Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ৭০ সেন্টিমিটার উপরে, রেড এ্যালার্ট জারী

ভেঙ্গেছে ফ্লাড ফিউজসহ ৩টি বাঁধ ও স্পার

নীলফামারী সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২০ অক্টোবর, ২০২১, ৫:৪৯ পিএম

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। দুপুর ৩টায় ডালিয়া ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপদসীমার ৭০ সে:মি: উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানির চাপ সইতে না পেরে তিস্তা ব্যারেজ রক্ষায় উত্তর পার্শ্বে অবস্থিত ফ্লাড ফিউজ বাঁধের ২শত মিটার ভেঙ্গে গেছে। এছাড়া তিস্তা নদীর একটি বাঁধের ৭০ মিটার ও অপর ২টি বাঁধ সম্পূর্ণভাবে নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। এতে করে পানি বন্দী হয়ে পড়েছে ডিমলা উপজেলার প্রায় ৮ হাজার মানুষ।

নীলফামারীর ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক নূরুল ইসলাম জানান, উজানের পাহাড়ী ঢলে মঙ্গলবার রাত থেকে তিস্তা নদীর পানি বাড়তে থাকে। বুধবার সকাল ৯টা থেকে তিস্তার পানি ৫৩ দশমিক ২০ সেন্টিমিটার অর্থাৎ বিপদসীমার ৬০ সেন্টিমিটার (বিপদসীমা ৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার) উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। পরবর্তীতে দুপুর ৩টায় পানি বেড়ে ৭০ সেন্টিমিটার মিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। তিস্তার পানি হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় তিস্তাপাড়ের মানুষজনের মধ্যে চরম আতংক বিরাজ করছে।

এদিকে পানির প্রচন্ড চাপে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে তিস্তা ব্যারেজ রক্ষায় উত্তর পার্শ্বে অবস্থিত ফ্লাড ফিউজ বাঁধের ২শত মিটার ভেঙ্গে গেছে। এছাড়া সকাল ৯টার দিকে ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের কালিগঞ্জ বাঁধের ৭০ মিটার নদী গর্ভে ধ্বসে পড়ে। ফলে এ এলাকার ঝাড়সিংহেশ্বর গ্রামসহ বিস্তীর্ণ এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। এখনও এ এলাকার বাড়ী-ঘর প্রায় বুক পরিমাণ পানিতে তলিয়ে রয়েছে। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খান বলেন তার ইউনিয়নে প্রায় দুই হাজার পরিবার পানিতে বন্দী হয়ে আছে।

একই উপজেলার টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের স্বেচ্ছায় নির্মিত বাঁধ ও স্বপন বাঁধ পানির প্রচন্ড চাপে ধ্বসে গেছে। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ময়নুল হক জানান, তার এলাকায় প্রায় ৩ শতাধিক বাড়ী-ঘর এখনও পানিতে তলিয়ে আছে। এসব বাড়িঘরের মানুষজনকে এখনও সম্পূর্ণভাবে সরিয়ে নেয়া সম্ভব হয়নি। এ ছাড়াও একই উপজেলার পূর্ব ছাতনাই, পশ্চিম ছাতনাই, টেপা খড়িবাড়ী, গয়াবাড়ী, খালিশা চাপানী ও ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নের ১৫টি ও জলঢাকা উপজেলার ৭টি চরের বিস্তীর্ণ এলাকায় সহস্রারাধিক মানুষ এখনও পানি বন্দী হয়ে আছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড নীলফামারীর ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আশফাউদ্দৌলা জানান, উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে যাওয়ায় ব্যারেজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দিয়ে পানি নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করা হচ্ছে। রেড এ্যালার্ট (লাল সংকেত) জারী করে মানুষজনকে নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার ঘোষনা দেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ