পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে বসে হাটহাজারীতে পূজামন্ডপে ‘হামলা’ করেছেন তিন বিএনপি নেতা। মন্ডপের তোরণ ভাঙচুরের অভিযোগে পুলিশের মামলায় তাদের এজাহার নামীয় আসামি করা হয়েছে। তারা হলেন- চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি সৈয়দ ইকবাল, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সদস্য আকরাম উদ্দিন পাভেল ও বিএনপির কর্মী জোনায়েদ মেহেদী। তাদের বাড়ি হাটহাজারীতে।
গত ২৬ মার্চ হাটহাজারীতে হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভের ঘটনায় পুলিশের দায়েরকৃত কথিত নাশকতার মামলায় ছয় মাস ধরে ওই তিনজন কারাগারে বন্দী। গত সপ্তাহে হাটহাজারী উপজেলার সরকারহাট এলাকায় একটি পূজামন্ডপের তোরণ ভাঙচুরের মামলায়ও পুলিশ তাদের আসামি করেছে।
জানা যায়, কুমিল্লায় পবিত্র কোরআন অবমাননার অভিযোগের জেরে ১৩ অক্টোবর সরকারহাট সোমপাড়া পূজামন্ডপের ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা ও গেইট ভাঙচুরের অভিযোগে হাটহাজারী থানার উপ-পরিদর্শক আবিদুর রহমান বাদী হয়ে ৬১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় ২০০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলায় ১৫ নম্বরে রয়েছে জোনায়েদ মেহেদীর নাম। ৫৩ নম্বরে সৈয়দ ইকবাল ও ৫৫ নম্বরে আকরাম উদ্দিন।
কারাগার সূত্র জানায়, চলতি বছরের ১৬ এপ্রিল পুলিশের মামলায় কারাগারে পাঠানো হয় সৈয়দ ইকবালকে। এরপর জোনায়েদ মেহেদীকে ২০ এপ্রিল ও আকরাম উদ্দিনকে ১০ মে কারাগারে পাঠায় হাটহাজারী থানা পুলিশ। কারাবন্দীদের আসামি করা প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক সাংবাদিকদের বলেন, তারা জেলে থেকেও ভাঙচুরের হুকুম দিতে পারেন। কারা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের দাবি এমন সুযোগ নেই। কারণ কারাগারে বন্দিদের স্বজনদের সাথে সাক্ষাৎও এখন বন্ধ। তবে বিএনপির নেতারা বলছেন, ফের গায়েবি মামলা দিচ্ছে সরকার। এ মামলা তারই অংশ। সরকারি দলের মদদেই যে পূজায় হামলা হয়েছে, এই ঘটনা তারই বড় প্রমাণ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।