পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নতি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সহযোগী রাষ্ট্র ভারত। এমন মন্তব্যই করেছেন দেশটির পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা। ভারতীয় বিমান বাহিনীর এক সম্মেলনে পাঠানো ভিডিও বার্তায় শ্রিংলা আরও বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যেকার সম্পর্কের গভীরতা যে কোনো কৌশলগত অংশীদারদের থেকে বেশি। দুই দেশের মধ্যে অনেক বছর ধরে সম্পর্কের পরিপক্কতা গড়ে উঠেছে।
ভারতীয় এই কূটনীতিক বলেন, ভারতের কূটনীতির দুই নীতি হচ্ছে, প্রতিবেশীই প্রথম এবং ‘এক্ট ইস্ট’। দুটি নীতিরই প্রকাশ ঘটেছে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের স্পন্দনশীল সম্পর্কের মধ্য দিয়ে। ৫০ বছর আগেই বাংলাদেশের স্বাধীনতার মধ্য দিয়েই ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যেকার সম্পর্কের গন্তব্য নির্ধারিত হয়েছিল। দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ এখন ভারতের সবথেকে বড় বাণিজ্য সহযোগী রাষ্ট্র। এই সম্পর্কের প্রধান ভিত্তি হচ্ছে দুই দেশের মধ্যেকার সর্বাঙ্গীণ যোগাযোগ। শ্রিংলা বলেন, প্রতিবেশির সঙ্গে সম্পর্কের রোল মডেল হচ্ছে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সময় দুই দেশের মধ্যে যে বন্ধুত্ব, বোঝাপড়া ও পারস্পরিক সম্মানবোধ গড়ে উঠেছিল তা এখনো সম্পর্কের বিভিন্ন ক্ষেত্রকে প্রভাবিত করে। তিনি যুক্ত করেন, ১৯৭১ সালের যুদ্ধ ছিল ভারতের জন্য সামরিক বিজয়। একইসঙ্গে এটি নৈতিক ও রাজনৈতিক বিজয়ও ছিল। এ যুদ্ধে ভারত নৈতিকভাবে উঁচুতে দাড়িয়ে ছিল এবং ইতিহাস প্রমাণ করেছে ভারত সঠিক ছিল। বাংলাদেশের মানুষ তাদের আত্মমর্যাদা ও সম্মানের প্রমাণ দিয়েছে এবং তাদের স্বাধীনতা ও মানবাধিকারের জন্য লড়াই করেছে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ছিল নিষ্ঠুর স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার যুদ্ধ এবং হতাশার মাঝখানে আশার আলো অনুসন্ধান। তিনি তার বক্তব্যে বাংলাদেশে পাকিস্তানি বাহিনীর অভিযানকে পরিকল্পিত গণহত্যা হিসেবে আখ্যায়িত করেন। সূত্র : টিওআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।