২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
প্যারোটিড গ্রন্থি সর্ববৃহৎ কানের নীচের লালাগ্রন্থি। এছাড়াও মুখে আরও লালাগ্রন্থি আছে। এসব গ্রন্থি থেকে লালা তৈরি হয় যা খাবার হজমে সহায়তা করে। প্যারোটিড গ্রন্থিতে ভাইরাস দিয়ে প্রদাহ হলে সেটাকে আমরা মাম্পস বলি। তখন এই গ্রন্থি ফুলে যায়। এসময়ে রুগীর গলা ও গাল একদিকে বা দু’দিকে ফোলা ফোলা দেখা যায়। মাম্পস ভাইরাস দিয়ে এই সংক্রমন হয়। আরও বিভিন্ন কারণে প্যারোটিড গ্রন্থি ফুলে যেতে পারে।
প্যারোটিড গ্রন্থি ফুলে যাবার বিভিন্ন কারণ আছে। এসব কারণের মধ্যে আছে ঃ
১। বিভিন্ন সংক্রমণ। ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া দিয়ে এই সংক্রমণ হতে পারে।
২। টিউমার। প্যারোটিড গ্রন্থিতে বিভিন্ন টিউমার হয়। এর ফলে গ্রন্থি ফুলে যেতে পারে। টিউমার দুই রকমের। বিনাইন এবং ম্যালিগন্যান্ট । বিনাইন টিউমার বিপদজনক নয়।
৩। জগ্রেন সিন্ড্রোম। এই সিন্ড্রোমে বিভিন্ন গ্রন্থি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে সেসব গ্রন্থির নিঃসরণ কমে যায়। জগ্রেন সিনড্রোম হলে প্যারোটিড গ্রন্থি ফুলে যেতে পারে।
৪। সারকয়ডসিস। এই রোগে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে সমস্যা হয়। এই রোগেও প্যারোটিড গ্রন্থি ফুলতে পারে।
৫। এলকোহলিক সিরোসিস । নিয়মিত এলকোহল খেলে লিভার সিরোসিস হয়। সিরোসিসের আরও বিভিন্ন কারণ আছে। তবে এলকোহল খেয়ে সিরোসিস হলে প্যারোটিড গ্রন্থি বড় হতে পারে।
৬। ডায়াবেটিস। এই অসুখে সারা শরীরেই সমস্যা হয়।
৭। কিছু ওষুধের কারণে প্যারোটিড গ্রন্থি ফুলতে পারে।
৮। প্যারোটিড গ্রন্থিতে পাথর হলে নি:স্বরণ কমে গিয়ে গ্রন্থি বড় হয়ে যেতে পারে।
প্যারোটিড গ্রন্থি ফুলে গেলে প্রথমেই কারণ বের করার চেষ্টা করা উচিৎ। কারণ না বের করে চিকিৎসা করলে সাময়িক উপকার হলেও পরবর্তীতে সমস্যা হতে পারে।
ব্যাকটেরিয়া দিয়ে ইনফেকশন হলে এন্টিবায়োটিক দেয়া হয়। এলকোহল এবং তামাক জাতীয় দ্রব্য বর্জন করতে হবে। তাহলে আরও অনেক জটিলতা থেকে বাঁচা যাবে। টিউমার হলে অপারেশন সহ টিউমারের বিভিন্ন চিকিৎসা প্রয়োজন হয়।
ডাঃ মোঃ ফজলুল কবির পাভেল
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।