Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পূজামন্ডপে হামলার ঘটনা যৌথ প্রযোজনার নাটক: ড. মোশাররফ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৩ অক্টোবর, ২০২১, ৭:০৭ পিএম

কুমিল্লাসহ বিভিন্ন স্থানে পূজামন্ডপে হামলার ঘটনা যৌথ প্রযোজনার নাটক বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশ কিন্তু অত্যন্ত সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশে। এখানে এসব ঘটনা ঘটতে পারে না। এটা একটা ষড়যন্ত্র। এটা তাদের একটা অপকৌশল ছিলো। আসলে এটা ছিলো জনগণের দৃষ্টি অন্যখাতে প্রবাহিত করার জন্য এবং এবং হিন্দু-মুসলমানদের মধ্যে অশান্তি সৃষ্টি করে অন্য দেশে রাজনীতি-এটার সুবিধা নেয়ার জন্য এই যৌথ প্রযোজনায় এই নাটকটা করা হয়েছে। কিন্তু নাটকটাতে সরকারের ক্ষতি হয়েছে, ধরাও পড়েছে সরকার।

শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আশু আরোগ্য রোগমুক্তি কামনায় জাতীয়তাবাদী নবীন দলের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

কুমিল্লার পূজামন্ডপে প্রসঙ্গ টেনে খন্দকার মোশাররফ বলেন, যে দেশে একটি থানা কোনো একজন মানুষ জিডি করতে হলে ওই থানা ওসি বলে যে, আওয়ামী লীগের এমপিকে জিজ্ঞাসা করতে হবে, আওয়ামী লীগের ওই উপজেলার প্রেসিডেন্টকে জিজ্ঞাসা করতে হবে। তারপরে জিডি হবে। সেই একজন থানার ওসি এভাবে কোরআন শরীফ মন্দির থেকে উদ্ধার করে সে দেখাচ্ছে এবং লাইফ করছে, ফেসবুকে দেখছে সকলে। যদি এটা ওসি না হয়ে অন্য কেউ করতো তার অবস্থা আজকে কি হতো? ওসি কোন সাহস করল, তার ঘাড়ে কয়টা মাথা? যে ওসি জিডি নিতে সাহস পায় না সে কোরআন শরীফ নিয়ে নাটক করছে কাদের নিয়ে?

তিনি বলেন, হিন্দু নেতারা বলেছেন, কুমিল্লায় আওয়ামী লীগের এমপির এখানে ইন্ধন আছে। যদি সরকারের ইন্ধন না থাকবে তাহলে ওই থানার ওসি এটা জানার সাথে সাথে চেষ্টা করতো এটার ব্যবস্থা নিতে এটা তো আমরা বলতে পারি। এটা রা করে সে ফেইসবুকে দিয়ে প্রচার করেছে। সরকারের মদদেই এটা করা হয়েছে। একমাত্র দেশে অশান্তি সৃষ্টি করা। পরবর্তীকালে বিভিন্ন জায়গায় মন্দিরে আক্রমণ হয়েছে ফেনীর মন্দিরের পুরোহিত সাহেব বলেছেন, আমি এসপিকে বলেছি, বিভিন্ন মহলে বলেছি- এখানে ঘটনা হতে পারে। শহরে ও উপজেলায় এতো বিজেপি, পুলিশ থাকা সত্ত্বেও এতক্ষণ যাবৎ ঘটনা ঘটছে তারা আসার সময় পায়নি। কারণটা কী? অর্থ্যাৎ এগুলো প্রমাণ করে সরকার নিজে ঘটনা ঘটিয়ে জনগণের দৃষ্টি ভিন্নখাতে সরাতে চাচ্ছিল। কিন্তু তারা সফল হয়নি।

সংগঠনের সভাপতি হুমায়ুন আহমেদ তালুকদারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানার সঞ্চালনায় এই আলোচনা সভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ বিএনপি ও নবীন দলের নেতারা বক্তব্য রাখেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন

২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ