পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কুমিল্লায় পবিত্র কোরআন শরীফের অবমাননা এবং পরবর্তীতে পূজামণ্ডপে হামলা, ভাঙচুর ও নির্বিচারে পুলিশের গুলিবর্ষণ এবং নিরীহ পথচারী শিশুসহ কয়েকজনের মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিএনপি। দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়, দূর্গাপূজার সময়ে কুমিল্লায় পবিত্র কোরআন শরীফের অবমাননা এবং পরবর্তীতে শাসক শ্রেণীর মদদপুষ্ট দুষ্কৃতিকারীদের পূজামন্ডপে আক্রমণ, ভাংচুর এবং তারই ধারাবাহিকতায় চাঁদপুর, গাজীপুর, নোয়াখালীর চৌমহনী, চট্টগ্রাম, ঢাকায় পুলিশের নির্বাচারে গুলিবর্ষণ বিরাজমান রাজনৈতিক সংকট থেকে জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য সরকার নিজেরাই এই ধরনের সাম্প্রদায়িক সংকট সৃষ্টি করছে। প্রত্যেকটি ঘটনায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ না করার ফলে পরিস্থিতি জটিলতর হয়েছে। গত রোববার রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভায় এসব কথা বলা হয়। সভায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে সহমর্মিতা প্রকাশের জন্য স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ^র চন্দ্র রায়ের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়। একই সঙ্গে ঘটনা গুলোর তদন্ত করার জন্য সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ব্যরিষ্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলের নেতৃত্বে আরো একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি দুটো অতিদ্রুত উপদ্রুত এলাকা গুলো সফর করে কেন্দ্রে প্রতিবেদন দাখিল করবে বলে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভার সিদ্ধান্তগুলো জানিয়ে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ক্ষমতাসীনরা তাদের অবৈধ ক্ষমতা দীর্ঘ স্থায়ী করার লক্ষ্যে বিভাজনের রাজনীতি করছে। রাজনৈতিক দুরভিসন্ধির কারনেই এই রক্তপাত, লুটতরাজ চলছে। সভা, সনাতন ধর্মের অনুসারীদের ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জানায় এবং সকল ধর্মে মানুষের জীবন ও সম্পত্তির নিরাপত্তা নিশ্চিত করনে সরকারের ব্যর্থতার তীব্র সমালোচনা করা হয়। অবিলম্বে নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে দোষী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসার দাবী জানানো হয়। কোনও তদন্ত ছাড়াই বিএনপি এর নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদেরকে বাড়ি-ঘরে পুলিশী তল্লাসী ও অভিযানের তীব্র নিন্দা জানানো হয়। প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করতে এই ধরনের অপকর্ম করা হচ্ছে বলে মনে করা হয়। সভায় এই ধরনের হীন অপকৌশলের তীব্র নিন্দা জানানো হয়। সভায় দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অক্ষুন্ন রাখার জন্য সকল নাগরিককে সচেতন হওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়।
সভায় ইন্টারনেটসহ ডিজিটাল সকল মাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করে রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নে সরকার ক্ষমতার যে অপপ্রয়োগ চালাছে তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। জনগণের মৌলিক অধিকার, স্বাধীন মত প্রকাশের অধিকার, সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা অক্ষুন্ন রাখার আহ্বান জানানো হয়।
স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। উপস্থিত ছিলেন- ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, বাবু গয়েশ^র চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।