বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কুমিল্লার নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, আমরা পর্যায়ক্রমে কর্মসূচি পালন শেষ করে যখন ডাক আসবে ঢাকায় চলো, ঢাকায় চলো- সেদিন আর কেউ ঘরে বসে থাকবেন না। সেদিনই আমরা সরকার পতনের ডাক দেবো। আমাদের নেতাকর্মীদের অনেকেরই ধারণা ছিল ১০ ডিসেম্বর ঢাকার সমাবেশ থেকে আমরা বড় ধরণের আন্দোলনের ঘোষণা করবো। কিন্তু না, ঢাকার গণসমাবেশ ছিল বিভাগীয় গণসমাবেশ। অন্যান্য জেলায় যেরকম গণসমাবেশ হয়েছে ঢাকার গণসমাবেশও একই ধরণের। তবে আমরা আন্দোলনের ১০ দফা ঘোষণা করেছি। এরমধ্যে আমাদের গণমিছিল, গণঅবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। সারাদেশে মানুষ স্বত:ষ্ফূর্তভাবে এসব কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছে। এরপর আমরা গণঅভ্যূর্থানের ডাক দেবো। সবাই এ কর্মসূচি পালন করবেন।
রোববার বিকেলে কুমিল্লা হাইওয়ে সড়কের পাশে সৈয়দপুর এলাকায় হোটেল নূর মহলে আয়োজিত বিএনপি ঘোষিত আন্দোলনের ১০ দফা এবং রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের রূপরেখার ২৭ দফার ব্যাখ্যা শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
কর্মশালায় কুমিল্লা উত্তর-দক্ষিণ জেলা বিএনপি ও মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীরা অংশ নেন। কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির কুমিল্লা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সায়েদুল হক সাইদ। সভাপতিত্ব করেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিন।
কর্মশালায় ড. মোশাররফ বলেন, কুমিল্লার বিভাগীয় গণসমাবেশ ছিল অত্যন্ত সুশৃংখল ও স্মরণকালের সেরা সমাবেশ। ওই সমাবেশে কুমিল্লার নেতাকর্মীরা শৃঙ্খলার পরিচয় দিয়েছে। আজকের কর্মশালায় এই শৃঙ্খলা বজায় রয়েছে। আগামীদিনে সুশৃঙ্খলভাবে আন্দোলনের ১০ দফা এবং রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের রূপরেখার ২৭ দফা বাস্তবায়নে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। সকল বাধাবিপত্তি পেরিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।