Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৪ মে ২০২৪, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়ন বিএনপি নেতাদের নিয়ে আলীগের কমিটি গঠন

স্টাফ রিপোর্টার, সাভার থেকে : | প্রকাশের সময় : ২৭ অক্টোবর, ২০২১, ১২:০০ এএম


 আশুলিয়ায় দলের ত্যাগী নেতা-কর্মীদের বাদ দিয়ে বিএনপি নেতাদের নিয়ে আ.লীগের কমিটি গঠনের অভিযোগে উঠেছে। ইয়ারপুর ইউনিয়নে একাধিক ওয়ার্ড কমিটি গঠনে এই অনিয়ম করা হয়। এমনকি সভাপতির স্বাক্ষর ছাড়াই সাধারণ সম্পাদক একাই টাকার বিনিময়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের নিয়ে এসব কমিটি গঠন করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কয়েকদিন আগে আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। দলের সভাপতিকে ছাড়াই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান শাহেদ কমিটি গঠনের কার্যক্রম শুরু করে। নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি ওয়ার্ডে গিয়ে সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি গঠন করার কথা থাকলেও একটি ওয়ার্ডের সম্মেলনের মধ্যেই বাকি ৮টি ওয়ার্ডের কমিটি গঠন করা হয়। ওই ওয়ার্ড থেকেই ইউনিয়নের সকল ওয়ার্ডের সভাপতি ও সম্পাদকের নাম ঘোষণা করেন তিনি।

এর মধ্যে ২নং ওয়ার্ডে সাধারণ সম্পাদক করা হয় সোহরাব সরকার নামের এক ব্যক্তিকে। তিনি শ্রমিক দলের আশুলিয়া থানা কমিটির যুব বিষয়ক সম্পাদকের পদে ছিলেন। তার বিরুদ্ধে জমি দখলসহ একাধিক অভিযোগ। এছাড়াও ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি এন্তাজ পালোয়ানের ছেলে ইউনুছ পালোয়ানকে ৩নং ওয়ার্ডের সভাপতি করা হয়। ইউনুছ পালোয়ান বিএনপির সক্রিয় কর্মী বলে জানা গেছে।

৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন মোল্লাকে আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড সভাপতির পদ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও একাধিক ইউনিয়নে বিএনপির সক্রিয় কর্মী ও পদে থাকা নেতা-কর্মীদের নিয়ে কমিটি গঠনের অভিযোগ রয়েছে।

ওয়ার্ড নেতা সাদেকুর, সাইফুল ও হাসিবসহ একাধিক কর্মী ক্ষোভের সাথে বলেন, দীর্ঘ দিন যাবৎ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত থাকার পরও তাদের অনেক ত্যাগী নেতা-কর্মীদের বাদ দিয়ে বিএনপির লোকজনকে দিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। যা দলের জন্য অনেক ক্ষতিকর। দলে অনেক যোগ্য ব্যক্তি থাকার পরও তাদেরকে মূল্যায়ন করা হয়নি।

ইয়ারপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কাদের দেওয়ান বলেন, দলের ওয়ার্ড কমিটি সম্মেলনের মাধ্যমে প্রতিটি ওয়ার্ডে গিয়ে সবার সম্মতিতে কমিটি গঠন করার উচিৎ। অথচ মজিবর রহমান শাহেদ একাই একটি ওয়ার্ডে বসে সব ওয়ার্ডের কমিটি গঠন করে দিয়েছে। বিএনপির লোকজনকে দলের সাধারণ সম্পাদকের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদেও বসিয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। কাদের দেওয়ান আরো বলেন, দীর্ঘ দিন যারা দলের জন্য পরিশ্রম করেছে তাদেরকে বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগের সদস্য পদ নেই এমন ব্যক্তিকে নিয়ে এসে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদ দিলে সাংগঠনিকভাবে দল দুর্বল হয়ে পড়বে।

এদিকে সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান শাহেদ বলেন, থানা কমিটির সিনিয়র নেতা-কর্মীরা কমিটি গঠনের সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তাদের নির্দেশেই কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়াও সভাপতি কাদের দেওয়ানকে কমিটি গঠনের সময় উপস্থিত থাকার জন্য বলা হলেও তিনি সেখানে উপস্থিত ছিলেন না।

টাকার বিনিময়ে বিএনপি নেতা-কর্মীদের পদ দেওয়ার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন। এসময় তিনি বলেন, সব কাজই সঠিক নাও হতে পারে। তবে বিএনপি নেতাদের আওয়ামী লীগে জায়গা নেই। তাদের দেওয়া কমিটিতে যদি ভুলবশত বিএনপির কেউ চলে আসে অবশ্যই তাকে বাদ দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।এ বিষয়ে সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসিনা দৌলা বলেন, টাকার বিনিময়ে কেউ যদি বিএনপির লোকজনকে সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদকের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব দেয় তাহলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি খোঁজ নিয়ে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলেও জানান।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ