বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
তৃতীয় ধাপ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ১৫ ইউনিয়নের মধ্যে ১৩ টি ইউনিয়ন পরিষদের সাধারণ নির্বাচনের তফশীল ঘোষণা করায় সম্ভাব্য চেয়ারম্যান ও সদস্য পদের প্রার্থীরা ভোটের মাঠ গরম করে তুলেছেন। সবাই জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। এরই মধ্যে চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের নাম চূড়ান্ত করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক মিসেস আফরুজা বারী।
নৌকা প্রতীকের মনোনীত প্রার্থীরা হলেন ১ নম্বর বামনডাঙ্গা ইউনিয়নে ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি শমেস উদ্দিন বাবু, ২ নম্বর সোনারায় ইউনিয়নে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শ্রী রনজিৎ কুমার সরকার, ৩ নম্বর তারাপুর ইউনিয়নে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য সাইফুল ইসলাম, ৪ নম্বর বেলকা ইউনিয়নে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান মজি, ৫ নম্বর দহবন্দ ইউনিয়নে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক রেজাউল আলম সরকার, ৬ নম্বর সর্বানন্দ ইউনিয়নে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রভাষক চাঁদ মিঞ্চা, ৭ নম্বর রামজীবন ইউনিয়নে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাদেকুল ইসলাম সরকার, ৮ নম্বর ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান এ্যাডঃ মোখলেছুর রহমান রাজু, ৯ নম্বর ছাপড়হাটী ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান ও আ’লীগ নেতা কনক কুমার গোশ্বামী, ১০ নম্বর শান্তিরাম ইউনিয়নে আ’লীগ নেতা বিপ্লব খন্দকার, ১২ কঞ্চিবাড়ী ইউনিয়নে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি জয়নাল আবেদীন ও ১৩ শ্রীপুর ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান ও আ’লীগ নেতা শহিদুল ইসলাম ও ১৫ নম্বর কাপাসিয়া ইউনিয়নে আ’লীগ নেতা ও সাবেক চেয়ারম্যান মো. মনজু মিয়া। তারা সবাই আশাবাদী নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হবেন। তবে কোনো কোনো ইউনিয়নে আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রার্থী শমেস উদ্দিন বাবু জানান, দলের নেতাকর্মীগণ আমার পক্ষে আছে। আশা করি ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণ বিপুল ভোটে আমাকে নির্বাচিত করবেন ইন্শা আল্লাহ।’
তারাপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে নৌকার প্রার্থী সাইফুল ইসলাম জানান, ৮০ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলাম। বর্তমানে ইউনিয়ন আ’লীগ সদস্য। নৌকা প্রতীক পেয়েছি। নেতাকর্মী ও ভোটারের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। ইনশা আল্লাহ ব্যাপক ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হবো। রেজাউল আলম সরকার বলেন, ‘বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে বর্তমান চেয়ারম্যান জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন রয়েছেন। তাই এবারে নতুন মুখ দেখতে চেয়েছেন ইউনিয়ন আ’লীগ ও সাধারণ ভোটারগণ। তাঁরা সবাই আমাকেই সমর্থন দিয়েছেন। সে কারণে নৌকা পেয়েছি। সবাইকে সাথে নিয়ে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করবো ইন্শা আল্লাহ।’
সর্বানন্দ ইউনিয়ন আ’লীগ প্রার্থী মোঃ চাঁদ মিঞ্চা জানান, আ’লীগ নেতাকর্মীগণ সবাই পাশে রয়েছেন। এছাড়া সাধারণ ভোটারের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। আশা রাখছি ব্যাপক ভোটের ব্যাবধানে জয়ী হবো। বর্তমানে প্রার্থীরা সবাই ভোটের মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। জয়ের আশা নিয়ে ভোটারের দ্বারে-দ্বারে ঘুরছেন। নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র জমা দানের শেষ তারিখ ২ নভেম্বর। যাচাই-বাছাই ৪ নভেম্বর। ২৮ নভেম্বর ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।