পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে ‘বিকৃত ও খন্ডিত’ করে সরকার নতুন প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করছে। আমরা দেখেছি যে, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস এবং বাংলাদেশের ৫০ বছরের ইতিহাস ইতিমধ্যে বিকৃত করা হয়েছে। কোনো একটি দল তাদের নিজেদের স্বার্থে, ক্ষমতায় থাকার একমাত্র অভিলাসে মুক্তিযুদ্ধের থেকে শুরু করে স্বাধীনতার ৫০ বছরের ইতিহাসকে বিকৃত করে, ইতিহাসকে খন্ডিত করে এই প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করছে।
গতকাল বিএনপির স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনে রচনা প্রতিযোগিতা কমিটির আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় কমিটির আহবায়ক এই অভিযোগ করেন।
ড. মোশাররফ বলেন, আমরা এই স‚বর্ণ জয়ন্তীকে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরার উদ্যোগ নিয়েছি। বিএনপি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের সেক্টার কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীরোত্তমের মাধ্যমে। এই দল মুক্তিযোদ্ধা দল।
রচনা প্রতিযোগিতার উদ্দেশ্য তুলে ধরে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, এই রচনা প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আজকে যারা বিভিন্ন পর্যায়ে শিক্ষার্থী আছে তাদেরকে যে নির্দিষ্ট টেক্সবইয়ের মাধ্যমে সঠিক তথ্য জানানো হচ্ছে না। তাদেরকে প্রকৃত ইতিহাস থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। সেগুলো যাতে উপলব্ধি করতে পারে এবং অবহিত হতে পারে সেই লক্ষ্য নিয়ে আমরা এই রচনা প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা করেছি। আপনারা দেখবেন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও স্বাধীনতার পরের ঘটনাবলীকে খন্ডিত অথবা একটি দলের পক্ষের রচনা হিসেবে শিক্ষার্থীদেরকে শেখানো হচ্ছে। সেজন্যই আমরা চাই, মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত তথ্য গুলো তুলে ধরতে, নতুন প্রজন্ম সঠিক তথ্য জানুক।
মার্চের প্রথম দিন থেকে যেমন ১ মার্চ, ২ মার্চ, ৩ মার্চ, ৭ মার্চ, ৯ মার্চ প্রতিটি দিনের ঐতিহাসিক ঘটনার সঠিক তথ্য তুলে ধরতে বিএনপি ওসব দিন পালনের কথাও বলেন তিনি।
ড. মোশাররফ বলেন, আমরা ১ মার্চ, ২ মার্চ পতাকা উত্তোলন, ৩ মার্চ ইশতেহার পাঠ, ৭ মার্চ রেসকোর্সে শেখ মুজিবুর রহমানের বক্তৃতা, ৯ মার্চ পল্টন ময়দানে মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর বক্তৃতা ইত্যাদি নিয়ে যখন কর্মসূচি গ্রহণ করেছি, আলোচনার উদ্যোগ নিয়েছি তখন আওয়ামী লীগ প্রতিক্রিয়া শুরু করেছে। প্রথমে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এই উদ্যোগকে স্বাগত জানালেও পরে তিনি বলেছেন যে, বিএনপির এসব কর্মসূচি নাকী ভাওতামী। যখন আমরা প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরছি তখন একে বিভ্রান্ত করার জন্য দেশের প্রধানমন্ত্রীও যে কথা বলেছেন এটা দুঃখজনক।
গুলশানে চেয়ার্পারসনের কার্যালয়ে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন রচনা প্রতিযোগিতা কমিটির উদ্যোগে এই সংবাদ সম্মেলন হয়। অনুষ্ঠানে রচনা প্রতিযোগিতার বিষয়বস্তুসহ বিস্তারিত তুলে ধরেন কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম।
রচনা প্রতিযোহিতায় ১০টি স্তরে প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেনী, উচ্চ মাধ্যমিক, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এই প্রতিযোগিতা আহবান করা হবে।
প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেনীর জন্য ‘শিশুদের জিয়া’, ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেনীর জন্য ‘মুক্তিযুদ্ধ ও শহীদ জিয়া’, একাদশ থেকে দ্বাদশ শ্রেনীর জন্য ‘বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ ও জিয়াউর রহমান’, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ‘স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তী: প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি’, ‘শহীদ জিয়া: জননন্দিত রাষ্ট্রনায়ক’, ‘বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও বিএনপি’, ‘আন্তর্জাতিক অঙ্গনে শহীদ জিয়া’, উন্মুক্ত স্তরের(সকল বয়সের জন্য) ‘মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতা: প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি’, ‘শহীদ জিয়ার ১৯ দফা কর্মসূচি ও বর্তমান উপযোগিতা’, ‘বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্পের সূচনা ও বিকাশ’, বাংলাদেশের জনসংখ্যাকে জনশক্তিতে রূপান্তরে শহীদ জিয়ার অবদান। একইভাবে ইংরেজী মাধ্যমের জন্যও স্তর বেধে আলাদাভাবে প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। প্রতিযোগীদের ৩১ মের মধ্যে রচনা পাঠাতে হবে। জেলা ও বিভাগীয় ও জাতীয় পর্যায়ে বিজয়ীদের পুরস্কৃত করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব আবদুস সালাম, কমিটির সদস্য অধ্যাপক ইউসুফ হায়দার, অধ্যাপক আব্দুল লতিফ মাসুম, অধ্যাপক লুতফর রহমান, অধ্যাপক এমদাদ হোসেন, অধ্যাপক শফিকুল হাসান মামুন, হাসান মাহমুদ, শামসুজ্জামান মেহেদি, একরামুল হাসান, মামুনুর রশীদ মামুন, কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবন ও সাইফ মো. জুয়েল উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।