পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীতে বিশাল শো-ডাউন করেছে আওয়ামী লীগ। পাল্টা সমাবেশের কথা না বললেও জনস্রোত নামিয়ে সেই বিএনপির সমাবেশের পাল্টা জবাব দিল ক্ষমতাসীনরা। শুরু হলো রাজপথে সাংগঠনিক শক্তির মহড়া। রামপুরা ব্রীজ থেকে নতুন বাজার পর্যন্ত পুরো এলাকা ছিল জনাকীর্ণ। গতকাল বাড্ডা ইউলুপে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের বিভিন্ন থানা বিশেষ করে উত্তরা, বনানী, গুলশান, বাড্ডা, রামপুরা থেকে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা ভিড় করেন। বিকালে তিল ধারণের ঠাই ছিল না মঞ্চের সামনে পিছনে নতুন বাজার থেকে রামপুরার মূল সড়কে। বিএনপি-জামায়াতের দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র, নৈরাজ-সহিংসতা ও আগুন সন্ত্রাসের প্রতিবাদে আয়োজিত শান্তি সমাবেশ যেন বিএনপিকে আওয়ামী লীগের বিশেষ বার্তা, এখন ছাড় দিলেও আগামী ডিসেম্বর থেকে কোন ছাড় দেবে না ক্ষমতাসীনরা।
সমাবেশে আওয়ামী লীগ নেতারা বলেছেন, বিএনপি যতই ষড়যন্ত্র করুক, দেশ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। বিএনপির হাত দিয়ে দেশ পিছনে ফিরে যাবে না। তারা বলেন, সংবিধান মোতাবেক যথাসময়েই নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নিলেও যথা সময়েই নির্বাচন হবে। কোন ষড়যন্ত্র করে লাভ হবে না। নির্বাচন ঠিক করবে কারা দেশ পরিচালনা করবে।
বিকাল তিনটায় অস্থায়ী ট্রাকের উপর মঞ্চ বানিয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য একেএম রহমতুল্লাহ, প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি ব্যারিষ্টার বিপ্লব বড়ুয়া। সমাবেশের কারণে গতকাল বেলা দুইটার পর থেকে আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের জমায়েতের কারণে রামপুরা কুড়িল সড়কের দুইপাশ বন্ধ করে দেওয়া হয়। কুড়িল মুখী যানবাহন হাতিরঝিল হয়ে বিকল্প রাস্তা, আর রামপুরা মুখী যানবাহন নতুনবাজার থেকে বিকল্প রাস্তায় যানবাহন চলাচল করে।
বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর লোক ভাড়া করে সমাবেশ করে আমাদের ভয় দেখান? এখন ছাড় দিচ্ছি। ডিসেম্বরে ছেড়ে দেব না। ডিসেম্বরে ছাড়ব না।
বিএনপিকে অপেক্ষা করার অনুরোধ জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, সামনে ডিসেম্বর মাস। আপনারা নাকি ওই মাসে আমাদের হটিয়ে, শেখ হাসিনাকে হটিয়ে খালেদা জিয়াকে নিয়ে খোমেনি স্টাইলে বিপ্লব করবেন ঢাকার রাজপথে। জনতার শক্তির সামনে এই রঙিন খোয়াব কর্পূরের মত উবে যাবে। ডিসেম্বরে খেলা হবে উল্লেখ করে বিএনপির উদ্দেশ্য তিনি বলেন, নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতায় যাওয়ার চিন্তা ভুলে যান। নির্বাচন করে আসতে হবে। তত্ত্বাবধায়কের ভূত মাথা থেকে নামান। এটি সর্বোচ্চ আদালত নিষিদ্ধ করে দিয়েছে। আমাদের কোন দোষ নেই। তত্ত্বাবধায়ক আর আসবে না। ওইটা জাদুঘরে চলে গেছে।
বিএনপি টাকা পয়সা দিয়ে কয়েক দিন আগ থেকেই লোক জমায়েত করেছে দাবি করে তিনি বলেন, ফখরুল সাহেব ছয় জেলার লোক টাকা পয়সা দিয়ে দুই চার দিন আগ থেকে বরিশালে জমায়েত করেছেন। আর এখানে ছয় থানার লোক। বরিশালের চেয়েও দ্বিগুণ লোক এখানে।
দেশব্যাপী বিএনপি নৈরাজ্য করছে দাবি করে তার বিরুদ্ধে রাজধানীর মধ্য বাড্ডায় শান্তি মিছিল পূর্ব সমাবেশ করে আওয়ামী লীগ।
সমাবেশে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের উদ্দেশ্যে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাড. জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, আমি পরিষ্কার করে বলে দিতে চাই, এদেশের আর একটি মানুষের উপর আঘাত করলে- একশত মানুষের আঘাত নেওয়ার জন্য আপনাদের (বিএনপির) প্রস্তুত থাকতে হবে। যতই ষড়যন্ত্র-বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করবেন আমরা তা সফল হতে দেব না।
আওয়ামী লীগের এই প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, আমাদেরকে ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। জনগণকে নিয়েই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গত ১৪ বছর দেশ পরিচালনা করছে। দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রেখেছে। তা বিএনপির ভালো লাগেনা। তাই তাদের ভালো লাগার ওষুধ দিয়ে তাদেরকে ভালো লাগাতে হবে। এই দেশের মুক্তিযুদ্ধের শক্তির উপর আঘাত এলে পাল্টা আঘাত দেওয়ার জন্য নেতাকর্মীদের সবসময় প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান তিনি।
ডিসেম্বরের ঢাকায় বিএনপির সমাবেশ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, সমাবেশের নামে তারা যদি আবার কোন উশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করতে চায় তাহলে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াকে ওই কেরানীগঞ্জের কারাগারে আমরা দেখব। সেটাই হলো বিএনপি নেত্রীর যথাযথ স্থান। দেশ থেকে পালানো তারেক রহমানের নির্দেশে যারা দেশেকে অস্থিতিশীল করতে চায় ঢাকাবাসী তাদেরকে শক্ত হাতে প্রতিহত করবে। এ বিশ্বাস আমাদের রয়েছে।
এতে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি, সহ-সভাপতি ওয়াকিল উদ্দিন, আবদুল কাদের খান, সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক রানা প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।