মালিক সমিতির সঙ্গে মতবিনিময় সভা হয় যমুনা অয়েল কোম্পানির এমডি গিয়াস উদ্দিন আনসারীর। এসময় তিনি মালিকদের আশ্বাস দিয়েছিলেন গত বছরের ন্যায় এবারও দ্রæত ভৈরব থেকে ট্যাংকলরীর মাধ্যমে তেল সরবরাহের ব্যবস্থা করবেন। কিন্তু সেই আশ্বাসের বাস্তবায়ন এখনে শুরু হয়নি।
সিলেটের জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত একমাস থেকে তেল সঙ্কটের বিষয়টি নজরে দিচ্ছেন বাংলাদেশ পেট্টোলিয়াম কর্পোরেশনকে (বিপিসি)। রাষ্ট্রীয় তেল বিপননকারী প্রতিষ্ঠান যমুনা ওয়েলের সিলেট কার্যালয়ের মার্কেটিং ম্যানেজার আব্দুল বাকী বলেন, রেলের ওয়াগন অনিয়মিত হওয়ায় তেলের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। নিয়মিত ওয়াগন না আসলে বা বিকল্প পরিবহন ব্যবস্থা না করলে এ সঙ্কট কাটবে না।
খুলনার বটিয়াঘাটার আলোচিত মামুন হাওলাদার হত্যা মামলার আসামিকে কিশোর গ্যাংয়ের ৩ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। খুলনা সিআইডির একটি দল অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে। আসামিরা গতকাল মঙ্গলবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
সিআইডি জানায়, অনেক আগে থেকে আসামিদের সাথে নিহত মামুন হাওলাদারের পরিবারের বিরোধ ছিল। ২০১৯ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর রাত ৮টার দিকে স্থানয়ি রহিম সড়ক সংলগ্ন বেনাপোল-মোংলা রেললাইনে আসামিরা মামুন হাওলাদারকে ডেকে আনে। এ সময় এলোপাতাড়ি মারপিট ও বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। ঘটনাস্থলেই মামুনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাবুল হাওলাদার পরদিন বাদী হয়ে ৯ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ১০/১২ জনের নামে বটিয়াঘাটা থানায় হত্যা মামলা করেন। সিআইডি খুলনা মামলাটির তদন্তভার গ্রহণ করেন। সিআইডি খুলনা তদন্ত করে প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তৎপরতার সাহায্যে গত ২৪ অক্টোবর খুলনার জিরোপয়েন্ট, ছাছিবুনিয়া, হরিনটানা ও খুলনা মহানগরীতে অভিযান চালিয়ে আসামি নয়ন দেবনাথ ওরফে মুদি নয়ন, মো. রায়হান ও মো. জাকারিয়া ওরফে জাকা গ্রেফতার করে। সিআইডি আরো জানায়, তারা বিভিন্ন কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরণের অভিযোগ রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।