গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় সেনাবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তার জমি অবৈধ ভাবে দখলের অভিযোগে চিহ্নিত ভুমিদস্যু মতিনসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা দায়ের হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একজনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবারদুপুরে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন আশুলিয়া থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক(এসআই) সামিউল ইসলাম। তিনি বলেন, অস্ত্র দিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও চাঁদাবাজির অভিযোগে সোমবার দিবাগত রাতে থানায় বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী সাবেক মেজর মাহমুদুল হাসান। ঘটনাস্থল থেকে ঘটনায় জড়িত একজনকে সকালে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী সাবেক মেজর মোল্লা মাহমুদুল হাসান এজাহারে উল্লেখ করেন, আমার মালিকানাধীন আশুলিয়ার গাজীরচটের বসুন্ধরা এলাকার সি ব্লকের প্লট নং ২১৬ তে নির্মাণ কাজ শুরু করতে চাইলে সেখানে বাধা প্রদান করে ভূমিদস্যু ও চাঁদাবাজ এম এ মতিন ও তার লোকজন। গত ২২ অক্টোবর মতিন ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে এবং সেই চাঁদা না দেয়ায় ২৩ অক্টোবর আবারও আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র প্রদর্শন করে ভয়ভীতি দেখায় মতিন। পরবর্তীতে ২৪ অক্টোবর দিবাগত রাতে আমার জমিতে সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে দেয় এবং ৪ লাখ টাকা মূল্যের নির্মাণ সামগ্রী চুরি করে নিয়ে যায়। এই জমি আমি ১৯৯৬ সালে কিনেছি। আমার কাছে জমির সমস্ত কাগজপত্র রয়েছে, আমি এতদিন জমির খাজনা পরিশোধ করে আসছি।
লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার দিবাগত রাতে আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের হয়। সে মামলায় গাজিরচট এলাকার মৃত হাজী শফিউল্লাহ এর ছেলে এম এ মতিন(৫৫), মতিনের স্ত্রী মোছাঃ মরিয়ম বেগম (৪৫), মতিনের সহযোগী মোঃ আলম (২২), বিপ্লব (২৪), ইয়াসিন (২৭) ও অজ্ঞাতনামাদের আসামী করা হয়েছে।
এ বিষয়ে এম এ মতিনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
তবে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সামিউল ইসলাম বলেন, আসামীদের বিরুদ্ধে জমিতে অনধিকার প্রবেশ করে চাঁদাদাবি, মারপিট করা, চুরি, ক্ষতিসাধন ও হুমকি প্রদানের অপরাধে মামলা দায়ের করেছেন মেজর (অবঃ) মোল্লা মাহমুদুল হাসান। সে মামলায় ৩ নং আসামী মোঃ আলমকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্য আসামীদের গ্রেফতার করার চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, আশুলিয়া এলাকার একজন চিহ্নিত ভূমিদস্যু এম এ মতিন। তার বিরুদ্ধে জমি দখল ও চাঁদাবাজির অভিযোগে প্রায় ৩ টি মামলা চলমান রয়েছে। আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শন করে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে চান তিনি। বিভিন্ন গণমাধ্যমে এর আগেও বেশ কয়েকবার তাকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হলেও কখনো গ্রেফতার হননি এই তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।