পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ময়মনসিংহ জেলা আওয়াামী লীগের সম্মেলন আগামী ৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। ওইদিন সকাল ১০টায় জেলা সার্কিট হাউজ মাঠে প্রধান অতিথি হিসেবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন। সম্মেলন শেষে ওইদিনই জেলার আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হতে পারে।
এদিকে প্রায় সাড়ে ৬ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এ সম্মেলনকে ঘিরে নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা বিরাজ করছে। পদপ্রত্যাশি এবং শুভাকাক্সক্ষীদের ব্যানার ফেস্টুনে ছেয়ে যাচ্ছে পুরো ময়মনসিংহ জেলা। একই সঙ্গে শহরের প্রবেশপথগুলোতে নির্মাণ করা হয়েছে একাধিক তোরণ। সম্মেলনকে ঘিরে বড় ধরনের শোডাউনের প্রস্তুতি নিচ্ছে দলটি। পাশাপাশি নতুন কমিটিতে কারা আসছেন আর কারা বাদ পড়ছেন নাকি পুরনোরাই থাকছেন তা নিয়ে নেতাকর্মীদের হিসাব নিকাশের অন্ত নেই। তবে যারাই আসুক বিতর্কিত এবং হাইব্রিড কেউ যাতে কমিটিতে না আসতে পারে সেই প্রত্যাশা তাদের।
২০১৬ সালে ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের আংশিক কমিটি হয়। সাবেক ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের পর সভাপতির দায়িত্ব পান অ্যাডভোকেট জহিরুল হক খোকা। সাধারণ সম্পাদক হন অ্যাড. মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল। সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ঘোষণার পর ২০১৮ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর ৭৫ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয় জেলা আওয়ামী লীগের। ইতোমধ্যে ত্রিবার্ষিক কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে।
তৃণমূল নেতাকর্মীদের অভিমত, আওয়ামী লীগের টানা তিন মেয়াদে অনেক সুবিধাবাদী দলটিতে ভিড়েছে। তাদের কেউ কেউ দল ভাঙিয়ে পরিবহন ব্যবসা, টেন্ডারবাজি, বাস, সিএনজি ও অটো স্ট্যান্ডে চাঁদাবাজি, বালুমহাল ইজারা, ভূমিদস্যূতা সহ নানা উপায়ে বিপুল অর্থবিত্তের মালিক বনে গেছেন। বিতর্কিত এসব নেতাদের অনেকেই বর্তমানে কমিটিতে রয়েছেন। এলাকায় মাফিয়া বনে যাওয়া এসব নেতার ইশারা ছাড়া রেজিস্ট্রি অফিসে দলিলও সই হয়না বলে অভিযোগ রয়েছে। তাদের দাপটে দুর্দিনের নেতাকর্মীরা আজ কোনঠাসা হয়ে আছেন।
এছাড়া দলকে ব্যবহার করে হয়ে উঠা বড় বড় ব্যবসায়ি এবারের সম্মেলনেও পদ পেতে তাদের সেই অর্থ নিয়ে মাঠে নেমেছেন। কেন্দ্রীয় নেতাদের ‘ম্যানেজ’ করে তারা এবার আরো গুরুত্বপূর্ণ পদ পাবেন বলে সমর্থকদেরও আশ^াস দিচ্ছেন। বিতর্কিত, হাইবব্রিড এসব দুধের মাছি যাতে দলের নেতৃত্ব আসতে না পারে সেটাই প্রত্যাশা করছেন নেতাকর্মীরা। ছাত্রলীগ ও যুুবলীগ থেকে বেড়ে উঠা নেতৃত্ব, মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান এবং দলের দুর্দিনের নেতাকর্মীরাই এবারের সম্মেলনে নেতৃত্বে আসবেন বলে প্রত্যাশা তাদের।
সম্মেলনের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চাইলে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল বলেন, সম্মেলনকে কেন্দ্র করে পুরো ময়মনসিংহ জেলায় সাজ সাজ রব বিরাজ করছে। সম্মেলনে এ যাবত কালের সর্বোচ্চ সমাবেশ ঘটানোর লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। এ সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব উঠে আসবে। তবে ত্যাগি, শিক্ষিত ও আওয়ামী লীগ পরিবার থেকে যেনো নেতৃত্ব আসে সেটাই আমাদের প্রত্যাশা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।