Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

তিস্তায় হঠাৎ ভয়াবহ বন্যা, রেড অ্যালার্ট : নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২০ অক্টোবর, ২০২১, ১১:১১ এএম

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বুধবার ভোর ৬টা থেকে তিস্তা নদীর পানি নীলফামারীর ডালিয়া তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৬০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তার পানি হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় আশপাশের মানুষের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।

ভারি বর্ষণ, উজানের ঢল ও ভারতের গজলডোবার সব কয়টি গেট খুলে দেওয়ায় হু হু করে বাড়ছে তিস্তার পানি। বুধবার নীলফামারীর ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ৬০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে নীলফামারী, লালমনিরহাট ও রংপুর জেলার তিস্তা নদীবেষ্টিত এলাকা তলিয়ে যেতে শুরু করেছে। এ কারণে রেড অ্যালার্ট জারি করে মানুষজনকে নিরাপদে সরে যাওয়ার জন্য ঘোষণা দিয়েছে তিস্তা অববাহিকায় পানি উন্নয়ন বোর্ড।

নীলফামারীর ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক নূরুল ইসলাম জানান, উজানের পাহাড়ি ঢলে মঙ্গলবার রাত থেকে তিস্তা নদীর পানি বাড়তে থাকে। বুধবার ভোর ৬টা থেকে তিস্তার পানি ৫৩ দশমিক ২০ সেন্টিমিটার অর্থাৎ বিপৎসীমার ৬০ সেন্টিমিটার (বিপৎসীমা ৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার) উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানির গতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে।

নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার পূর্বছাতনাই ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খান জানান, এলাকার জিরো পয়েন্টে তিস্তার ডান তীর ও গ্রোয়েন বাঁধ হুমকির মুখে পড়েছে। বিশেষ করে গ্রোয়েন বাঁধটির উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। ওই গ্রোয়েনটি বিধ্বস্ত হলে ডান তীর বাঁধসহ এলাকার শত শত বাড়ি তিস্তা নদীতে ভেসে যাবে।

টেপাখড়িবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান ময়নুল হক জানান , পরিস্থিতি খুব খারাপ। তিস্তা বাজার, তেলিরবাজার, দোলাপাড়া, চরখড়িবাড়ি এলাকা তলিয়ে গেছে। চরের ফসলের জমি সব পানির নিচে। ঘরবাড়ি ছেড়ে মানুষজন গবাদি পশুসহ নিরাপদে সরে গেছে।

খালিশাচাঁপানী ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান জানান, কার্তিক মাসের এমন হঠাৎ বন্যা এলাকাবাসীকে পথে বসিয়ে দিচ্ছে। এলাকার ছোটখাতা,বাইশপুকুর, সুপারীপাড়া গ্রাম এখন নদীতে পরিণত হয়েছে। এ ছাড়া নীলফামারীর ডিমলাও জলঢাকা উপজেলার ২২টি চরের ৫০ হাজার পরিবার বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে।

অপরদিকে, লালমনিরহাট জেলার হাতিবান্ধা ও পাটগ্রাম কালিগঞ্জ, আদিতমারী উপজেলার দহগ্রাম, সানিয়াজান, গড্ডিমারী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, সিংগিমারী, ভোটমারী, কাকিনা, অ মহিষখোচা, পলাশী খুনিয়াগাছ, রাজপুর, গোকুন্ডা ইউনিয়নের নদীর তীরবর্তী মানুষেরা পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। তবে কতগুলো পরিবার পানিবন্দী তা এখনো জানা যায়নি।

এদিকে, রংপুরের গঙ্গাচড়ায় তিস্তার পানির তীব্র স্রোতে কোলকোন্দ ইউনিয়নে বিনবিনা চরে সদ্য নির্মিত স্বেচ্ছাশ্রমের বাঁধের প্রায় আধা কিলোমিটার বিলীন হয়ে গেছে। বাঁধটি ভেঙে যাওয়ার কারণে তলিয়ে গেছে চাষাবাদকৃত বিভিন্ন ফসল ও হুমকিতে পড়েছে কয়েক গ্রামের বাড়ি ও রাস্তাঘাট।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রেড অ্যালার্ট


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ