বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
যশোরের শার্শা উপজেলায় নৌকার বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে বহিস্কার হওয়া নিজামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতিতে এবার নৌকার মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। এ নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তাদের অভিযোগ স্থানীয় সংসদ সদস্য প্রভাব খাটিয়ে বহিস্কৃত নেতা আব্দুল ওহাবকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাইয়ে দিয়েছেন। গতকাল সোমবার প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ তুলেছেন নিজামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী। একই সাথে তারা আব্দুল ওহাবের মনোনয়নপত্র বাতিল করে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কাঙ্খিত ব্যক্তিকে নৌকা বরাদ্দ দেয়ার দাবি জানিয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন গত নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য সেলিম রেজা বিপুল।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছে, গত ২০১৬ সালে ইউপি নির্বাচনে সেলিম রেজা বিপুল নৌকা প্রতীক বরাদ্দ পান। কিন্তু তার বিরোধীতা করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য (যশোর-১) শেখ আফিল উদ্দিন। জামায়াত-বিএনপির সাথে আঁতাত করে বিদ্রোহী প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ জয়ী হন। ওই নির্বাচনে সরাসরি নৌকার বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে নৌকার পরাজয়ে ভূমিকা রাখেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল ওহাব। এজন্য যশোর জেলা আওয়ামী লীগ থেকে ওই সময় আব্দুল ওহাবকে বহিস্কার করা হয়।
২০১৬ সালের মে মাসে জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন দফতর সম্পাদক এসএম মাহমুদ হাসান বিপু তাকে বহিস্কারের বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় পত্রিকায় বিবৃতি দেন। কিন্তু সেই আব্দুল ওহাবকে এবারের নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্পষ্ট বার্তা থাকার পরেও একজন বহিস্কৃত নেতাকে দলীয় মনোনয়ন দেয়ায় নিজামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হতাশ হয়েছেন, ক্ষুব্ধ হয়েছেন। অবশ্য আব্দুল ওহাব মোবাইল ফোনে দাবি করেন, তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে দল তাকে মনোনয়ন দিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আশরাফ আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব সরদার, সাবেক সহ-সভাপতি ও বর্তমান সদস্য আব্দুল হাই দফাদার, আইন বিষয়ক সম্পাদক বাবুল হোসেন, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান, ইউনিয়ন কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক নূর মোহাম্মদ, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সুমন হোসেন প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।